আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫৭
জান্নাতী ও জাহান্নামীদের (স্ব স্ব স্থানে) চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান।
২৫৫৯. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ কিয়ামতে আল্লাহ্ তাআলা সব মানূষকে একই ময়দানে জমায়েত করবেন। এরপর আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাদের সম্মুখে নিজেকে প্রকাশ করবেন। বলবেনঃ শোন, (পৃথিবীতে) যে যার অনুসরণ করে চলতো আজ সে তারই অনুসরণ করে চলবে। এরপর ক্রুশ অনুসারীদের জন্য ক্রুশ, মূর্তী পূজকদের জন্য তাদের মূর্তিসমূহ, অগ্নি উপাসকদের জন্য অগ্নি উপস্থাপিত হবে এবং প্রত্যেকেই স্ব স্ব মা’বুদের পেছনে চলবে। অবশেষে কেবল মুসলিমরাই অবশিষ্ট থাকবে। তখন রাব্বুল আলামীন তাদের সামনে প্রকাশিত হবেন। বলবেনঃ তোমরা অন্যান্য লোকদের অনুসরণ করলে না কেন?
মুসলিমরা বলবেঃ নাউযুবিল্লাহ্, আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ্ই আমাদের রব। আমাদের রবকে না দেখা পর্যন্ত এখানেই আমরা অবস্থান করব। তখন তিনিই তাদের নির্দেশ দিবেন এবং সুদৃঢ় রাখবেন। এরপর তিনি অন্তরালে চলে যাবেন। আবার তিনি প্রকাশিত হবেন। বলবেনঃ তোমরা অন্যান্য লোকদের অনূসরণ করলে না কেন? তারা বলবেঃ নাউযুবিল্লাহ্, আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ্ই আমাদের রব। আমাদের রবকে না দেখা পর্যন্ত এখানেই আমরা অবস্থান করব। তখন তিনিই তাদের নির্দেশ দিবেন এবং সুদৃঢ় রাখবেন।
সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা কি তাঁকে দেখব? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের একজন আরেকজনকে কষ্ট দিতে হয়? তাঁরা বললেনঃ না, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বললেনঃ ঐ সময় তাঁকে দেখতেও তোমাদের কোন ধাক্কাধাক্কি হবে না।
অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা অন্তরালে চলে যাবেন। পরে আবার প্রকাশিত হবেন এবং নিজের পরিচয় জ্ঞাপন করবেন। বলবেনঃ আমিই তোমাদের রব। আমার পেছনে তোমরা চল। মুসলিমরা উঠে দাঁড়াবে। পুলসিরাত স্থাপন করা হবে। এর উপর দিয়ে দ্রুতগামী অশ্ব ও উটের ন্যায় তারা অতিক্রম করে যাবে। তাদের ধ্বনি হবে’‘সাল্লিম সাল্লিম’’ রক্ষা কর, রক্ষা কর। জাহান্নামীরা বাকী থেকে যাবে। তাদের এক বিরাট বাহিনীকে এতে নিক্ষেপ করা হবে। পরে জাহান্নামকে বলা হবে, তোর পেট ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি? এরপর এতে আরো একদল নিক্ষেপ করা হবে। বলা হবেঃ তোর ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি?
এরপর এতে আরো একদল নিক্ষেপ করা হবে। বলা হবেঃ তোর ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি? যখন তাতে সব কিছু ভরা শেষ হয়ে যাবে তখন দয়াময় রহমান তাতে তাঁর পা স্থাপন করবেন। এটি পরস্পর সংকুচিত হয়ে যাবে। পরে তিনি বলবেনঃ হলো তো। জাহান্নাম বলবঃ কাত কাত - হয়েছে হয়েছে।
আল্লাহ্ তাআলা জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে দাখিল করে দিবেন। তখন মওতকে গলায় কাপড় বেঁধে টেনে নিয়ে আসা হবে এবং জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের মাঝে অবস্থিত প্রাচীরে সেটিকে রাখা হবে। পরে ডাক দেয়া হবে। হে জান্নাতবাসীগণ! তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নিজ নিজ আবাস থেকে বের হয়ে আসবে। পরে ডাক দেয়া হবে, হে জাহান্নামবাসীগণ! তারা শাফাআতের আশায় আশান্বিত হয়ে খুশীতে নিজ নিজ আবাস থেকে বের হয়ে আসবে। যা হোক, পরে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের বলা হবেঃ তোমরা এটাকে চিন?
এরা ওরা সবাই বলবেঃ আমরা একে চিনেছি। এ-ই হল মৃত্যু যা আমাদের উপর ন্যস্ত করে দেওয়া হয়েছে। পরে এটি শোয়ানো হবে এবং ঐ প্রাচীরের উপর এটিকে যবেহ করে দেওয়া হবে। এরপর বলা হবেঃ হে জান্নাতবাসীগণ! অনন্তকালের জন্য হল তোমাদের এই জান্নাত, মৃত্যু নেই আর। হে জাহান্নামবাসীগণ! অনন্তকালের জন্য হল তোমাদের এই জাহান্নাম, মৃত্যু নেই আর। - বুখারি ও মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। নবী (ﷺ) থেকে এইরূপ বহু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে যেগুলোতে দীদারের বিষয় অর্থাৎ মানুষের তাদের পরওয়ারদিগারকে দেখবে এবং (আল্লাহর) পা বা এরূপ কিছু বিষয়ের উল্লেখ আছে। এই বিষয়ে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা, ইবনে মুবারক, ওয়াকী‘ (রাহঃ) ইমামগণের মত হল যে, তারা এই ধরনের বিষয়াবলীর রিওয়ায়াত করেন। তাঁরা বলেনঃ এই ধরনের হাদীসসমূহ বর্ণনা করা যাবে আর এতদ্বিষয়েও আমরা ঈমানও রাখি কিন্তু এগুলো কেমন তা বলা সম্ভব নয়। হাদীস বিশেষজ্ঞগণও এই মত গ্রহণ করেছেন যে, এই ধরনের বিষয় সম্বলিত হাদীস যেভাবে বর্ণিত হয়ে এসেছে সেইভাবেই রিওয়ায়াত করা যাবে। এতদ্বিষয়ে ঈমান রাখতে হবে তবে এর ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না কিন্তু কেমন তা বলা যাবে না। বিশেষজ্ঞ আলিমগণ এই মতই গ্রহণ করেছেন। হাদীসোক্ত فَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ কথাটির মর্ম হল, আল্লাহ্ তাআলা তাদের সম্মুখে স্বীয় তাজাল্লী জাহির করবেন।
মুসলিমরা বলবেঃ নাউযুবিল্লাহ্, আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ্ই আমাদের রব। আমাদের রবকে না দেখা পর্যন্ত এখানেই আমরা অবস্থান করব। তখন তিনিই তাদের নির্দেশ দিবেন এবং সুদৃঢ় রাখবেন। এরপর তিনি অন্তরালে চলে যাবেন। আবার তিনি প্রকাশিত হবেন। বলবেনঃ তোমরা অন্যান্য লোকদের অনূসরণ করলে না কেন? তারা বলবেঃ নাউযুবিল্লাহ্, আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ্ই আমাদের রব। আমাদের রবকে না দেখা পর্যন্ত এখানেই আমরা অবস্থান করব। তখন তিনিই তাদের নির্দেশ দিবেন এবং সুদৃঢ় রাখবেন।
সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা কি তাঁকে দেখব? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের একজন আরেকজনকে কষ্ট দিতে হয়? তাঁরা বললেনঃ না, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বললেনঃ ঐ সময় তাঁকে দেখতেও তোমাদের কোন ধাক্কাধাক্কি হবে না।
অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা অন্তরালে চলে যাবেন। পরে আবার প্রকাশিত হবেন এবং নিজের পরিচয় জ্ঞাপন করবেন। বলবেনঃ আমিই তোমাদের রব। আমার পেছনে তোমরা চল। মুসলিমরা উঠে দাঁড়াবে। পুলসিরাত স্থাপন করা হবে। এর উপর দিয়ে দ্রুতগামী অশ্ব ও উটের ন্যায় তারা অতিক্রম করে যাবে। তাদের ধ্বনি হবে’‘সাল্লিম সাল্লিম’’ রক্ষা কর, রক্ষা কর। জাহান্নামীরা বাকী থেকে যাবে। তাদের এক বিরাট বাহিনীকে এতে নিক্ষেপ করা হবে। পরে জাহান্নামকে বলা হবে, তোর পেট ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি? এরপর এতে আরো একদল নিক্ষেপ করা হবে। বলা হবেঃ তোর ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি?
এরপর এতে আরো একদল নিক্ষেপ করা হবে। বলা হবেঃ তোর ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি? যখন তাতে সব কিছু ভরা শেষ হয়ে যাবে তখন দয়াময় রহমান তাতে তাঁর পা স্থাপন করবেন। এটি পরস্পর সংকুচিত হয়ে যাবে। পরে তিনি বলবেনঃ হলো তো। জাহান্নাম বলবঃ কাত কাত - হয়েছে হয়েছে।
আল্লাহ্ তাআলা জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে দাখিল করে দিবেন। তখন মওতকে গলায় কাপড় বেঁধে টেনে নিয়ে আসা হবে এবং জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের মাঝে অবস্থিত প্রাচীরে সেটিকে রাখা হবে। পরে ডাক দেয়া হবে। হে জান্নাতবাসীগণ! তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নিজ নিজ আবাস থেকে বের হয়ে আসবে। পরে ডাক দেয়া হবে, হে জাহান্নামবাসীগণ! তারা শাফাআতের আশায় আশান্বিত হয়ে খুশীতে নিজ নিজ আবাস থেকে বের হয়ে আসবে। যা হোক, পরে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের বলা হবেঃ তোমরা এটাকে চিন?
এরা ওরা সবাই বলবেঃ আমরা একে চিনেছি। এ-ই হল মৃত্যু যা আমাদের উপর ন্যস্ত করে দেওয়া হয়েছে। পরে এটি শোয়ানো হবে এবং ঐ প্রাচীরের উপর এটিকে যবেহ করে দেওয়া হবে। এরপর বলা হবেঃ হে জান্নাতবাসীগণ! অনন্তকালের জন্য হল তোমাদের এই জান্নাত, মৃত্যু নেই আর। হে জাহান্নামবাসীগণ! অনন্তকালের জন্য হল তোমাদের এই জাহান্নাম, মৃত্যু নেই আর। - বুখারি ও মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। নবী (ﷺ) থেকে এইরূপ বহু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে যেগুলোতে দীদারের বিষয় অর্থাৎ মানুষের তাদের পরওয়ারদিগারকে দেখবে এবং (আল্লাহর) পা বা এরূপ কিছু বিষয়ের উল্লেখ আছে। এই বিষয়ে সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা, ইবনে মুবারক, ওয়াকী‘ (রাহঃ) ইমামগণের মত হল যে, তারা এই ধরনের বিষয়াবলীর রিওয়ায়াত করেন। তাঁরা বলেনঃ এই ধরনের হাদীসসমূহ বর্ণনা করা যাবে আর এতদ্বিষয়েও আমরা ঈমানও রাখি কিন্তু এগুলো কেমন তা বলা সম্ভব নয়। হাদীস বিশেষজ্ঞগণও এই মত গ্রহণ করেছেন যে, এই ধরনের বিষয় সম্বলিত হাদীস যেভাবে বর্ণিত হয়ে এসেছে সেইভাবেই রিওয়ায়াত করা যাবে। এতদ্বিষয়ে ঈমান রাখতে হবে তবে এর ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না কিন্তু কেমন তা বলা যাবে না। বিশেষজ্ঞ আলিমগণ এই মতই গ্রহণ করেছেন। হাদীসোক্ত فَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ কথাটির মর্ম হল, আল্লাহ্ তাআলা তাদের সম্মুখে স্বীয় তাজাল্লী জাহির করবেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي خُلُودِ أَهْلِ الجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ ثُمَّ يَطَّلِعُ عَلَيْهِمْ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ أَلاَ يَتْبَعُ كُلُّ إِنْسَانٍ مَا كَانُوا يَعْبُدُونَهُ . فَيُمَثَّلُ لِصَاحِبِ الصَّلِيبِ صَلِيبُهُ وَلِصَاحِبِ التَّصَاوِيرِ تَصَاوِيرُهُ وَلِصَاحِبِ النَّارِ نَارُهُ فَيَتْبَعُونَ مَا كَانُوا يَعْبُدُونَ وَيَبْقَى الْمُسْلِمُونَ فَيَطَّلِعُ عَلَيْهِمْ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ أَلاَ تَتَّبِعُونَ النَّاسَ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ اللَّهُ رَبُّنَا هَذَا مَكَانُنَا حَتَّى نَرَى رَبَّنَا . وَهُوَ يَأْمُرُهُمْ وَيُثَبِّتُهُمْ ثُمَّ يَتَوَارَى ثُمَّ يَطَّلِعُ فَيَقُولُ أَلاَ تَتَّبِعُونَ النَّاسَ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ اللَّهُ رَبُّنَا وَهَذَا مَكَانُنَا حَتَّى نَرَى رَبَّنَا . وَهُوَ يَأْمُرُهُمْ وَيُثَبِّتُهُمْ " . قَالُوا وَهَلْ نَرَاهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " وَهَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " . قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّكُمْ لاَ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ تِلْكَ السَّاعَةَ ثُمَّ يَتَوَارَى ثُمَّ يَطَّلِعُ فَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّبِعُونِي . فَيَقُومُ الْمُسْلِمُونَ وَيُوضَعُ الصِّرَاطُ فَيَمُرُّونَ عَلَيْهِ مِثْلَ جِيَادِ الْخَيْلِ وَالرِّكَابِ وَقَوْلُهُمْ عَلَيْهِ سَلِّمْ سَلِّمْ . وَيَبْقَى أَهْلُ النَّارِ فَيُطْرَحُ مِنْهُمْ فِيهَا فَوْجٌ ثُمَّ يُقَالُ هَلِ امْتَلأْتِ فَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ . ثُمَّ يُطْرَحُ فِيهَا فَوْجٌ فَيُقَالُ هَلِ امْتَلأْتِ . فَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ . حَتَّى إِذَا أُوعِبُوا فِيهَا وَضَعَ الرَّحْمَنُ قَدَمَهُ فِيهَا وَأُزْوِيَ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ ثُمَّ قَالَ قَطْ قَالَتْ قَطْ قَطْ فَإِذَا أَدْخَلَ اللَّهُ أَهْلَ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلَ النَّارِ النَّارَ قَالَ أُتِيَ بِالْمَوْتِ مُلَبَّبًا فَيُوقَفُ عَلَى السُّورِ الَّذِي بَيْنَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ . فَيَطَّلِعُونَ خَائِفِينَ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ النَّارِ . فَيَطَّلِعُونَ مُسْتَبْشِرِينَ يَرْجُونَ الشَّفَاعَةَ فَيُقَالُ لأَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ هَلْ تَعْرِفُونَ هَذَا فَيَقُولُونَ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ قَدْ عَرَفْنَاهُ هُوَ الْمَوْتُ الَّذِي وُكِّلَ بِنَا . فَيُضْجَعُ فَيُذْبَحُ ذَبْحًا عَلَى السُّورِ الَّذِي بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ خُلُودٌ لاَ مَوْتَ وَيَا أَهْلَ النَّارِ خُلُودٌ لاَ مَوْتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . - وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ مِثْلُ هَذَا مَا يُذْكَرُ فِيهِ أَمْرُ الرُّؤْيَةِ أَنَّ النَّاسَ يَرَوْنَ رَبَّهُمْ وَذِكْرُ الْقَدَمِ وَمَا أَشْبَهَ هَذِهِ الأَشْيَاءَ وَالْمَذْهَبُ فِي هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ الأَئِمَّةِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَابْنِ عُيَيْنَةَ وَوَكِيعٍ وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ رَوَوْا هَذِهِ الأَشْيَاءَ ثُمَّ قَالُوا تُرْوَى هَذِهِ الأَحَادِيثُ وَنُؤْمِنُ بِهَا وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ وَهَذَا الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْحَدِيثِ أَنْ تُرْوَى هَذِهِ الأَشْيَاءُ كَمَا جَاءَتْ وَيُؤْمَنُ بِهَا وَلاَ تُفَسَّرُ وَلاَ تُتَوَهَّمُ وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ وَهَذَا أَمْرُ أَهْلِ الْعِلْمِ الَّذِي اخْتَارُوهُ وَذَهَبُوا إِلَيْهِ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ فِي الْحَدِيثِ " فَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ " . يَعْنِي يَتَجَلَّى لَهُمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫৮
জান্নাতী ও জাহান্নামীদের (স্ব স্ব স্থানে) চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান।
২৫৬০. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী‘ (রাহঃ) ....... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে মারফূ’ রূপে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মৃত্যুকে সাদা-কালো মিশ্রিত রংের মেষের ন্যায় উপস্থিত করা হবে এবং জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে দাঁড় করান হবে। পরে এটিকে যবেহ করা হবে আর তারা সকলে তা দেখতে থাকবে। কেউ যদি আনন্দে মারা যেত তবে জান্নাতবাসীরা (তা দেখে খুশীতে) অবশ্যই মারা যেত। আর দুঃখে যদি কেউ মারা যেত তবে জাহান্নামীরা (তা দেখে দুঃখে) অবশ্যই মারা যেত। - বুখারি ও মুসলিম
আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।
আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي خُلُودِ أَهْلِ الجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، يَرْفَعُهُ قَالَ " إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أُتِيَ بِالْمَوْتِ كَالْكَبْشِ الأَمْلَحِ فَيُوقَفُ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَيُذْبَحُ وَهُمْ يَنْظُرُونَ فَلَوْ أَنَّ أَحَدًا مَاتَ فَرَحًا لَمَاتَ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَلَوْ أَنَّ أَحَدًا مَاتَ حَزَنًا لَمَاتَ أَهْلُ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: