আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২৫২৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৫২৭
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ
জান্নাতের বালাখানার বিবরণ।
২৫২৯. আলী ইবনে ইবনে হুজুর (রাহঃ) ...... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতে এমন বালাখানা রয়েছে যে, এর ভেতর থেকে বাহির এবং বাহির থেকে ভেতর দেখা যাবে। তখন এক মরুবাসী আরব উঠে দাঁড়াল, বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটি কার জন্য?
তিনি বললেনঃ এটি হবে ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি ভাল কথা বলে, লোকদের খাদ্য খাওয়ায়, সর্বদা রোযা পালন করে এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহর জন্যই রাতে উঠে নামায (তাহাজ্জুদ) আদায় করে।
এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ এ হাদীসের রাবী আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক (রাহঃ) এর স্মরণ শক্তির ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইনি হলেন কুফার বাসিন্দা। আর আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক কুরাশী মাদানী (রাহঃ) এর তুলনায় অধিক নির্ভরযোগ্য।
তিনি বললেনঃ এটি হবে ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি ভাল কথা বলে, লোকদের খাদ্য খাওয়ায়, সর্বদা রোযা পালন করে এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহর জন্যই রাতে উঠে নামায (তাহাজ্জুদ) আদায় করে।
এ হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ এ হাদীসের রাবী আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক (রাহঃ) এর স্মরণ শক্তির ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইনি হলেন কুফার বাসিন্দা। আর আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক কুরাশী মাদানী (রাহঃ) এর তুলনায় অধিক নির্ভরযোগ্য।
أبواب صفة الجنة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ غُرَفِ الجَنَّةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَغُرَفًا يُرَى ظُهُورُهَا مِنْ بُطُونِهَا وَبُطُونُهَا مِنْ ظُهُورِهَا " . فَقَامَ إِلَيْهِ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ لِمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هِيَ لِمَنْ أَطَابَ الْكَلاَمَ وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ وَأَدَامَ الصِّيَامَ وَصَلَّى لِلَّهِ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ هَذَا مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَهُوَ كُوفِيٌّ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ الْقُرَشِيُّ مَدَنِيٌّ وَهُوَ أَثْبَتُ مِنْ هَذَا .
হাদীস নং: ২৫২৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৫২৮
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত জান্নাতের বিবরণ
জান্নাতের বালাখানার বিবরণ।
২৫৩০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আবু বকর ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে কায়স তার পিতা আব্দুল্লাহ্ ইবনে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতের দু’টো বাগিচা হবে রূপার। এ দুটোর পাত্রগুলো এবং যা কিছু আছে সবই হবে রূপার। আর দুটো বাগিচা হবে সোনার। এ দু’টোর পাত্রগুলো এবং যা কিছু আছে সবই হবে সোনার। জান্নাতে আদনে জান্নাতবাসী সম্প্রদায় এবং তাদের প্রভুর দর্শনের মাঝে প্রভুর চেহারার উপর কিবরিয়াঈ (মহাপরাক্রমশীল গৌরবের) চাদর ভিন্ন আর কোন হিজাব থাকবে না।- ইবনে মাজাহ, বুখারি ও মুসলিম।
এ সনদে নবী (ﷺ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ জান্নাতের মাঝে অভ্যন্তর শূন্য একটি মোতির দ্বারা নির্মিত তাঁবু হবে। যার প্রস্থ হবে ষাট মাইল। এর প্রত্যেক কোণে থাকবে পরিবার। অন্যরা তাকে দেখতে পাবে না। মু’মিনরা তাদের (স্ব স্ব জনের) কাছে আসা যাওয়া করবে। -
বুখারি, মুসলিম
এ হাদীসটি সহীহ। রাবী আবু ইমরান জওনী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুল মালিক ইবনে হাবীব। আবু বরক ইবনে মুসা (রাহঃ) সম্পর্কে আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) বলেনঃ তাঁর নাম জানা নেই। আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ)-এর নাম হল আব্দুল্লাহ্ ইবনে কায়স। আর আবু মালিক আশ’আরীর নাম হল সা’দ ইবনে তারিক ইবনে আশয়াম।
এ সনদে নবী (ﷺ) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ জান্নাতের মাঝে অভ্যন্তর শূন্য একটি মোতির দ্বারা নির্মিত তাঁবু হবে। যার প্রস্থ হবে ষাট মাইল। এর প্রত্যেক কোণে থাকবে পরিবার। অন্যরা তাকে দেখতে পাবে না। মু’মিনরা তাদের (স্ব স্ব জনের) কাছে আসা যাওয়া করবে। -
বুখারি, মুসলিম
এ হাদীসটি সহীহ। রাবী আবু ইমরান জওনী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুল মালিক ইবনে হাবীব। আবু বরক ইবনে মুসা (রাহঃ) সম্পর্কে আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) বলেনঃ তাঁর নাম জানা নেই। আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ)-এর নাম হল আব্দুল্লাহ্ ইবনে কায়স। আর আবু মালিক আশ’আরীর নাম হল সা’দ ইবনে তারিক ইবনে আশয়াম।
أبواب صفة الجنة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ غُرَفِ الجَنَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ جَنَّتَيْنِ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ فِضَّةٍ وَجَنَّتَيْنِ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ ذَهَبٍ وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ دُرَّةٍ مُجَوَّفَةٍ عَرْضُهَا سِتُّونَ مِيلاً فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ مَا يَرَوْنَ الآخَرِينَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ يُعْرَفُ اسْمُهُ . وَأَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ وَأَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقِ بْنِ أَشْيَمَ .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ دُرَّةٍ مُجَوَّفَةٍ عَرْضُهَا سِتُّونَ مِيلاً فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ مَا يَرَوْنَ الآخَرِينَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ يُعْرَفُ اسْمُهُ . وَأَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ وَأَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقِ بْنِ أَشْيَمَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: