আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২৪. পোশাক-পরিচ্ছদের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৭২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৭
মৃত প্রাণীর চামড়া পাকা করা হলে।
১৭৩৩। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু রাবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, একবার একটি বকরী মারা যায়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মালিকদের বলেছেন, তোমরা চামড়াটি ছিলে নিলে না কেন? সেটি পাকা করে তা দিয়ে উপকৃত হতে পারতে।
ইবনে মাজাহ ৩৬০৯, ৩৬১০, মুসলিম
ইবনে মাজাহ ৩৬০৯, ৩৬১০, মুসলিম
باب مَا جَاءَ فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ مَاتَتْ شَاةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِهَا " أَلاَ نَزَعْتُمْ جِلْدَهَا ثُمَّ دَبَغْتُمُوهُ فَاسْتَمْتَعْتُمْ بِهِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৮
মৃত প্রাণীর চামড়া পাকা করা হলে।
১৭৩৪। কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন কাঁচা চামড়া পাকা করা হলে তা পাক বলে গণ্য হবে।
অধিকাংশ আলিমের আমল এতদনুসারে রয়েছে। তারা বলেন, কৃত পশুর চামড়া যদি পাকা করা হয় তবে তা পাক বলে গণ্য হবে। ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) বলেন, কুকুর এবং শুকর ব্যতীত যে কোন পশুর চামড়া পাকা করা হলে তা পাক বলে গণ্য হবে। এই হাদীসটি তিনি প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করেন। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম হিংস্র পশুর চামড়া ব্যবহার অপছন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তা পাকা করা হলেও আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর মত এই। তা পরিধান করা বা তাতে নামায আদায় করার বিষয়ে তাঁরা কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন।
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) বলেনঃ ‘যে কোন চামড়া পাকা করা হলে পাক হয়ে যাবে বলে বর্ণিত হাদীসটির ব্যাখ্যা হল, তা যদি যে সব প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সে সব প্রাণীর চামড়া হয় তবে তা পাকা করা হলে পাক হবে। নযর ইবনে শুমাইল (রাহঃ)-ও অনুরূপ ব্যাখ্যা করেছেন যে, যে সমস্ত প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সেই সব প্রাণীর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
এই বিষয়ে সালামা ইবনে মুহাব্বিক, মায়মুনা ও আয়িশা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) মায়মুনা (রাযিঃ) সূত্রেও বর্ণিত আছে এবং সাওদা (রাযিঃ) থেকেও এর রিওয়ায়াত রয়েছে।
মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) মায়মুনা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত উভয় শব্দটিকেই সহীহ মনে করেন। তিনি বলেন, সম্ভবত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এটিকে মায়মুনা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু কোন কোন সনদে তিনি মায়মুনা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেন নি। অধিকাংশ আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। এ হল সুফিয়ান ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফেঈ আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
অধিকাংশ আলিমের আমল এতদনুসারে রয়েছে। তারা বলেন, কৃত পশুর চামড়া যদি পাকা করা হয় তবে তা পাক বলে গণ্য হবে। ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) বলেন, কুকুর এবং শুকর ব্যতীত যে কোন পশুর চামড়া পাকা করা হলে তা পাক বলে গণ্য হবে। এই হাদীসটি তিনি প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করেন। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম হিংস্র পশুর চামড়া ব্যবহার অপছন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তা পাকা করা হলেও আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর মত এই। তা পরিধান করা বা তাতে নামায আদায় করার বিষয়ে তাঁরা কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন।
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) বলেনঃ ‘যে কোন চামড়া পাকা করা হলে পাক হয়ে যাবে বলে বর্ণিত হাদীসটির ব্যাখ্যা হল, তা যদি যে সব প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সে সব প্রাণীর চামড়া হয় তবে তা পাকা করা হলে পাক হবে। নযর ইবনে শুমাইল (রাহঃ)-ও অনুরূপ ব্যাখ্যা করেছেন যে, যে সমস্ত প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সেই সব প্রাণীর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
এই বিষয়ে সালামা ইবনে মুহাব্বিক, মায়মুনা ও আয়িশা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) মায়মুনা (রাযিঃ) সূত্রেও বর্ণিত আছে এবং সাওদা (রাযিঃ) থেকেও এর রিওয়ায়াত রয়েছে।
মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) মায়মুনা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত উভয় শব্দটিকেই সহীহ মনে করেন। তিনি বলেন, সম্ভবত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এটিকে মায়মুনা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু কোন কোন সনদে তিনি মায়মুনা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেন নি। অধিকাংশ আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। এ হল সুফিয়ান ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফেঈ আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَعْلَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّمَا إِهَابٍ دُبِغَ فَقَدْ طَهُرَ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ فَقَدْ طَهُرَتْ . قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ الشَّافِعِيُّ أَيُّمَا إِهَابِ مَيْتَةٍ دُبِغَ فَقَدْ طَهُرَ إِلاَّ الْكَلْبَ وَالْخِنْزِيرَ . وَاحْتَجَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِنَّهُمْ كَرِهُوا جُلُودَ السِّبَاعِ وَإِنْ دُبِغَ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَشَدَّدُوا فِي لُبْسِهَا وَالصَّلاَةِ فِيهَا . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّمَا إِهَابٍ دُبِغَ فَقَدْ طَهُرَ " . جِلْدُ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ هَكَذَا فَسَّرَهُ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ . وَقَالَ إِسْحَاقُ قَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ إِنَّمَا يُقَالُ الإِهَابُ لِجِلْدِ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ وَمَيْمُونَةَ وَعَائِشَةَ . وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنْهُ عَنْ سَوْدَةَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يُصَحِّحُ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ وَقَالَ احْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ رَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ مَيْمُونَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ وَمَيْمُونَةَ وَعَائِشَةَ . وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنْهُ عَنْ سَوْدَةَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يُصَحِّحُ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ وَقَالَ احْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ رَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ مَيْمُونَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৯
মৃত প্রাণীর চামড়া পাকা করা হলে।
১৭৩৫। মুহাম্মাদ ইবনে তারীফ কুফী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উকায়ম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট থেকে আমাদের কাছে এই মর্মে চিঠি এসেছিল যে, মৃত পশুর চামড়া ও ধমনী দিয়ে কোন উপকার লাভ করবেন না। ইবনে মাজাহ ৩৬১৩
এই হাদীসটি হাসান; আব্দুল্লাহ উকায়ম (রাহঃ) ......... তার কতিপয় শায়খ সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। অধিকাংশ আলিম এতদনুসারে আমল করেন নি। আব্দুল্লাহ ইবনে উকায়ম (রাহঃ) থেকে এটি এই মর্মেও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট থেকে তাঁর মৃত্যুর দুই মাস আগে আমাদের কাছে চিঠি এসেছিল। আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, এতে যেহেতু রাসূল (ﷺ)-এর মৃত্যুর দুই মাস পূর্বের কথা উল্লেখিত আছে সেহেতু তিনি এতদনুসারে মত ও পন্থা অবলম্বন করেছেন। তিনি বলতেন, এতে বুঝা যায় যে এটি ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর শেষ আমল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এটির সনদে ইযতিরাব থাকায় এই মত পরিত্যক্ত করেন। কেননা কোন কোন বর্ণনাকারী এই ভাবেও এটির সনদ উল্লেখ করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উকায়ম-জুহায়নার কতিপয় শায়খ থেকে বর্ণিত।
এই হাদীসটি হাসান; আব্দুল্লাহ উকায়ম (রাহঃ) ......... তার কতিপয় শায়খ সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। অধিকাংশ আলিম এতদনুসারে আমল করেন নি। আব্দুল্লাহ ইবনে উকায়ম (রাহঃ) থেকে এটি এই মর্মেও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট থেকে তাঁর মৃত্যুর দুই মাস আগে আমাদের কাছে চিঠি এসেছিল। আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, এতে যেহেতু রাসূল (ﷺ)-এর মৃত্যুর দুই মাস পূর্বের কথা উল্লেখিত আছে সেহেতু তিনি এতদনুসারে মত ও পন্থা অবলম্বন করেছেন। তিনি বলতেন, এতে বুঝা যায় যে এটি ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর শেষ আমল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এটির সনদে ইযতিরাব থাকায় এই মত পরিত্যক্ত করেন। কেননা কোন কোন বর্ণনাকারী এই ভাবেও এটির সনদ উল্লেখ করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উকায়ম-জুহায়নার কতিপয় শায়খ থেকে বর্ণিত।
باب مَا جَاءَ فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَالشَّيْبَانِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ، قَالَ أَتَانَا كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنْ لاَ تَنْتَفِعُوا مِنَ الْمَيْتَةِ بِإِهَابٍ وَلاَ عَصَبٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَيُرْوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ عَنْ أَشْيَاخٍ لَهُمْ هَذَا الْحَدِيثُ . وَلَيْسَ الْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ أَنَّهُ قَالَ أَتَانَا كِتَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ وَفَاتِهِ بِشَهْرَيْنِ . قَالَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ كَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ يَذْهَبُ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ لِمَا ذُكِرَ فِيهِ قَبْلَ وَفَاتِهِ بِشَهْرَيْنِ وَكَانَ يَقُولُ كَانَ هَذَا آخِرَ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ تَرَكَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ هَذَا الْحَدِيثَ لَمَّا اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَادِهِ حَيْثُ رَوَى بَعْضُهُمْ فَقَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ عَنْ أَشْيَاخٍ لَهُمْ مِنْ جُهَيْنَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান