আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

২১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৬৭
বন্দী হত্যা করা বা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া।
১৫৭৩। আবু উবাইদা ইবনে আবু সাফার, তাঁর নাম হল আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ হামদানী ও মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর কাছে নেমে এসেছেন এবং বলেছেন, বদরের বন্দীদের বিষয়ে হত্যা বা মুক্তিপণের ক্ষেত্রে শর্ত হল যে, আগামীতে এদের থেকেও উক্ত পরিমাণ লোক নিহত হবে। সাহাবীরা বললেন, আমরা মুক্তিপণই গ্রহণ করলাম, আমাদের থেকে সমসংখ্যক লোক নিহত হলে হবে।



এই বিষয়ে ইবনে মাসউদ, আনাস, আবু বারযা ও জুবাইর ইবনে মুতইম (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ছাওরীর হাদীস হিসাবে এই হাদীসটি হাসান-গারীব। ইবনে আবু যাইদা (রাহঃ) এর বর্ণনা ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। আবু উসামা (রাহঃ)-ও আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনে আওন (রাহঃ) এটিকে ইবনে সীরীন-উবাইদা-আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। রাবী আবু দাউদ হাফরী (রাহঃ) এর নাম হল উমর ইবনে সা‘দ।
باب مَا جَاءَ فِي قَتْلِ الأُسَارَى وَالْفِدَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، - وَاسْمُهُ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ جِبْرَائِيلَ هَبَطَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ خَيِّرْهُمْ يَعْنِي أَصْحَابَكَ فِي أُسَارَى بَدْرٍ الْقَتْلَ أَوِ الْفِدَاءَ عَلَى أَنْ يُقْتَلَ مِنْهُمْ قَابِلاً مِثْلُهُمْ . قَالُوا الْفِدَاءَ وَيُقْتَلَ مِنَّا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي بَرْزَةَ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ . وَرَوَى أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ عَبِيدَةَ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَرَوَى ابْنُ عَوْنٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ عَبِيدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً . وَأَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ اسْمُهُ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৬৮
বন্দী হত্যা করা বা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া।
১৫৭৪। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) একজন মুশরিকদের বিনিময়ে দুইজন মুসলমানকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।

মুসলিম ৫/৭৮

ইমাম ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আবু কিলাবা (রাহঃ) এর চাচা হলে আবু মুহাল্লাব। তার নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে আমর। তাকে মুআবিয়া ইবনে আমর বলা হয়। আর আবু কিলাবা (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ আল জারমী (রাহঃ)। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন যে, ইমাম বা সরকার প্রধান যে কোন বন্দীর সম্পর্কে ইচ্ছা করেন তার উপর অনুগ্রহ প্রদর্শন করতে পারেন। তাদের মাঝে যাকে বিবেচনা করেন হত্যা করতে পারেন যাকে ইচ্ছা ফিদয়া নিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন। তবে কতক আলিম ফিদয়া-এর তুলনায় হত্যা করার বিধানটিকে অধিকতর গ্রহণীয় বলে মনে করেন।

ইমাম আওযাঈ বলেন, আমার কাছে এই তথ্য পৌছেছে যেفَإِِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً ‘‘এরপর হয়ত অনুকম্পা প্রদর্শন নয়ত মুক্তিপণ’’ (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭ঃ ৪) আয়াতটি মানসূখ হয়ে গেছে।وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ ‘‘এদের যেখানে পাও সেখানেই হত্যা কর’’ (সূরা বাকারা ২ঃ ২৯১) আয়াতের মাধ্যমে উপরোক্ত আয়াতটির বিধান রহিত হয়েছে।

হান্নাদ (রাহঃ) ......... আওযাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) বলেন, আমি ইমাম আহমাদ (রাহঃ)-কে বললাম বন্দী হলে তাদের কতল করাটা বেশী ভাল মনে করেন না ফিদয়া নেয়া অধিক পছন্দ করেন? তিনি বললেন, ফিদয়ার শক্তি রাখলে তবে তা নিয়ে ছেড়ে দেওয়াতেও কোন দোষ নেই আর যদি হত্যা করা হয় তবে তাতেও কোন দোষ মনে করি না। ইসহাক (রাহঃ) বলেন, রক্ত প্রবাহিত করাই আমার নিকট অধিক প্রিয়। কিন্তু যদি লোকটি প্রসিদ্ধ হয় এবং তার বিষয়ে বহুবিধ আশা করা যায় তবে ভিন্ন কথা।
باب مَا جَاءَ فِي قَتْلِ الأُسَارَى وَالْفِدَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَدَى رَجُلَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِرَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَمُّ أَبِي قِلاَبَةَ هُوَ أَبُو الْمُهَلَّبِ وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو وَيُقَالُ مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو وَأَبُو قِلاَبَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ الْجَرْمِيُّ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ لِلإِمَامِ أَنْ يَمُنَّ عَلَى مَنْ شَاءَ مِنَ الأُسَارَى وَيَقْتُلَ مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ وَيَفْدِيَ مَنْ شَاءَ . وَاخْتَارَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْقَتْلَ عَلَى الْفِدَاءِ . وَقَالَ الأَوْزَاعِيُّ بَلَغَنِي أَنَّ هَذِهِ الآيَةَ مَنْسُوخَةٌ قَوْلُهُ تَعَالَى: (فَإِِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً) نَسَخَتْهَا: (وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ ) حَدَّثَنَا بِذَلِكَ هَنَّادٌ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قُلْتُ لأَحْمَدَ إِذَا أُسِرَ الأَسِيرُ يُقْتَلُ أَوْ يُفَادَى أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ إِنْ قَدَرُوا أَنْ يُفَادُوا فَلَيْسَ بِهِ بَأْسٌ وَإِنْ قُتِلَ فَمَا أَعْلَمُ بِهِ بَأْسًا . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الإِثْخَانُ أَحَبُّ إِلَىَّ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ مَعْرُوفًا فَأَطْمَعُ بِهِ الْكَثِيرَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান