আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৯. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত কুরবানীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২৩
কুরবানী করার আশা পোষণকারী ব্যক্তির চুল না কাটা
১৫২৯। আহমাদ ইবনুল হাকাম আল-বসরী (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা রাখে যুল-হজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে। ইবনে মাজাহ ৩১৪৯, মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনাকারীর নাম (উমর নয়) বরং আমর ইবনে মুসলিম। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আলকামা প্রমুখ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব আবু সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) সূত্রে এ হাদীসটি একাধিক ভাবে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এ হল কতক আলিমের অভিমত। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ)-ও এ মত ব্যক্ত করেছেন।
আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-ও এ পথ অবলম্বন করেছেন। অপর কতক আলিম এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, নখ, চুল কাটায় কোন দোষ নেই। এ হল শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত। আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত এ হাদীসটিকে দলীল হিসাবে পেশ করেন, নবী (ﷺ) মদীনা থেকে হাদী (হজ্জের সময় কুরবানী করার জন্য পশু) পাঠাতেন। কিন্তু মুহরিম ব্যক্তি যে সমস্ত বিষয় পরিহার করে থাকে তা তিনিও পরিহার করতেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনাকারীর নাম (উমর নয়) বরং আমর ইবনে মুসলিম। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আলকামা প্রমুখ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব আবু সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) সূত্রে এ হাদীসটি একাধিক ভাবে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এ হল কতক আলিমের অভিমত। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ)-ও এ মত ব্যক্ত করেছেন।
আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-ও এ পথ অবলম্বন করেছেন। অপর কতক আলিম এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, নখ, চুল কাটায় কোন দোষ নেই। এ হল শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত। আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত এ হাদীসটিকে দলীল হিসাবে পেশ করেন, নবী (ﷺ) মদীনা থেকে হাদী (হজ্জের সময় কুরবানী করার জন্য পশু) পাঠাতেন। কিন্তু মুহরিম ব্যক্তি যে সমস্ত বিষয় পরিহার করে থাকে তা তিনিও পরিহার করতেন।
باب تَرْكِ أَخْذِ الشَّعْرِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَكَمِ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَمْرٍو، أَوْ عُمَرَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَأَى هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالصَّحِيحُ هُوَ عَمْرُو بْنُ مُسْلِمٍ قَدْ رَوَى عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ نَحْوَ هَذَا . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ كَانَ يَقُولُ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَإِلَى هَذَا الْحَدِيثِ ذَهَبَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي ذَلِكَ فَقَالُوا لاَ بَأْسَ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبْعَثُ بِالْهَدْىِ مِنَ الْمَدِينَةِ فَلاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ مِنْهُ الْمُحْرِمُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান