আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৮
যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া।
১৫৫৪। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আব্দুল বাখতারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালমান ফারসী (রাযিঃ)-এর নেতৃত্বে একটি মুসলিম বাহিনী পারস্যের একটি কিল্লা অবরোধ করেছিল। মুসলিম বাহিনীর সদস্যরা বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ,[১] আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালাব না? তিনি বললেন, আমাকে ছেড়ে দাও, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যেমন দাওয়াত দিতে শুনেছি তেমনিভাবে আমি এদেরকে (ইসলামের) দাওয়াত দিব। এরপর সালমান (রাযিঃ) এদের (শত্রুদের) কাছে এলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের মতই এক ফারসী বংশ উদ্ভুত লোক। তোমরা দেখছ আরবরা আমার আনুগত্য করছে।
তোমরা যদি ইসলাম গ্রহণ কর তবে আমাদের যা (হক) আছে তোমাদেরও তা-ই হবে। আর আমাদের উপর যা প্রযোজ্য হয় তোমাদের উপরও তা প্রযোজ্য হবে। তোমরা যদি তোমাদের দ্বীন ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাও তবে আমরা তোমাদের ধর্মের উপরই তোমাদের থাকতে দেব। তোমরা আমাদের আনুগত্য স্বীকার করে আমাদেরকে সহস্তে জিযইয়া দিবে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এদের সাথে ফারসীতেও আলাপ করলেন। তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তোমরা প্রশংসিত হবে না। তা-ও যদি তোমরা অস্বীকার কর তবে সমানভাবে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিচ্ছি। তারা বলল, আমরা তোমাদের জিযইয়া প্রদান করব না বরং তোমাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করব।
মুসলিম বাহিনীর লোকেরা বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ, আমরা কি এদের বিরুদ্ধে হামলা করব না? তিনি বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, এই ভাবে তিনি তাদেরকে তিন দিন পর্যন্ত দাওয়াত দিলেন। এরপর বললেন, এবার তোমরা এদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা কর। সেমতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে হামলা করলাম এবং ঐ কিল্লাটি জয় করে নিলাম।
এই বিষয়ে বুরায়দা, নু‘মান ইবনে মুকাররিন, ইবনে উমর ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সালমান (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আতা ইবনে সাইব (রাহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবুল বাখতারী (রাহঃ) সালমান (রাযিঃ) তো আলী (রাযিঃ)-এর পূর্বে ইন্তিকাল করেছেন। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীসানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের মত প্রকাশ করেছেন। তারা যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের প্রতি দাওয়াত প্রদান করতে হবে বলে মনে করেন। এ হল ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) এর অভিমত। তিনি বলেন, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যদি অগ্রবর্তী হওয়া যায় তবে তা ভাল এবং তা তাদের মধ্যে অধিকতর ভীতি সঞ্চারক হবে। কতক আলিম বলেন, বর্তমান যুগে আর দাওয়াতের প্রয়োজন নেই। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, ইসলামের দাওয়াত প্রদান না করা পর্যন্ত শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করা যাবে না। কিন্তু যদি তা না করে তাতেও কোন দোষ নেই। কেননা দাওয়াত তো ইতিমধ্যে তাদের কাছে পৌছে গেছেই।
[১] সালমান ফারসী (রাযিঃ)-এর উপনাম।
তোমরা যদি ইসলাম গ্রহণ কর তবে আমাদের যা (হক) আছে তোমাদেরও তা-ই হবে। আর আমাদের উপর যা প্রযোজ্য হয় তোমাদের উপরও তা প্রযোজ্য হবে। তোমরা যদি তোমাদের দ্বীন ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাও তবে আমরা তোমাদের ধর্মের উপরই তোমাদের থাকতে দেব। তোমরা আমাদের আনুগত্য স্বীকার করে আমাদেরকে সহস্তে জিযইয়া দিবে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এদের সাথে ফারসীতেও আলাপ করলেন। তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তোমরা প্রশংসিত হবে না। তা-ও যদি তোমরা অস্বীকার কর তবে সমানভাবে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিচ্ছি। তারা বলল, আমরা তোমাদের জিযইয়া প্রদান করব না বরং তোমাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করব।
মুসলিম বাহিনীর লোকেরা বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ, আমরা কি এদের বিরুদ্ধে হামলা করব না? তিনি বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, এই ভাবে তিনি তাদেরকে তিন দিন পর্যন্ত দাওয়াত দিলেন। এরপর বললেন, এবার তোমরা এদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা কর। সেমতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে হামলা করলাম এবং ঐ কিল্লাটি জয় করে নিলাম।
এই বিষয়ে বুরায়দা, নু‘মান ইবনে মুকাররিন, ইবনে উমর ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সালমান (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আতা ইবনে সাইব (রাহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবুল বাখতারী (রাহঃ) সালমান (রাযিঃ) তো আলী (রাযিঃ)-এর পূর্বে ইন্তিকাল করেছেন। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীসানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের মত প্রকাশ করেছেন। তারা যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের প্রতি দাওয়াত প্রদান করতে হবে বলে মনে করেন। এ হল ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) এর অভিমত। তিনি বলেন, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যদি অগ্রবর্তী হওয়া যায় তবে তা ভাল এবং তা তাদের মধ্যে অধিকতর ভীতি সঞ্চারক হবে। কতক আলিম বলেন, বর্তমান যুগে আর দাওয়াতের প্রয়োজন নেই। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, ইসলামের দাওয়াত প্রদান না করা পর্যন্ত শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করা যাবে না। কিন্তু যদি তা না করে তাতেও কোন দোষ নেই। কেননা দাওয়াত তো ইতিমধ্যে তাদের কাছে পৌছে গেছেই।
[১] সালমান ফারসী (রাযিঃ)-এর উপনাম।
باب مَا جَاءَ فِي الدَّعْوَةِ قَبْلَ الْقِتَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ جَيْشًا، مِنْ جُيُوشِ الْمُسْلِمِينَ كَانَ أَمِيرَهُمْ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ حَاصَرُوا قَصْرًا مِنْ قُصُورِ فَارِسَ فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ دَعُونِي أَدْعُهُمْ كَمَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوهُمْ . فَأَتَاهُمْ سَلْمَانُ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ مِنْكُمْ فَارِسِيٌّ تَرَوْنَ الْعَرَبَ يُطِيعُونَنِي فَإِنْ أَسْلَمْتُمْ فَلَكُمْ مِثْلُ الَّذِي لَنَا وَعَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْنَا وَإِنْ أَبَيْتُمْ إِلاَّ دِينَكُمْ تَرَكْنَاكُمْ عَلَيْهِ وَأَعْطُونَا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَأَنْتُمْ صَاغِرُونَ . قَالَ وَرَطَنَ إِلَيْهِمْ بِالْفَارِسِيَّةِ وَأَنْتُمْ غَيْرُ مَحْمُودِينَ . وَإِنْ أَبَيْتُمْ نَابَذْنَاكُمْ عَلَى سَوَاءٍ . قَالُوا مَا نَحْنُ بِالَّذِي نُعْطِي الْجِزْيَةَ وَلَكِنَّا نُقَاتِلُكُمْ . فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ لاَ . فَدَعَاهُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِلَى مِثْلِ هَذَا ثُمَّ قَالَ انْهَدُوا إِلَيْهِمْ . قَالَ فَنَهَدْنَا إِلَيْهِمْ فَفَتَحْنَا ذَلِكَ الْقَصْرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَحَدِيثُ سَلْمَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ لَمْ يُدْرِكْ سَلْمَانَ لأَنَّهُ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيًّا وَسَلْمَانُ مَاتَ قَبْلَ عَلِيٍّ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُدْعَوْا قَبْلَ الْقِتَالِ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِنْ تُقُدِّمَ إِلَيْهِمْ فِي الدَّعْوَةِ فَحَسَنٌ يَكُونُ ذَلِكَ أَهْيَبَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ دِعْوَةَ الْيَوْمَ . وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ أَعْرِفُ الْيَوْمَ أَحَدًا يُدْعَى . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يُقَاتَلُ الْعَدُوُّ حَتَّى يُدْعَوْا إِلاَّ أَنْ يَعْجَلُوا عَنْ ذَلِكَ فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَقَدْ بَلَغَتْهُمُ الدَّعْوَةُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান