আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ১৫৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৮২
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী
কোন মুসলিমের নির্দেশ কেউ আত্মসমর্পণ করলে।
১৫৮৮। কুতায়বা (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় সা‘দ ইবনে মু’আয (রাযিঃ) তীরের আঘাতে আহত হয়েছিলেন। এতে তাঁর বাহুর প্রধান রগটি কেটে গিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আগুনে সেক দিয়ে তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেন। পরে তার হাত ফুলে যায়। তখন তিনি সেক দেওয়া ছেড়ে দেন। পরে পুনরায় রক্তক্ষরণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন। আবার তাকে সেক দিয়ে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। তখন পুনরায় তার হাত ফুলে যায়। সা‘দ যখন নিজের এ অবস্থা দেখলেন তখন দুআ করলেন, হে আল্লাহ! (ইয়াহুদী গোত্র) বনু কুরায়যার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল না করে তুমি আমার প্রাণ হরণ করো না। সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। একটি ফোটাও আর তার রক্ত পড়েনি। অবশেষে বনু কুরায়যা তার ফায়সালানুসারে আত্মসমর্পণ করে। এই বিষয়েই তার কাছে ফায়সালার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। তখন তিনি ফায়সালা দেন যে, এদের পুরুষদের হত্যা করা হবে। মেয়েদের জীবিত রাখা হবে। তাদের মাধ্যমে মুসলিমরা কাজ নিবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এদের বিষয়ে তুমি ঠিক ঠিক ফায়সালায় উপনীত হয়ে পেরেছ। বনু কুরায়যার পুরুষদের সংখ্যা ছিল চারশ’। এদের হত্যা করা শেষ হলে সা‘দ (রাযিঃ)-এর আঘাতপ্রাপ্ত রগটি পুনরায় ফেটে যায় এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এই বিষয়ে আবু সাঈদ ও আতিয়্যা কুরাযী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
এই বিষয়ে আবু সাঈদ ও আতিয়্যা কুরাযী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي النُّزُولِ عَلَى الْحُكْمِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ رُمِيَ يَوْمَ الأَحْزَابِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَطَعُوا أَكْحَلَهُ أَوْ أَبْجَلَهُ فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّارِ فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَتَرَكَهُ فَنَزَفَهُ الدَّمُ فَحَسَمَهُ أُخْرَى فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ اللَّهُمَّ لاَ تُخْرِجْ نَفْسِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ . فَاسْتَمْسَكَ عِرْقُهُ فَمَا قَطَرَ قَطْرَةً حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَحَكَمَ أَنْ يُقْتَلَ رِجَالُهُمْ وَيُسْتَحْيَى نِسَاؤُهُمْ يَسْتَعِينُ بِهِنَّ الْمُسْلِمُونَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَصَبْتَ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ " . وَكَانُوا أَرْبَعَمِائَةٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَتْلِهِمُ انْفَتَقَ عِرْقُهُ فَمَاتَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৮৩
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী
কোন মুসলিমের নির্দেশ কেউ আত্মসমর্পণ করলে।
১৫৮৯। আবুল ওয়ালীদ দিমাশকী (রাহঃ) ......... সামুরা ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুশরিকদের শক্তসমর্থ পুরুষদের হত্যা করবে আর বালকদের ছেড়ে দিবে।
হাদীসোক্তالشَّرْخُ অর্থ হল, ঐ সমস্ত বালক যাদের এখনো যৌন লোম উদগত হয়নি।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। হাজ্জাজ ইবনে আরতাত (রাহঃ) এটিকে কাতাদা থেকে অনূরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদীসোক্তالشَّرْخُ অর্থ হল, ঐ সমস্ত বালক যাদের এখনো যৌন লোম উদগত হয়নি।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। হাজ্জাজ ইবনে আরতাত (রাহঃ) এটিকে কাতাদা থেকে অনূরূপ বর্ণনা করেছেন।
أبواب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي النُّزُولِ عَلَى الْحُكْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اقْتُلُوا شُيُوخَ الْمُشْرِكِينَ وَاسْتَحْيُوا شَرْخَهُمْ " . وَالشَّرْخُ الْغِلْمَانُ الَّذِينَ لَمْ يُنْبِتُوا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَرَوَاهُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ عَنْ قَتَادَةَ نَحْوَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৮৪
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী
কোন মুসলিমের নির্দেশ কেউ আত্মসমর্পণ করলে।
১৫৯০। হান্নাদ (রাহঃ) ......... আতিয়্যা কুরাযী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরায়যা যুদ্ধের সময় আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে পেশ করা হল। তিনি যাদের যৌন লোম উদগত হয়েছিল তিনি তাদের হত্যা করলেন আর যাদের যৌন লোম উদগত হয়নি তাদের ছেড়ে দিলেন। আমি তাদের মধ্যে ছিলাম যাদের যৌন লোম উদগম হয়নি। সুতরাং আমার পথে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হল।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। স্বপ্নদোষ বা বয়স না হলেও যৌন লোম উদগম হলেও একজনকে বালেগ বলে গণ্য করা হবে বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন। এ হল আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। স্বপ্নদোষ বা বয়স না হলেও যৌন লোম উদগম হলেও একজনকে বালেগ বলে গণ্য করা হবে বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন। এ হল আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
أبواب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي النُّزُولِ عَلَى الْحُكْمِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ، قَالَ عُرِضْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ قُرَيْظَةَ فَكَانَ مَنْ أَنْبَتَ قُتِلَ وَمَنْ لَمْ يُنْبِتْ خُلِّيَ سَبِيلُهُ فَكُنْتُ مِمَّنْ لَمْ يُنْبِتْ فَخُلِّيَ سَبِيلِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ يَرَوْنَ الإِنْبَاتَ بُلُوغًا إِنْ لَمْ يُعْرَفِ احْتِلاَمُهُ وَلاَ سِنُّهُ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: