আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৬৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৬
সুন্নত দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করা এবং বিদআত থেকে দূরে থাকা।
২৬৭৬. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ..... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) বলেনঃ একদিন ফজরের নামাযের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে এমন এক উচ্চাঙ্গের নসীহত করলেন যে, তাতে আমাদের চক্ষু থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে লাগল এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। তখন এক ব্যক্তি বললেনঃ এতো বিদায়ী ব্যক্তির মত নসীহত, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাদের উপর কি অসিয়্যাত করে যাচ্ছেন?
তিনি বললেন, তোমাদের আমি আল্লাহকে ভয় করার অসিয়্যাত করছি। যদি হাবশী গোলমও আমীর নিযুক্ত হয় তবুও তার প্রতি অনুগত থাকবে, তার নির্দেশ শুনবে। তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা বহু বিরোধ প্রত্যক্ষ করবে। তোমরা সাবধান থাকবে নতুন নতুন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে। কারণ তা হল গুমরাহী। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঐ যুগ পাবে তার কর্তব্য হল আমার সুন্নত এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নতের উপর অবিচল থাকা। এগুলো তোমরা চোয়ালের দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরে রাখবে। - ইবনে মাজাহ
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ছাওর ইবনে ইয়ায়িদ (রাহঃ) ......... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। হাসান ইবনে আলী খাল্লাল প্রমূখ (রাহঃ) ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। এ সনদে হাসান ইবনে খাল্লাল প্রমূখ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন।
ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) এর কুনিয়ত হল আবু নাজীহ। হুজর ইবনে হুজর ......... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
তিনি বললেন, তোমাদের আমি আল্লাহকে ভয় করার অসিয়্যাত করছি। যদি হাবশী গোলমও আমীর নিযুক্ত হয় তবুও তার প্রতি অনুগত থাকবে, তার নির্দেশ শুনবে। তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা বহু বিরোধ প্রত্যক্ষ করবে। তোমরা সাবধান থাকবে নতুন নতুন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে। কারণ তা হল গুমরাহী। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঐ যুগ পাবে তার কর্তব্য হল আমার সুন্নত এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নতের উপর অবিচল থাকা। এগুলো তোমরা চোয়ালের দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরে রাখবে। - ইবনে মাজাহ
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ছাওর ইবনে ইয়ায়িদ (রাহঃ) ......... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। হাসান ইবনে আলী খাল্লাল প্রমূখ (রাহঃ) ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। এ সনদে হাসান ইবনে খাল্লাল প্রমূখ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন।
ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) এর কুনিয়ত হল আবু নাজীহ। হুজর ইবনে হুজর ......... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي الأَخْذِ بِالسُّنَّةِ وَاجْتِنَابِ الْبِدَعِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بَعْدَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ رَجُلٌ إِنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ يَرَى اخْتِلاَفًا كَثِيرًا وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّهَا ضَلاَلَةٌ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَقَدْ رَوَى ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَالْعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ يُكْنَى أَبَا نَجِيحٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ حُجْرِ بْنِ حُجْرٍ عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
وَقَدْ رَوَى ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَالْعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ يُكْنَى أَبَا نَجِيحٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ حُجْرِ بْنِ حُجْرٍ عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
হাদীস নং:২৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৭
সুন্নত দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করা এবং বিদআত থেকে দূরে থাকা।
২৬৭৭. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... কাছীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ তৎপিতা তৎপিতামহ আমর ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বিলাল ইবনে হারিছ (রাযিঃ)-কে বলেছিলেনঃ জেনে রাখ। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কি জেনে রাখব? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন সুন্নত যিন্দা করবে, যা আমার পর লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তদনুসারে যারা আমল করবে তাদের সাওয়াবের অনুরূপ সাওয়াব ঐ ব্যক্তির (যিন্দাকারীর) হবে। তবে তাদের সাওয়াব থেকে কিছু হ্রাস করা হবে না। আর যে ব্যক্তি কোন গুমরাহীর বিদ’আত প্রচলন করে তার উপর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট নন, তার উপর যারা চলবে তাদের সকলের গুনাহর সমপরিমাণ গুনাহ ঐ ব্যক্তির উপরও বর্তাবে। কিন্তু এতে তাদের গুনাহ্ থেকে কোন কিছু হ্রাস হবে না। - ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান। এ মুহাম্মাদ ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) হলেন, মিস্সীসী শামী। কাছীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ এর পিতা আব্দুল্লাহ্ হলেন ইবনে আমর ইবনে আওফ মুযানী (রাযিঃ)।
হাদীসটি হাসান। এ মুহাম্মাদ ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) হলেন, মিস্সীসী শামী। কাছীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ এর পিতা আব্দুল্লাহ্ হলেন ইবনে আমর ইবনে আওফ মুযানী (রাযিঃ)।
باب مَا جَاءَ فِي الأَخْذِ بِالسُّنَّةِ وَاجْتِنَابِ الْبِدَعِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِبِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ " اعْلَمْ " . قَالَ مَا أَعْلَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " اعْلَمْ يَا بِلاَلُ " . قَالَ مَا أَعْلَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَنَّهُ مَنْ أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي قَدْ أُمِيتَتْ بَعْدِي فَإِنَّ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلَ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةَ ضَلاَلَةٍ لاَ يَرْضَاهَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِ النَّاسِ شَيْئًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَمُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ هُوَ مِصِّيصِيٌّ شَامِيٌّ وَكَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৮
সুন্নত দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করা এবং বিদআত থেকে দূরে থাকা।
২৬৭৮. মুসলিম ইবনে হাতিম আনসারী বসরী (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হে বৎস! যদি তুমি পার, সকালে ও বিকালে তোমার অন্তরে কারো প্রতি বিদ্বেষ থাকবে না তবে তাই কর। তারপর তিনি বললেন, হে বৎস, এ হল আমার রীতি। যে ব্যক্তি আমার রীতি যিন্দা করল সে যেন আমাকে যিন্দা করল। আর যে আমাকে যিন্দা করল সে জান্নাতে আমার সঙ্গে থাকবে।
হাদীসটিতে একটি দীর্ঘ ঘটনা আছে।
হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ আনসারী (রাহঃ) ছিকাহ রাবী। তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ্ও ছিকাহ। আলী ইবনে যায়দ (রাহঃ)-ও সত্যবাদী। কিন্তু তিনি অনেক সময় যে হাদীসটিকে অন্যরা মউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন তিনি তা মারফূ’রূপে বর্ণনা করেন, মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেন, শু’বা (রাহঃ) বলেছেন, আলী ইবনে যায়দ আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অনেক বেশী মারফু’রূপে রিওয়ায়াত করতেন। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এই দীর্ঘ হাদীসটি ছাড়া অন্য কোন হাদীস আনাস (রাযিঃ) থেকে সরাসরি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আব্বাদ ইবনে মায়সারা মিনকারী (রাহঃ) এই হাদীসটিকে আলী ইবনে যায়দ (রাহঃ) এর সরাসরি বরাতে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। এতে তিনি সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) এর মাধ্যমে উল্লেখ করেন নি।
এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ) এর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তিনি এটি সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং আনাস (রাযিঃ) থেকে সরাসরি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এর এটি বা অন্য কোন রিওয়ায়াত আছে বলেও তিনি জানেন না।
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) ৯৩ হিজরীতে ইনতিকাল করেছেন। আর সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এর দু’বছর পর ৯৫ হিজরীতে মারা যান।
হাদীসটিতে একটি দীর্ঘ ঘটনা আছে।
হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ আনসারী (রাহঃ) ছিকাহ রাবী। তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ্ও ছিকাহ। আলী ইবনে যায়দ (রাহঃ)-ও সত্যবাদী। কিন্তু তিনি অনেক সময় যে হাদীসটিকে অন্যরা মউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন তিনি তা মারফূ’রূপে বর্ণনা করেন, মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেন, শু’বা (রাহঃ) বলেছেন, আলী ইবনে যায়দ আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অনেক বেশী মারফু’রূপে রিওয়ায়াত করতেন। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এই দীর্ঘ হাদীসটি ছাড়া অন্য কোন হাদীস আনাস (রাযিঃ) থেকে সরাসরি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আব্বাদ ইবনে মায়সারা মিনকারী (রাহঃ) এই হাদীসটিকে আলী ইবনে যায়দ (রাহঃ) এর সরাসরি বরাতে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। এতে তিনি সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) এর মাধ্যমে উল্লেখ করেন নি।
এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ) এর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তিনি এটি সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং আনাস (রাযিঃ) থেকে সরাসরি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এর এটি বা অন্য কোন রিওয়ায়াত আছে বলেও তিনি জানেন না।
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) ৯৩ হিজরীতে ইনতিকাল করেছেন। আর সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এর দু’বছর পর ৯৫ হিজরীতে মারা যান।
باب مَا جَاءَ فِي الأَخْذِ بِالسُّنَّةِ وَاجْتِنَابِ الْبِدَعِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ حَاتِمٍ الأَنْصَارِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا بُنَىَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تُصْبِحَ وَتُمْسِيَ لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لأَحَدٍ فَافْعَلْ " . ثُمَّ قَالَ لِي " يَا بُنَىَّ وَذَلِكَ مِنْ سُنَّتِي وَمَنْ أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي . وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ " . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ ثِقَةٌ وَأَبُوهُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ صَدُوقٌ إِلاَّ أَنَّهُ رُبَّمَا يَرْفَعُ الشَّىْءَ الَّذِي يُوقِفُهُ غَيْرُهُ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ بَشَّارٍ يَقُولُ قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ وَكَانَ رَفَّاعًا وَلاَ نَعْرِفُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسٍ رِوَايَةً إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ بِطُولِهِ . وَقَدْ رَوَى عَبَّادُ بْنُ مَيْسَرَةَ الْمِنْقَرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَذَاكَرْتُ بِهِ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَلَمْ يَعْرِفْهُ وَلَمْ يُعْرَفْ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثُ وَلاَ غَيْرُهُ وَمَاتَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ سَنَةَ ثَلاَثٍ وَتِسْعِينَ وَمَاتَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ بَعْدَهُ بِسَنَتَيْنِ مَاتَ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান