আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫৩
এই বিষয়ে আর একটি অনুচ্ছেদ।
২৫৫৫. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ সর্বনিম্ন দরজার জান্নাতীর উদ্যান, স্ত্রী, নিআমত, সেবক ও সিংহাসনসমূহ যে দেখতে চাইবে তার জন্য তা হাজার বছরের পথ। আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদার জান্নাতী হল যে জান্নাতী সকাল-বিকাল তাঁর চেহারার দীদার লাভ করবে।
এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিলাওয়ায়ত করলেনঃ(وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ * إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ) সেদিন অনেক মুখমণ্ডল হবে উজ্জ্বল। তারা তাদের পরওয়ারদিগারের প্রতি তাকিয়ে থাকবে (কিয়ামা ৭৫ঃ ২৩)
একাধিক সূত্রে হাদীসটি ইসমাঈল-ছুওয়ায়র-ইবনে উমর (রাযিঃ) সনদে মারফূরূপে বর্ণিত আছে। আব্দুল মালিক ইবনে আবজার (রাহঃ) এটিকে সুফিয়ান-ছুওয়ায়র-মুজাহিদ-ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর উক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনিও এটিকে এটিকে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেননি। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে, কিন্তু তা মারফুরূপে তিনি বর্ণনা করেন নি।
এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিলাওয়ায়ত করলেনঃ(وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ * إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ) সেদিন অনেক মুখমণ্ডল হবে উজ্জ্বল। তারা তাদের পরওয়ারদিগারের প্রতি তাকিয়ে থাকবে (কিয়ামা ৭৫ঃ ২৩)
একাধিক সূত্রে হাদীসটি ইসমাঈল-ছুওয়ায়র-ইবনে উমর (রাযিঃ) সনদে মারফূরূপে বর্ণিত আছে। আব্দুল মালিক ইবনে আবজার (রাহঃ) এটিকে সুফিয়ান-ছুওয়ায়র-মুজাহিদ-ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর উক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনিও এটিকে এটিকে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেননি। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে, কিন্তু তা মারফুরূপে তিনি বর্ণনা করেন নি।
بَابٌ مِنْهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي شَبَابَةُ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً لَمَنْ يَنْظُرُ إِلَى جِنَانِهِ وَأَزْوَاجِهِ وَنَعِيمِهِ وَخَدَمِهِ وَسُرُرِهِ مَسِيرَةَ أَلْفِ سَنَةٍ وَأَكْرَمَهُمْ عَلَى اللَّهِ مَنْ يَنْظُرُ إِلَى وَجْهِهِ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً " . ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: (وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ * إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ) . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ ثُوَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَرْفُوعٌ . وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبْجَرَ عَنْ ثُوَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَوْقُوفٌ .
وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَوْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَوْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫৪
এই বিষয়ে আর একটি অনুচ্ছেদ।
২৫৫৬. মুহাম্মাদ ইবনে তারীফ কূফী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে তোমাদের কি কোন হুড়োহুড়ি হয়? সূর্য দেখতে কি তোমাদের কোন হুটোপুটি হয়? সাহাবীগণ বললেনঃ না। তিনি বললেনঃ তোমরা অচিরেই তোমাদের রবকে তেমনি দেখতে পাবে যেমনি পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে পাও, তা দেখতে তোমাদের মাঝে কোন হুড়োহুড়ি হয় না। - ইবনে মাজাহ, বুখারি ও মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। ইয়াহয়া ইবনে ঈসা রামলী প্রমুখ (রাহঃ) আ’মাশ-আবু সালিহ-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইদরীস এটি আ‘মাশ-আবু সালিহ-আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে ইদরীস-আ’মাশ (রাহঃ) সূত্রের রিওয়ায়াতটি মাহফুজ বা সংরক্ষিত নয়। আবু সালিহ-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ। সুহাঈল ইবনে আবু সালিহ-তৎপিতা আবু সালিহ-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে অন্যভাবেও অনুরূপ হাদীস নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিও সহীহ।
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। ইয়াহয়া ইবনে ঈসা রামলী প্রমুখ (রাহঃ) আ’মাশ-আবু সালিহ-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইদরীস এটি আ‘মাশ-আবু সালিহ-আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে ইদরীস-আ’মাশ (রাহঃ) সূত্রের রিওয়ায়াতটি মাহফুজ বা সংরক্ষিত নয়। আবু সালিহ-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ। সুহাঈল ইবনে আবু সালিহ-তৎপিতা আবু সালিহ-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে অন্যভাবেও অনুরূপ হাদীস নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিও সহীহ।
بَابٌ مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ نُوحٍ الْحِمَّانِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ وَتُضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَإِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ الْقَمَرَ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَهَكَذَا رَوَى يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ ابْنِ إِدْرِيسَ عَنِ الأَعْمَشِ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَحَدِيثُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصَحُّ وَهَكَذَا رَوَاهُ سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مِثْلُ هَذَا الْحَدِيثِ وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান