আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২০. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত শপথ ও মান্নতের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৩
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কসম খাওয়া হারাম।
১৫৩৯। কুতায়বা (রাহঃ) ......... সালিম তৎপিতা ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার নবী (ﷺ) উমর (রাযিঃ)-কে ‘‘কসম আমার পিতার, কসম আমার পিতার’’-এই কথা বলতে শুনলেন। তখন তিনি বললেন, সাবধান, আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতার কসম খেতে নিষেধ করেছেন। উমর (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, এরপর আর আমি এর কসম খাইনি বা অন্যের বরাতেও তা উল্লেখ করেনি।
ইবনে মাজাহ ২০৯৪, নাসাঈ
এই বিষয়ে ছাবির ইবনে যাহহাক, ইবনে আব্বাস, আবু হুরায়রা, কুতায়লা, আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু উবাইদা (রাযিঃ) বলেন, وَلاَ آثِرًا অর্থ হল অন্যের বরাতেও আমি তা উল্লেখ করেনি।
ইবনে মাজাহ ২০৯৪, নাসাঈ
এই বিষয়ে ছাবির ইবনে যাহহাক, ইবনে আব্বাস, আবু হুরায়রা, কুতায়লা, আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু উবাইদা (রাযিঃ) বলেন, وَلاَ آثِرًا অর্থ হল অন্যের বরাতেও আমি তা উল্লেখ করেনি।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الْحَلِفِ بِغَيْرِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمَرَ وَهُوَ يَقُولُ وَأَبِي وَأَبِي فَقَالَ " أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ " . فَقَالَ عُمَرُ فَوَاللَّهِ مَا حَلَفْتُ بِهِ بَعْدَ ذَلِكَ ذَاكِرًا وَلاَ آثِرًا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ ثَابِتِ بْنِ الضَّحَّاكِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَقُتَيْلَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ مَعْنَى قَوْلِهِ وَلاَ آثِرًا . أَىْ لَمْ آثُرْهُ عَنْ غَيْرِي يَقُولُ لَمْ أَذْكُرْهُ عَنْ غَيْرِي .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৪
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কসম খাওয়া হারাম।
১৫৪০। হান্নাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত উমর (রাযিঃ) একবার একটি কাফেলার সঙ্গে চলছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে তার পিতার নামে কসম করতে (শুনতে) পেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের পিতার কসম খেতে আল্লাহ তাআলা তোমাদের নিষেধ করেছেন। কসম করতে হলে আল্লাহর নামে করবে বা চুপ থাকবে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الْحَلِفِ بِغَيْرِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَدْرَكَ عُمَرَ وَهُوَ فِي رَكْبٍ وَهُوَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ لِيَحْلِفْ حَالِفٌ بِاللَّهِ أَوْ لِيَسْكُتْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৫
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কসম খাওয়া হারাম।
১৫৪১। কুতায়বা (রাহঃ) ......... সা‘দ ইবনে উবাইদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) জনৈক ব্যক্তিকে ‘‘না কা‘বার কসম’’ বলতে শুনতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কসম করা যায় না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কসম করল সে কুফরী করল বা শিরকী করল।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। কতক আলিম এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, বিষয়টির প্রতি কঠোরতা প্রদর্শনার্থেই বলা হয়েছে ‘‘সে কুফরী করল বা শিরকী করল’’। এর দলীল হল ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসে আছে নবী (ﷺ) উমরকে ‘আমার পিতার কসম, আমার পিতার কসম’’ বলতে শুনে তিনি বলেছিলেন, সাবধান, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তোমাদের পিতার নামে কসম করতে তোমাদের নিষেধ করেছেন। (এখানে কুফরীর কথা বলা হয়নি।) এমনিভাবে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হাদীসে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, কেউ যদি কসম করতে যেয়ে বলে ‘লাত ও উযযার’ কসম তবে সে যেন বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এটির মর্ম সেরূপই যেমন নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রিয়া হল শিরক।
(فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا) যে ব্যক্তি তার প্রভুর সাক্ষাতের আশা করে সে যেন সৎ আমল করে। (সূরা কাহফঃ ১১০)-এই আয়াতের তাফসীরে কতক আলিম বলেন সে যেন রিয়া না করে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। কতক আলিম এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, বিষয়টির প্রতি কঠোরতা প্রদর্শনার্থেই বলা হয়েছে ‘‘সে কুফরী করল বা শিরকী করল’’। এর দলীল হল ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসে আছে নবী (ﷺ) উমরকে ‘আমার পিতার কসম, আমার পিতার কসম’’ বলতে শুনে তিনি বলেছিলেন, সাবধান, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তোমাদের পিতার নামে কসম করতে তোমাদের নিষেধ করেছেন। (এখানে কুফরীর কথা বলা হয়নি।) এমনিভাবে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হাদীসে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, কেউ যদি কসম করতে যেয়ে বলে ‘লাত ও উযযার’ কসম তবে সে যেন বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এটির মর্ম সেরূপই যেমন নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, রিয়া হল শিরক।
(فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا) যে ব্যক্তি তার প্রভুর সাক্ষাতের আশা করে সে যেন সৎ আমল করে। (সূরা কাহফঃ ১১০)-এই আয়াতের তাফসীরে কতক আলিম বলেন সে যেন রিয়া না করে।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الْحَلِفِ بِغَيْرِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، سَمِعَ رَجُلاً، يَقُولُ لاَ وَالْكَعْبَةِ . فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لاَ يُحْلَفُ بِغَيْرِ اللَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَفُسِّرَ هَذَا الْحَدِيثُ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ قَوْلَهُ " فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ " عَلَى التَّغْلِيظِ . وَالْحُجَّةُ فِي ذَلِكَ حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ وَأَبِي وَأَبِي . فَقَالَ " أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ " . وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ فِي حَلِفِهِ وَاللاَّتِ وَالْعُزَّى فَلْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا مِثْلُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنَّ الرِّيَاءَ شِرْكٌ " . وَقَدْ فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذِهِ الآيَة : ( وَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحًا ) الآيَةَ قَالَ لاَ يُرَائِي .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান