আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৩. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২১৯১
আন্তর্জাতিক নং: ২১৯১
কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নবী (ﷺ) কর্তৃক সাহাবীগণকে অবহিত করা।
২১৯৪. ইমরান ইবনে মুসা কাযযায বসরী (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে দিন থাকতেই (অর্থাৎ একেবারে আওয়াল ওয়াক্তে) আসরের নামায আদায় করেন। এরপর তিনি খুতবা দিতে দাঁড়ান। এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সবকিছু সম্পর্কে তিনি আমাদের অবহিত করেন। যার মনে রাখার তা মনে রেখেছে আর যার ভুলে যাওয়ার সে তা ভুলে গিয়েছে। এতে তিনি যা বলেছিলেন তার মধ্যে ছিলঃ
এ দুনিয়া দেখতে শ্যামল এবং মধূর। আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী করেছেন। এরপর তোমরা কি আমল করছ তা তিনি লক্ষ্য করেছেন। শোন, দুনিয়া থেকে বেঁচে থাকবে আর মেয়েদের থেকেও সতর্ক থাকবে। তিনি আরো বলেছেনঃ শোন, যখন কোন সত্য সম্পর্কে জানবে তখন তোমাদের কাউকে কোন মানুষের ভয় যেন তা বলতে কখনো বিরত না রাখে। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর আবু সাঈদ (রাযিঃ) কেঁদে ফেললেন। বললেন আল্লাহর কসম, অনেক বিষয় আমরা হতে দেখছি কিন্তু তা বলতে মানুষকে ভয় করেছি। তিনি (নবী (ﷺ)) আরও বলেছিলেনঃ শুনে রাখ, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাস ঘাতককেই তার বিশ্বাস ঘাতকতার পরিমাণ অনুসারে এক একটি নিশান লাগিয়ে দেওয়া হবে। মুসলিম রাষ্ট্র নায়ক কর্তৃক বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে আর ভীষণ কোন বিশ্বাসঘাতকতা নাই। তার এই নিশান তার নিতম্বের কাছে বেঁধে দেওয়া হবে।
ঐদিনের আরো যে কথা আমরা স্মরণ রেখেছি তার মধ্যে ছিল, শুনে রাখ, আদম সন্তানকে বিভিন্ন শ্রেণীতে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তো একদল এমন যারা মু‘মিনরূপেই জন্ম নিয়েছে এবং মু‘মিনরূপেই তাদের জীবন অতিবাহিত হয়েছে আর মু‘মিনরূপেই তাদের মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল, যারা কাফিররূপে জন্ম নিয়েছে এবং কাফিররূপে তারা জীবন অতিবাহিত করেছে আর কাফিররূপেই তাদের মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল মু‘মিনরূপে জন্মগ্রহণ করেছে, মু‘মিনরূপে জীবন কাটিয়েছে কিন্তু কাফিররূপে তার মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল, কাফিররূপে জন্ম লাভ করেছে, কাফিররূপেই জীবন কাটিয়েছে কিন্তু মু‘মিনরূপে মৃত্যুবরণ করেছে।
শুনে রাখ, মানুষের মধ্যে কেউ তো এমন আছে যার দেরীতে রাগ আসে আর তাড়াতাড়ি তা প্রশমিত হয়ে যায়, কেউ তো আছে যার ক্রোধ আসেও তাড়াতাড়ি আবার তা প্রশমিতও হয় তাড়াতাড়ি। সুতরাং উহার পরিবর্তে ইহা।
শোন, কেউ তো আছে এমন যার ক্রোধ সঞ্চার হয় তাড়াতাড়ি কিন্তু প্রশমিত হয় দেরীতে। শোন, তাদের মধ্যে উত্তম হল যার ক্রোধ সঞ্চার হয় দেরীতে প্রশমন হয় তাড়াতাড়ি। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল যার ক্রোধ সঞ্চার হয় তাড়াতাড়ি কিন্তু প্রশমন হয় দেরীতে।
শোন, মানুষের মাঝে কেউ তো এমন আছে যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও সে সুন্দর আবার তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও সে ভদ্র; কেউ তো এমন যে পরিশোধের ক্ষেত্রে খারাপ কিন্তু তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে ভদ্র; কেউ তো এমন যে পরিশোধের ক্ষেত্রে তো সুন্দর কিন্তু তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অভদ্র। সুতরাং এ ক্ষেত্রে একটি আরেকটির বদলা হয়ে যায়। শোন, কেউ তো হল এমন, পরিশোধের ক্ষেত্রেও খারাপ এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও অভদ্র। শোন, তাদের মাঝে সর্বোত্তম হল সে, যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও সুন্দর এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও ভদ্র। শোন, তাদের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল সে, যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও খারাপ এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অভদ্র। শোন, ক্রোধ হল মানুষের মনের এক অগ্নি স্ফুলিঙ্গ। তোমরা কি দেখনি, ক্রোধান্বিত ব্যক্তির চক্ষু লাল হয়ে যায়, তার রগ ফুলে উঠে তোমাদের কেউ যদি এ ধরণের কিছু টের পায় তাহলে সে যেন মাটির সাথে লেপটে যায়। রাবী বলেনঃ আমরা সূর্যের দিকে তাকাচ্ছিলাম এখনও (অস্ত যেতে) কিছু বাকী আছে কিনা।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দুনিয়ার যাতটুকু অতীত হয়ে গেছে সে হিসাবে এতটুকুও আর বাকী নাই যেটুকু আজকের দিনের বাকী আছে যা অতিবাহিত হয়েছে সে তুলনায়।
এ দুনিয়া দেখতে শ্যামল এবং মধূর। আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী করেছেন। এরপর তোমরা কি আমল করছ তা তিনি লক্ষ্য করেছেন। শোন, দুনিয়া থেকে বেঁচে থাকবে আর মেয়েদের থেকেও সতর্ক থাকবে। তিনি আরো বলেছেনঃ শোন, যখন কোন সত্য সম্পর্কে জানবে তখন তোমাদের কাউকে কোন মানুষের ভয় যেন তা বলতে কখনো বিরত না রাখে। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর আবু সাঈদ (রাযিঃ) কেঁদে ফেললেন। বললেন আল্লাহর কসম, অনেক বিষয় আমরা হতে দেখছি কিন্তু তা বলতে মানুষকে ভয় করেছি। তিনি (নবী (ﷺ)) আরও বলেছিলেনঃ শুনে রাখ, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাস ঘাতককেই তার বিশ্বাস ঘাতকতার পরিমাণ অনুসারে এক একটি নিশান লাগিয়ে দেওয়া হবে। মুসলিম রাষ্ট্র নায়ক কর্তৃক বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে আর ভীষণ কোন বিশ্বাসঘাতকতা নাই। তার এই নিশান তার নিতম্বের কাছে বেঁধে দেওয়া হবে।
ঐদিনের আরো যে কথা আমরা স্মরণ রেখেছি তার মধ্যে ছিল, শুনে রাখ, আদম সন্তানকে বিভিন্ন শ্রেণীতে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তো একদল এমন যারা মু‘মিনরূপেই জন্ম নিয়েছে এবং মু‘মিনরূপেই তাদের জীবন অতিবাহিত হয়েছে আর মু‘মিনরূপেই তাদের মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল, যারা কাফিররূপে জন্ম নিয়েছে এবং কাফিররূপে তারা জীবন অতিবাহিত করেছে আর কাফিররূপেই তাদের মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল মু‘মিনরূপে জন্মগ্রহণ করেছে, মু‘মিনরূপে জীবন কাটিয়েছে কিন্তু কাফিররূপে তার মৃত্যু ঘটেছে; আরেক শ্রেণী হল, কাফিররূপে জন্ম লাভ করেছে, কাফিররূপেই জীবন কাটিয়েছে কিন্তু মু‘মিনরূপে মৃত্যুবরণ করেছে।
শুনে রাখ, মানুষের মধ্যে কেউ তো এমন আছে যার দেরীতে রাগ আসে আর তাড়াতাড়ি তা প্রশমিত হয়ে যায়, কেউ তো আছে যার ক্রোধ আসেও তাড়াতাড়ি আবার তা প্রশমিতও হয় তাড়াতাড়ি। সুতরাং উহার পরিবর্তে ইহা।
শোন, কেউ তো আছে এমন যার ক্রোধ সঞ্চার হয় তাড়াতাড়ি কিন্তু প্রশমিত হয় দেরীতে। শোন, তাদের মধ্যে উত্তম হল যার ক্রোধ সঞ্চার হয় দেরীতে প্রশমন হয় তাড়াতাড়ি। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল যার ক্রোধ সঞ্চার হয় তাড়াতাড়ি কিন্তু প্রশমন হয় দেরীতে।
শোন, মানুষের মাঝে কেউ তো এমন আছে যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও সে সুন্দর আবার তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও সে ভদ্র; কেউ তো এমন যে পরিশোধের ক্ষেত্রে খারাপ কিন্তু তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে ভদ্র; কেউ তো এমন যে পরিশোধের ক্ষেত্রে তো সুন্দর কিন্তু তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অভদ্র। সুতরাং এ ক্ষেত্রে একটি আরেকটির বদলা হয়ে যায়। শোন, কেউ তো হল এমন, পরিশোধের ক্ষেত্রেও খারাপ এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও অভদ্র। শোন, তাদের মাঝে সর্বোত্তম হল সে, যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও সুন্দর এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রেও ভদ্র। শোন, তাদের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল সে, যে পরিশোধের ক্ষেত্রেও খারাপ এবং তাগাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অভদ্র। শোন, ক্রোধ হল মানুষের মনের এক অগ্নি স্ফুলিঙ্গ। তোমরা কি দেখনি, ক্রোধান্বিত ব্যক্তির চক্ষু লাল হয়ে যায়, তার রগ ফুলে উঠে তোমাদের কেউ যদি এ ধরণের কিছু টের পায় তাহলে সে যেন মাটির সাথে লেপটে যায়। রাবী বলেনঃ আমরা সূর্যের দিকে তাকাচ্ছিলাম এখনও (অস্ত যেতে) কিছু বাকী আছে কিনা।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দুনিয়ার যাতটুকু অতীত হয়ে গেছে সে হিসাবে এতটুকুও আর বাকী নাই যেটুকু আজকের দিনের বাকী আছে যা অতিবাহিত হয়েছে সে তুলনায়।
باب ما جاء ما أخبر النبي صلى الله عليه وسلم أصحابه بما هو كائن إلى يوم القيامة
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا صَلاَةَ الْعَصْرِ بِنَهَارٍ ثُمَّ قَامَ خَطِيبًا فَلَمْ يَدَعْ شَيْئًا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ أَخْبَرَنَا بِهِ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ وَكَانَ فِيمَا قَالَ " إِنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ وَإِنَّ اللَّهَ مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا فَنَاظِرٌ كَيْفَ تَعْمَلُونَ أَلاَ فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ " . وَكَانَ فِيمَا قَالَ " أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ رَجُلاً هَيْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ إِذَا عَلِمَهُ " . قَالَ فَبَكَى أَبُو سَعِيدٍ فَقَالَ قَدْ وَاللَّهِ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ فَهِبْنَا . وَكَانَ فِيمَا قَالَ " أَلاَ إِنَّهُ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَدْرِ غَدْرَتِهِ وَلاَ غَدْرَةَ أَعْظَمَ مِنْ غَدْرَةِ إِمَامِ عَامَّةٍ يُرْكَزُ لِوَاؤُهُ عِنْدَ اسْتِهِ " . وَكَانَ فِيمَا حَفِظْنَا يَوْمَئِذٍ " أَلاَ إِنَّ بَنِي آدَمَ خُلِقُوا عَلَى طَبَقَاتٍ شَتَّى فَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ مُؤْمِنًا وَيَحْيَا مُؤْمِنًا وَيَمُوتُ مُؤْمِنًا وَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ كَافِرًا وَيَحْيَا كَافِرًا وَيَمُوتُ كَافِرًا وَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ مُؤْمِنًا وَيَحْيَا مُؤْمِنًا وَيَمُوتُ كَافِرًا وَمِنْهُمْ مَنْ يُولَدُ كَافِرًا وَيَحْيَا كَافِرًا وَيَمُوتُ مُؤْمِنًا أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمُ الْبَطِيءَ الْغَضَبِ سَرِيعَ الْفَىْءِ وَمِنْهُمْ سَرِيعُ الْغَضَبِ سَرِيعُ الْفَىْءِ فَتِلْكَ بِتِلْكَ أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمْ سَرِيعَ الْغَضَبِ بَطِيءَ الْفَىْءِ أَلاَ وَخَيْرُهُمْ بَطِيءُ الْغَضَبِ سَرِيعُ الْفَىْءِ أَلاَ وَشَرُّهُمْ سَرِيعُ الْغَضَبِ بَطِيءُ الْفَىْءِ أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمْ حَسَنَ الْقَضَاءِ حَسَنَ الطَّلَبِ وَمِنْهُمْ سَيِّئُ الْقَضَاءِ حَسَنُ الطَّلَبِ وَمِنْهُمْ حَسَنُ الْقَضَاءِ سَيِّئُ الطَّلَبِ فَتِلْكَ بِتِلْكَ أَلاَ وَإِنَّ مِنْهُمُ السَّيِّئَ الْقَضَاءِ السَّيِّئَ الطَّلَبِ أَلاَ وَخَيْرُهُمُ الْحَسَنُ الْقَضَاءِ الْحَسَنُ الطَّلَبِ أَلاَ وَشَرُّهُمْ سَيِّئُ الْقَضَاءِ سَيِّئُ الطَّلَبِ أَلاَ وَإِنَّ الْغَضَبَ جَمْرَةٌ فِي قَلْبِ ابْنِ آدَمَ أَمَا رَأَيْتُمْ إِلَى حُمْرَةِ عَيْنَيْهِ وَانْتِفَاخِ أَوْدَاجِهِ فَمَنْ أَحَسَّ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَلْصَقْ بِالأَرْضِ " . قَالَ وَجَعَلْنَا نَلْتَفِتُ إِلَى الشَّمْسِ هَلْ بَقِيَ مِنْهَا شَيْءٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا فِيمَا مَضَى مِنْهَا إِلاَّ كَمَا بَقِيَ مِنْ يَوْمِكُمْ هَذَا فِيمَا مَضَى مِنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ وَأَبِي مَرْيَمَ وَأَبِي زَيْدِ بْنِ أَخْطَبَ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَذَكَرُوا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُمَ بِمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى أَنْ تَقُومَ السَّاعَةُ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .