আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

২১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৫৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৫২
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী
শত্রু অঞ্চল জ্বালিয়ে দেওয়া এবং তা ধ্বংস করা।
১৫৫৮। কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু নাযির গোত্রের বুওয়ায়রার খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন এবং গাছগুলি কেটে ফেলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ

مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ

তোমরা যে গাছগুলি কেটেছ বা যেগুলি কান্ডের উপর ছেড়ে রেখে দিয়েছ তা তো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে; আর এ জন্য যে, আল্লাহ ফাসিকদেরকে লাঞ্চিত করবেন। [৫৯ঃ ৫]

ইবনে মাজাহ ২৮৪৪, নাসাঈ

এ বিষয়ে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণের এক সম্প্রদায় এ মত অবলম্বন করেছেন। যুদ্ধে বৃক্ষকর্তণ এবং কেল্লা ধ্বংস করায় কোন দোষ আছে বলে তারা মনে করেন না। কতক আলিম তা অপছন্দনীয় বলে মত প্রকাশ করেছেন। এ হল ইমাম আওযাঈ-এর অভিমত। তিনি বলেন, ফলন্ত বৃক্ষ কর্তণ করতে বা আবাদী ধ্বংস করতে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) নিষেধ করেছেন। শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, শত্রুর সম্পত্তি জ্বালানো এবং তাদের বৃক্ষ ও ফল কর্তন করায় কোন দোষ নেই। আহমাদ (রাহঃ) বলেন, এ ছাড়া যদি কোন উপায় না থাকে এমন স্থানে তা করা যাবে। প্রয়োজন ছাড়া জ্বালাও-পোড়াও করা যাবে না। ইসহাক (রাহঃ) বলেন, শত্রু প্রতি যদি আঘাত বেশী হয় তবে আগুন লাগান সুন্নত বলে বিবেচিত হবে।
أبواب السير عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب فِي التَّحْرِيقِ وَالتَّخْرِيبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَلَمْ يَرَوْا بَأْسًا بِقَطْعِ الأَشْجَارِ وَتَخْرِيبِ الْحُصُونِ . وَكَرِهَ بَعْضُهُمْ ذَلِكَ وَهُوَ قَوْلُ الأَوْزَاعِيِّ . قَالَ الأَوْزَاعِيُّ وَنَهَى أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ يَزِيدَ أَنْ يَقْطَعَ شَجَرًا مُثْمِرًا أَوْ يُخَرِّبَ عَامِرًا وَعَمِلَ بِذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَهُ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ بِالتَّحْرِيقِ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ وَقَطْعِ الأَشْجَارِ وَالثِّمَارِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَقَدْ تَكُونُ فِي مَوَاضِعَ لاَ يَجِدُونَ مِنْهُ بُدًّا فَأَمَّا بِالْعَبَثِ فَلاَ تُحَرَّقُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ التَّحْرِيقُ سُنَّةٌ إِذَا كَانَ أَنْكَى فِيهِمْ .