আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৬. যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৫
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৬৮. আমর ইবনে ইসমাঈল ইবনে মুজালিদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ...... রায়ান ইবনে কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি আমিই প্রথম ব্যক্তি যে আল্লাহর পথে প্রথম রক্ত ঝরিয়েছে। আমিই প্রথম ব্যক্তি যে আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছে, আমি আমার এ অবস্থা দেখেছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীদের এক জামাআতে এক অভিযানে ছিলাম। আমরা গাছের পাতা ও বাবলার ফল ছাড়া কিছুই আহারের জন্য পাইনি। এমন কি আমাদের এক একজন উট-ছাগলের মলের মত মলত্যাগ করত। আর এখন বনু আসাদের লোক এসে দ্বীনের ব্যাপারে আমার ত্রুটি ধরছে।* তা হলে তো আমি ব্যর্থ হলাম এবং আমার আমলও নিস্ফল হল।
* উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে তিনি কূফার গভর্ণর ছিলেন। তখন কূফার বানূ আসাদ গোত্রের কিছু লোক তিনি নামায জানেন না বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। এই সময় তিনি এই কথা বলেছিলেন।
* উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে তিনি কূফার গভর্ণর ছিলেন। তখন কূফার বানূ আসাদ গোত্রের কিছু লোক তিনি নামায জানেন না বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। এই সময় তিনি এই কথা বলেছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ إِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ أَهْرَاقَ دَمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَإِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَغْزُو فِي الْعِصَابَةِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مَا نَأْكُلُ إِلاَّ وَرَقَ الشَّجَرِ وَالْحُبُلَةِ حَتَّى إِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ أَوِ الْبَعِيرُ وَأَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ يُعَزِّرُونِي فِي الدِّينِ لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ بَيَانٍ .
হাদীস নং:২৩৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৬
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৬৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সা‘দ ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমিই প্রথম আরব ব্যক্তি যে আল্লাহর পথে তীর ছুড়েছে। আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যুক্ত করতে দেখেছি তখন বাবলা বৃক্ষ আর বুনো জাম ছাড়া আমাদের সঙ্গে আহারের কোন কিছুই ছিল না। এমন কি তা খেয়ে আমাদের এক একজন বকরীর মলের ন্যায় মল ত্যাগ করত। এরপর এখন বনু আসাদরা দ্বীনের বিষয়ে আমার ত্রুটি ধরতে আসে। এ যদি হয় তাহলে তো আমি ক্ষতিগ্রস্ত এবং আমার আমলও নিষ্ফল।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنِّي أَوَّلُ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ الْحُبُلَةَ وَهَذَا السَّمُرَ حَتَّى إِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ يُعَزِّرُونِي فِي الدِّينِ لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ .
হাদীস নং:২৩৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৭
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৭০. কুতায়বা (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর কাছে ছিলাম। তাঁর গায়ে তখন দুটো রংিন কাতান কাপড় ছিল। একটাতে তিনি নাক ঝাড়লেন। এরপর বললেনঃ বেশ বেশ, আবু হুরায়রা আজ কাতান কাপড় দিয়ে নাক ঝাড়ছে। অথচ আমাকে দেখেছি যে, ক্ষুধায় কাতর হয়ে আয়িশার হুজরা এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বরের মাঝে বেহুশ হয়ে পড়ে আছি। তখন একজন এসে আমার গর্দানে পা চাপা দিয়ে ধরছে। সে মনে করেছে আমাকে বুঝি পাগলামোয় পেয়েছে। অথচ আমার কোন পাগলামো রোগ ছিল না। এ তো ক্ষুধার জ্বালা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَلَيْهِ ثَوْبَانِ مُمَشَّقَانِ مِنْ كَتَّانٍ فَتَمَخَّطَ فِي أَحَدِهِمَا ثُمَّ قَالَ بَخٍ بَخٍ يَتَمَخَّطُ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي الْكَتَّانِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنِّي لأَخِرُّ فِيمَا بَيْنَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحُجْرَةِ عَائِشَةَ مِنَ الْجُوعِ مَغْشِيًّا عَلَىَّ فَيَجِيءُ الْجَائِي فَيَضَعُ رِجْلَهُ عَلَى عُنُقِي يُرَى أَنَّ بِيَ الْجُنُونَ وَمَا بِي جُنُونٌ وَمَا هُوَ إِلاَّ الْجُوعُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
হাদীস নং:২৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৮
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৭১. আব্বাস ইবনে মুহাম্মাদ দূরী (রাহঃ) ..... ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন লোকদের নিয়ে নামাযে দাঁড়াতেন তখন কিছু লোক ক্ষুধার তীব্র জ্বালায় দাঁড়ানো থেকে নামাযের মাঝেই নীচে পড়ে যেতেন। এরা ছিলেন, ’সুফফার’ সদস্য।* এমনকি তাদের এই অবস্থা দেখে মরুবাসী আরবরা বলতঃ এরা পাগল নাকি!
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে এদের দিকে ফেরতেন। বলতেনঃ তোমরা যদি জানতে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য কি নিআমত আছে তাহলে তোমরা আরো ক্ষুধার্ত থাকতে আরো অভাবী থাকতে ভালবাসতে। ফাযালা (রাযিঃ) বলেন, আমি ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গেই ছিলাম।
* একদল সাহাবী তালীম ও নবীজী (ﷺ)-এর নির্দেশের অপেক্ষায় সব সময় হাযির থাকতেন। তাঁদের কোন বাড়ি-ঘর বা নির্দিষ্ট কোন কামাই-রোযগার ছিল না। তাঁরা সুফ্ফা বা মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় বসবাস করতেন। তাঁরা খুবই দরিদ্র ছিলেন, কাঠ কেটে বা কায়িক পরিশ্রম করে বা নবীজীর বদান্যতার ওয়াসীলায় তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদেরকে আহলে সুফফা বলা হত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে এদের দিকে ফেরতেন। বলতেনঃ তোমরা যদি জানতে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য কি নিআমত আছে তাহলে তোমরা আরো ক্ষুধার্ত থাকতে আরো অভাবী থাকতে ভালবাসতে। ফাযালা (রাযিঃ) বলেন, আমি ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গেই ছিলাম।
* একদল সাহাবী তালীম ও নবীজী (ﷺ)-এর নির্দেশের অপেক্ষায় সব সময় হাযির থাকতেন। তাঁদের কোন বাড়ি-ঘর বা নির্দিষ্ট কোন কামাই-রোযগার ছিল না। তাঁরা সুফ্ফা বা মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় বসবাস করতেন। তাঁরা খুবই দরিদ্র ছিলেন, কাঠ কেটে বা কায়িক পরিশ্রম করে বা নবীজীর বদান্যতার ওয়াসীলায় তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদেরকে আহলে সুফফা বলা হত।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، أَنَّ أَبَا عَلِيٍّ، عَمْرَو بْنَ مَالِكٍ الْجَنْبِيَّ أَخْبَرَهُ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا صَلَّى بِالنَّاسِ يَخِرُّ رِجَالٌ مِنْ قَامَتِهِمْ فِي الصَّلاَةِ مِنَ الْخَصَاصَةِ وَهُمْ أَصْحَابُ الصُّفَّةِ حَتَّى تَقُولَ الأَعْرَابُ هَؤُلاَءِ مَجَانِينُ أَوْ مَجَانُونَ فَإِذَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ " لَوْ تَعْلَمُونَ مَا لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ لأَحْبَبْتُمْ أَنْ تَزْدَادُوا فَاقَةً وَحَاجَةً " . قَالَ فَضَالَةُ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:২৩৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৯
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৭২. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ) এমন এক সময় (ঘর থেকে) বের হলেন যে সময় (সাধারণত) তিনি বের হন না এবং এই সময়ে তাঁর সঙ্গে কেউ মূলাকাত করতেও আসে না। অনন্তর আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর কাছে এলেন। তিনি বললেনঃ হে আবু বকর, তোমার আগমনের কারণ কি?
তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলাম। তাঁর চেহারা মুবারকের দিকে তাকাব এবং তাঁকে সালাম পেশ করব। কিছুক্ষণ না যেতেই উমর (রাযিঃ) এসে হাযির হলেন। তিনি বললেন, হে উমর তোমার আগমনের কারণ কি? তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, ক্ষুধার জ্বালায়। নবীজী (ﷺ) বললেনঃ আমিও এই ধরণের কিছু পাচ্ছি।
এরপর তারা সকলেই আবুল হায়সাম ইবনে তায়্যিহান আনসারীর বাড়ি চললেন। তিনি বহু খেজুর বৃক্ষ ও ছাগলের অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। তবে তাঁর কোন চাকর-নকর ছিল না। তাঁরা তাকে বাড়ি পেলেন না। তার স্ত্রীকে বললেনঃ তোমার সঙ্গী কই?
তার স্ত্রী বললেনঃ আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গিয়েছেন তিনি। অল্পক্ষণ পরেই আবুল হায়ছাম পানি ভর্তি মশক বয়ে ফিরে এলেন। এরপর তিনি মশকটি রাখলেন এবং জলদি এসে নবী (ﷺ)-কে জাপটে ধরলেন এবং তাঁর জন্য স্বীয় পিতা-মাতা কুরবান হোক কথাটি বললেন। এরপর তাঁদের নিয়ে তার বাগানে গেলেন এবং তাঁদের জন্য একটি বিছানা বিছিয়ে দিলেন। পরে গিয়ে একটি খেজুর গাছ থেকে একটি ছড়া পেড়ে সামনে এনে রাখলেন।
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমাদের জন্য পাকাগুলি আলাদা করে নিয়ে আসতে পারলে না?
আবুল হায়ছাম বললেনঃ আমার ইচ্ছা হল, আপনারা কাচা পাকা যা ইচ্ছা পছন্দ করে নেন।
এরপর তাঁরা তা আহার করলেন এবং ঐ পানি পান করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, এ-ও এমন এক নিআমত যে সম্পর্কে কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রশ্ন করা হবে। এই শীতল ছায়া, সুস্বাদু পাকা টাটকা খেজুর আর ঠাণ্ডা পানি (কত নিআমত!)
পরে আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) তাঁদের জন্য খানা প্রস্তুত করতে উঠে চললেন তখন নবী (ﷺ) বললেন দুধওয়ালা কোন পশু যবেহ করবে না।
তিনি তাঁদের জন্য একটি বকরীর বাচ্চা যবেহ করলেন এবং তা পাকিয়ে নিয়ে এলেন। এরপর সকলেই তা খেলেন। পরে নবী (ﷺ) তাকে বললেন তোমার কোন খাদেম আছে কি? তিনি বললেনঃ নেই। নবী (ﷺ) বললেন যখন কোন বন্দী আসবে তখন আমার কাছে এসো।
পরবর্তীকালে নবী (ﷺ) এর কাছে দু’টি দাস আসে। তৃতীয় আর কোন দাস সেই সাথে ছিল না। আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) তখন তাঁর কাছে আসলেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ দু’টোর যেটি পছন্দ হয় নিয়ে যাও।
আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর নবী, আপনিই আমার জন্য একটিকে পছন্দ করে দিন।
নবী (ﷺ) বললেনঃ পরামর্শদাতাকে আমানতদার হতে হবে। এটিকে নাও। একে আমি নামায আদায় করতে দেখেছি। তার বিষয়ে আমি তোমাকে সদাচারের বিশেষ নসীহত করছি।
আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) তার স্ত্রীর কাছে গেলেন এবং নবী (ﷺ) এর উক্তি সম্পর্কে তাকে জানালেন। তখন তার স্ত্রী বললেনঃ তুমি একে আযাদ করে দেওয়া ছাড়া এর বিষয়ে নবী (ﷺ) তোমাকে যা করতে বলেছেন সে স্তরে পৌছতে পারবে না। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এ এখন স্বাধীন।
নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা এমন কোন নবী বা খালীফা পাঠাননি যার দুইজন অন্তরং্গ পরামর্শদাতা নেই। একজন তো তাকে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে থাকে। আরেকজন তার ক্ষতি করতে বিন্দু মাত্র কসুর করে না। আর যাকে মন্দ পরামর্শদাতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তিনিই বেঁচে যেতে পেরেছেন।
তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলাম। তাঁর চেহারা মুবারকের দিকে তাকাব এবং তাঁকে সালাম পেশ করব। কিছুক্ষণ না যেতেই উমর (রাযিঃ) এসে হাযির হলেন। তিনি বললেন, হে উমর তোমার আগমনের কারণ কি? তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, ক্ষুধার জ্বালায়। নবীজী (ﷺ) বললেনঃ আমিও এই ধরণের কিছু পাচ্ছি।
এরপর তারা সকলেই আবুল হায়সাম ইবনে তায়্যিহান আনসারীর বাড়ি চললেন। তিনি বহু খেজুর বৃক্ষ ও ছাগলের অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। তবে তাঁর কোন চাকর-নকর ছিল না। তাঁরা তাকে বাড়ি পেলেন না। তার স্ত্রীকে বললেনঃ তোমার সঙ্গী কই?
তার স্ত্রী বললেনঃ আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গিয়েছেন তিনি। অল্পক্ষণ পরেই আবুল হায়ছাম পানি ভর্তি মশক বয়ে ফিরে এলেন। এরপর তিনি মশকটি রাখলেন এবং জলদি এসে নবী (ﷺ)-কে জাপটে ধরলেন এবং তাঁর জন্য স্বীয় পিতা-মাতা কুরবান হোক কথাটি বললেন। এরপর তাঁদের নিয়ে তার বাগানে গেলেন এবং তাঁদের জন্য একটি বিছানা বিছিয়ে দিলেন। পরে গিয়ে একটি খেজুর গাছ থেকে একটি ছড়া পেড়ে সামনে এনে রাখলেন।
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমাদের জন্য পাকাগুলি আলাদা করে নিয়ে আসতে পারলে না?
আবুল হায়ছাম বললেনঃ আমার ইচ্ছা হল, আপনারা কাচা পাকা যা ইচ্ছা পছন্দ করে নেন।
এরপর তাঁরা তা আহার করলেন এবং ঐ পানি পান করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, এ-ও এমন এক নিআমত যে সম্পর্কে কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রশ্ন করা হবে। এই শীতল ছায়া, সুস্বাদু পাকা টাটকা খেজুর আর ঠাণ্ডা পানি (কত নিআমত!)
পরে আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) তাঁদের জন্য খানা প্রস্তুত করতে উঠে চললেন তখন নবী (ﷺ) বললেন দুধওয়ালা কোন পশু যবেহ করবে না।
তিনি তাঁদের জন্য একটি বকরীর বাচ্চা যবেহ করলেন এবং তা পাকিয়ে নিয়ে এলেন। এরপর সকলেই তা খেলেন। পরে নবী (ﷺ) তাকে বললেন তোমার কোন খাদেম আছে কি? তিনি বললেনঃ নেই। নবী (ﷺ) বললেন যখন কোন বন্দী আসবে তখন আমার কাছে এসো।
পরবর্তীকালে নবী (ﷺ) এর কাছে দু’টি দাস আসে। তৃতীয় আর কোন দাস সেই সাথে ছিল না। আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) তখন তাঁর কাছে আসলেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ দু’টোর যেটি পছন্দ হয় নিয়ে যাও।
আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর নবী, আপনিই আমার জন্য একটিকে পছন্দ করে দিন।
নবী (ﷺ) বললেনঃ পরামর্শদাতাকে আমানতদার হতে হবে। এটিকে নাও। একে আমি নামায আদায় করতে দেখেছি। তার বিষয়ে আমি তোমাকে সদাচারের বিশেষ নসীহত করছি।
আবুল হায়ছাম (রাযিঃ) তার স্ত্রীর কাছে গেলেন এবং নবী (ﷺ) এর উক্তি সম্পর্কে তাকে জানালেন। তখন তার স্ত্রী বললেনঃ তুমি একে আযাদ করে দেওয়া ছাড়া এর বিষয়ে নবী (ﷺ) তোমাকে যা করতে বলেছেন সে স্তরে পৌছতে পারবে না। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এ এখন স্বাধীন।
নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা এমন কোন নবী বা খালীফা পাঠাননি যার দুইজন অন্তরং্গ পরামর্শদাতা নেই। একজন তো তাকে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে থাকে। আরেকজন তার ক্ষতি করতে বিন্দু মাত্র কসুর করে না। আর যাকে মন্দ পরামর্শদাতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তিনিই বেঁচে যেতে পেরেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي سَاعَةٍ لاَ يَخْرُجُ فِيهَا وَلاَ يَلْقَاهُ فِيهَا أَحَدٌ فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ " مَا جَاءَ بِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ " . فَقَالَ خَرَجْتُ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْظُرُ فِي وَجْهِهِ وَالتَّسْلِيمَ عَلَيْهِ . فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ " مَا جَاءَ بِكَ يَا عُمَرُ " . قَالَ الْجُوعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَأَنَا قَدْ وَجَدْتُ بَعْضَ ذَلِكَ " . فَانْطَلَقُوا إِلَى مَنْزِلِ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيِّهَانِ الأَنْصَارِيِّ وَكَانَ رَجُلاً كَثِيرَ النَّخْلِ وَالشَّاءِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ خَدَمٌ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَقَالُوا لاِمْرَأَتِهِ أَيْنَ صَاحِبُكِ فَقَالَتِ انْطَلَقَ يَسْتَعْذِبُ لَنَا الْمَاءَ . فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ جَاءَ أَبُو الْهَيْثَمِ بِقِرْبَةٍ يَزْعَبُهَا فَوَضَعَهَا ثُمَّ جَاءَ يَلْتَزِمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَيُفَدِّيهِ بِأَبِيهِ وَأُمِّهِ ثُمَّ انْطَلَقَ بِهِمْ إِلَى حَدِيقَتِهِ فَبَسَطَ لَهُمْ بِسَاطًا ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى نَخْلَةٍ فَجَاءَ بِقِنْوٍ فَوَضَعَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَفَلاَ تَنَقَّيْتَ لَنَا مِنْ رُطَبِهِ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ تَخْتَارُوا أَوْ قَالَ تَخَيَّرُوا مِنْ رُطَبِهِ وَبُسْرِهِ . فَأَكَلُوا وَشَرِبُوا مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مِنَ النَّعِيمِ الَّذِي تُسْأَلُونَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ظِلٌّ بَارِدٌ وَرُطَبٌ طَيِّبٌ وَمَاءٌ بَارِدٌ " . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ لِيَصْنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَذْبَحَنَّ ذَاتَ دَرٍّ " . قَالَ فَذَبَحَ لَهُمْ عَنَاقًا أَوْ جَدْيًا فَأَتَاهُمْ بِهَا فَأَكَلُوا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَلْ لَكَ خَادِمٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَإِذَا أَتَانَا سَبْىٌ فَائْتِنَا " . فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَأْسَيْنِ لَيْسَ مَعَهُمَا ثَالِثٌ فَأَتَاهُ أَبُو الْهَيْثَمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اخْتَرْ مِنْهُمَا " . فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ اخْتَرْ لِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمُسْتَشَارَ مُؤْتَمَنٌ خُذْ هَذَا فَإِنِّي رَأَيْتُهُ يُصَلِّي وَاسْتَوْصِ بِهِ مَعْرُوفًا " . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَأَخْبَرَهَا بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ مَا أَنْتَ بِبَالِغٍ مَا قَالَ فِيهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ أَنْ تَعْتِقَهُ قَالَ فَهُوَ عَتِيقٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْ نَبِيًّا وَلاَ خَلِيفَةً إِلاَّ وَلَهُ بِطَانَتَانِ بِطَانَةٌ تَأْمُرُهُ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَاهُ عَنِ الْمُنْكَرِ وَبِطَانَةٌ لاَ تَأْلُوهُ خَبَالاً وَمَنْ يُوقَ بِطَانَةَ السُّوءِ فَقَدْ وُقِيَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
হাদীস নং:২৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭০
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৭৩. সালিহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ...... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) বের হলেন। অতঃপর তিনি উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمًا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَحَدِيثُ شَيْبَانَ أَتَمُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ وَأَطْوَلُ . وَشَيْبَانُ ثِقَةٌ عِنْدَهُمْ صَاحِبُ كِتَابٍ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৩৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭১
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৭৪. আব্দুল্লাহ ইবনে আবু যিয়াদ (রাহঃ) .... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট অনাহারের অভিযোগ করলাম এবং আমাদের পেটের কাপড় সরিয়ে এক একটি পাথর (বাঁধা) দেখালাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তাঁর পেটে দু‘টো পাথর বাঁধা দেখালেন।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارُ بْنُ حَاتِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَنْصُورٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْجُوعَ وَرَفَعْنَا عَنْ بُطُونِنَا عَنْ حَجَرٍ حَجَرٍ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ حَجَرَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭২
নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের জীবন-যাপন।
২৩৭৫. কুতায়বা (রাহঃ) ..... সিমাক ইবনে হারব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি নু‘মান ইবনে বাশীর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমর তো এখন তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী পানাহার করতে পার অথচ তোমাদের নবী (ﷺ)-কে আমি দেখেছি যে, তিনি এমন কোন রদ্দী খেজুরও পাচ্ছেন না যা দিয়ে তিনি পেট ভরতে পারেন।
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ أَلَسْتُمْ فِي طَعَامٍ وَشَرَابٍ مَا شِئْتُمْ لَقَدْ رَأَيْتُ نَبِيَّكُمْ صلى الله عليه وسلم وَمَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ مَا يَمْلأُ بَطْنَهُ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى أَبُو عَوَانَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ . وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سِمَاكٍ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ عَنْ عُمَرَ .