আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৬৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৫২
ইলমের প্রস্থান।
২৬৫৩. হারূন ইবনে ইসহাক হামদানী (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা লোকদের থেকে একটানে ইলম উঠিয়ে নিবেন না। বরং আলিমগণকে উঠিয়ে তিনি ইলম নিয়ে যাবেন। অবশেষে যখন কোন আলিম থাকবে না, লোকেরা অজ্ঞ-মুর্খদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে। ফলে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। তারা তখন ইলম ছাড়াই ফাতওয়া দিবে। পরিণামে নিজেরাও গুমরাহ্ হবে এবং অপরকেও গুমরাহ বানাবে। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম

এই বিষয়ে আয়িশা ও যিয়াদ ইবনে লাবীদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। যুহরী (রাহঃ) এই হাদীসটিকে উরওয়া-আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযিঃ) এবং উরওয়া-আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযিঃ) এবং উরওয়া-আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَزِيَادِ بْنِ لَبِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا .
হাদীস নং:২৬৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৫৩
ইলমের প্রস্থান।
২৬৫৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... আবুদ দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকালেন। পরে বললেনঃ এ-ই হল লোকদের থেকে ইলম ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষণ। এমনকি ইলম বিষয়ে তাদের কোন ক্ষমতা থাকবে না।

যিয়াদ ইবনে লাবীদ আনসারী বললেনঃ আমাদের থেকে কেমন করে ইলম ছিনিয়ে নেয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন পড়েছি। আল্লাহর কসম, অবশ্যই তা আমরা পড়ব এবং আমাদের স্ত্রী-কন্যা ও সন্তান-সন্ততিদের তা পড়াব।

তিনি বললেনঃ তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক, হে যিয়াদ। আশ্চর্য, আমি তো তোমাকে মদীনাবাসী প্রজ্ঞাবানদের একজন বলে গণ্য করতাম। ইয়াহুদী-নাসারাদের কাছেও তো এই তওরাত-ইনজিল আছে। কিন্ত কি উপকার হয়েছে তাদের?

জুবাইর (রাহঃ) বলেনঃ পরে আমি উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করতাম। বললামঃ আপনার ভাই আবুদ্ দারদা কি বলছেন তা কি আপনি শুনেন নি?

অনন্তর আমি তাঁকে আবুদ্ দারদা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের বিবরণ দিলাম। তিনি বললেনঃ আবুদ্ দারদা (রাযিঃ) ঠিক বলেছেন। তুমি চাইলে ইলমের প্রথম যে বস্তটি উঠিয়ে নেয়া হবে সে সম্পর্কে আমি তোমাকে বিবরণ দিতে পারি। আর তা হল খুশু-খুযু ও বিনয়। জামে মসজিদে প্রবেশ করেও তুমি হয়ত একজনকেও বিনয়াবনত দেখতে পাবে না।

হাদীসটি হাসান-গারীব হাদীসবিদগণের মতে মুআবিয়া ইবনে সালিহ (রাহঃ) ছিকাহ বা নির্ভরযোগ্য রাবী, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ আল কাত্তান (রাহঃ) ছাড়া আর কেউ তাঁর সমালোচনা করেছেন বলে আমরা জানি না। মুআবিয়া ইবনে সালিহ্ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

কোন কোন রাবী এই হাদীসটিকে আব্দুর রহামন ইবনে জুবাইর ইবনে নুফায়র-তৎপিতা জুবাইর ইবনে নুফায়র-আওফ ইবনে মালিক (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ " هَذَا أَوَانٌ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لاَ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ " . فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الأَنْصَارِيُّ كَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا . فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فَمَاذَا تُغْنِي عَنْهُمْ " . قَالَ جُبَيْرٌ فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ قُلْتُ أَلاَ تَسْمَعُ إِلَى مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَالَ صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ الْخُشُوعُ يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَلاَ تَرَى فِيهِ رَجُلاً خَاشِعًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرَ يَحْيَى بْنِ سَعِيِدٍ الْقَطَّانِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ نَحْوُ هَذَا . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান