আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪০. ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৬২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২৫
ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না।
২৬২৬. আহমদ ইবনে মানী‘ (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না। চোর চুরি করা অবস্থায় মু‘মিন থাকে না, তবে তখনও তওবার অবকাশ থাকে। - ইবনে মাজাহ, বুখারি ও মুসলিম।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, আয়িশা এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কোন বান্দা যখন যিনা করে তখন তার ভিতর থেকে ঈমান বের হয়ে যায় এবং যেন ছায়ার মত তার মাথার উপর অবস্থান করে। এই দুষ্কর্ম থেকে যখন সেই ব্যক্তি সরে আসে তখন পুনর্বার ঈমান তার কাছে ফিরে আসে।
আবু জা’ফর মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ এই সব ক্ষেত্রে ঈমানের স্তর থেকে বেরিয়ে ইসলামের স্তরে সে চলে আসে।
একাধিক সূত্রে যিনা ও চুরি প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, কেউ যদি এই সব পাপ কর্মে লিপ্ত হয় এবং তার উপর হদ প্রতিষ্ঠা করা হয়ে গিয়ে থাকে তবে তা-ই এই ব্যক্তির গুনাহের জন্য কাফফারা বলে গণ্য হবে। আর কেউ যদি এই সব গুনাহে আপতিত হয় আর আল্লাহ তাআলা তা গোপন রাখেন তবে তা আল্লাহর উপরই ন্যস্ত। ইচ্ছা করলে কিয়ামতের দিন তাকে আযাবও দিতে পারেন আর ইচ্ছা করলে মাফও করে দিতে পারেন।
- বুখারি ও মুসলিম
আলী ইবনে আবু তালিব, উবাদা ইবনে সামিত ও খুযায়মা ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মের হাদীস বর্ণিত আছে।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, আয়িশা এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কোন বান্দা যখন যিনা করে তখন তার ভিতর থেকে ঈমান বের হয়ে যায় এবং যেন ছায়ার মত তার মাথার উপর অবস্থান করে। এই দুষ্কর্ম থেকে যখন সেই ব্যক্তি সরে আসে তখন পুনর্বার ঈমান তার কাছে ফিরে আসে।
আবু জা’ফর মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ এই সব ক্ষেত্রে ঈমানের স্তর থেকে বেরিয়ে ইসলামের স্তরে সে চলে আসে।
একাধিক সূত্রে যিনা ও চুরি প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, কেউ যদি এই সব পাপ কর্মে লিপ্ত হয় এবং তার উপর হদ প্রতিষ্ঠা করা হয়ে গিয়ে থাকে তবে তা-ই এই ব্যক্তির গুনাহের জন্য কাফফারা বলে গণ্য হবে। আর কেউ যদি এই সব গুনাহে আপতিত হয় আর আল্লাহ তাআলা তা গোপন রাখেন তবে তা আল্লাহর উপরই ন্যস্ত। ইচ্ছা করলে কিয়ামতের দিন তাকে আযাবও দিতে পারেন আর ইচ্ছা করলে মাফও করে দিতে পারেন।
- বুখারি ও মুসলিম
আলী ইবনে আবু তালিব, উবাদা ইবনে সামিত ও খুযায়মা ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মের হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَكِنِ التَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . - وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا زَنَى الْعَبْدُ خَرَجَ مِنْهُ الإِيمَانُ فَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ ذَلِكَ الْعَمَلِ عَادَ إِلَيْهِ الإِيمَانُ " . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ فِي هَذَا خَرَجَ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الإِسْلاَمِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الزِّنَا وَالسَّرِقَةِ " مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ فَهُوَ كَفَّارَةُ ذَنْبِهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ " . رَوَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَخُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২৬
ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না।
২৬২৭. আবু উবাইদা ইবনে আবু আবু সাফার (রাহঃ) ...... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কেউ যদি (হদ প্রয়োগ হওয়ার মত) গুনাহে লিপ্ত হয় এবং দুনিয়াতেই তার শাস্তি হয়ে যায় তবে আখিরাতে দ্বিতীয়বার তাঁর এই বান্দাকে শাস্তি প্রদানের বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলা তো বেশী ন্যায়নিষ্ঠ। (সুতরাং তিনি তাকে পুনর্বার শাস্তি দিবেন না।) আর কেউ যদি হদ প্রয়োগের শাস্তিযোগ্য গুনাহে লিপ্ত হয় আর আল্লাহ্ তাআলা তার বিষয়টি গোপন করে রাখেন এবং তাকে মাফ করে দেন। তবে মাফ করে দেওয়ার পর পুনরায় সেই বিষয়ে শাস্তি প্রদানের বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলা তো আরো অধিক দয়াবান। (সুতরাং তাঁর ক্ষমা পরায়ণতার জন্য তিনি তাকে শাস্তি দিবেন না)। - ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-গারীব। আলিমগণের অভিমতও এ-ই। যিনা, চুরি ও মদ্যপানের কারণে কাউকে কেউ কাফির ফতওয়া দিয়েছেন বলে আমরা জানি না।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আলিমগণের অভিমতও এ-ই। যিনা, চুরি ও মদ্যপানের কারণে কাউকে কেউ কাফির ফতওয়া দিয়েছেন বলে আমরা জানি না।
باب مَا جَاءَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ
حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، - وَاسْمُهُ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ الْكُوفِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَصَابَ حَدًّا فَعُجِّلَ عُقُوبَتُهُ فِي الدُّنْيَا فَاللَّهُ أَعْدَلُ مِنْ أَنْ يُثَنِّيَ عَلَى عَبْدِهِ الْعُقُوبَةَ فِي الآخِرَةِ وَمَنْ أَصَابَ حَدًّا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ وَعَفَا عَنْهُ فَاللَّهُ أَكْرَمُ مِنْ أَنْ يَعُودَ فِي شَيْءٍ قَدْ عَفَا عَنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَهَذَا قَوْلُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا كَفَّرَ أَحَدًا بِالزِّنَا أَوِ السَّرِقَةِ وَشُرْبِ الْخَمْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান