আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৯. রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত কুরবানীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১৫০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৮
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত কুরবানীর অধ্যায়
ঈদের নামাযের পর যবেহ করা
১৫১৪। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরবানীর দিন (ইয়াওমুন নাহার) আমাদের ভাষণ দিলেন। বললেন, নামায আদায় না করা পর্যন্ত তোমাদের কেউ কুরবানী করবে না। বারা (রাযিঃ) বলেন, তখন আমার মামা উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আজকের দিনটি তো এমন যে পরে গিয়ে আর লোকেরা গোশত পছন্দ করে না। তাই আমি আমার কুরবানী তাড়াতাড়ি দিয়ে দিয়েছে। যাতে আমার পরিবার, বাড়ীর লোকজন এবং প্রতিবেশীদের তা খাওয়াতে পারি। তিনি বললেন, পুনরায় আরও একটি যবেহ কর। বারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার কাছে একটি বকরীর বাচ্চা আছে যা এখনো দুধ খায়। তবে (মোটা তাজা হওয়ায়) দুটো বকরীর গোশত থেকেও এতে বেশী গোশত হবে। এটি কি আমি কুরবানী করতে পারি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এটি উত্তম। এটি তোমার জন্য যথেষ্ট। তবে তোমার পরে কারো যদি এ ধরণের বাচ্চা (জাযআ) কুরবানী করা যথেষ্ট বলে গণ্য হবে না।
আবু দাউদ ২৪৯৫-২৪৯৬, মুসলিম
এ বিষয়ে জাবির, জুনদুব, আনাস, ওয়ায়মির ইবনে আশআর, ইবনে উমর, আবু যায়দ আল-আনসারী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আলিমগণের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তারা বললেন, ইমাম নামায আদায় না করা পর্যন্ত শহরে কুরবানী করা যাবে না। কতক আলিম ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামাঞ্চলে (যেখানে ঈদের জামাআত হয় না) কুরবানী করার অনুমতি দিয়েছেন। এ হল ইমাম ইবনুল মুবারক (রাহঃ) এর অভিমত। এ বিষয়ে আলিমগণ এক মত যে, ছয়মাস বয়সের ছাগলের বাচ্চা (জাযআ) কুরবানী করা যথেষ্ট হবে না। তবে এ ধরণের ভেড়ার বাচ্চা কুরবানী করা যাবে।
আবু দাউদ ২৪৯৫-২৪৯৬, মুসলিম
এ বিষয়ে জাবির, জুনদুব, আনাস, ওয়ায়মির ইবনে আশআর, ইবনে উমর, আবু যায়দ আল-আনসারী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আলিমগণের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তারা বললেন, ইমাম নামায আদায় না করা পর্যন্ত শহরে কুরবানী করা যাবে না। কতক আলিম ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামাঞ্চলে (যেখানে ঈদের জামাআত হয় না) কুরবানী করার অনুমতি দিয়েছেন। এ হল ইমাম ইবনুল মুবারক (রাহঃ) এর অভিমত। এ বিষয়ে আলিমগণ এক মত যে, ছয়মাস বয়সের ছাগলের বাচ্চা (জাযআ) কুরবানী করা যথেষ্ট হবে না। তবে এ ধরণের ভেড়ার বাচ্চা কুরবানী করা যাবে।
أبواب الأضاحي عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الذَّبْحِ بَعْدَ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ نَحْرٍ فَقَالَ " لاَ يَذْبَحَنَّ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُصَلِّيَ " . قَالَ فَقَامَ خَالِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا يَوْمٌ اللَّحْمُ فِيهِ مَكْرُوهٌ وَإِنِّي عَجَّلْتُ نُسُكِي لأُطْعِمَ أَهْلِي وَأَهْلَ دَارِي أَوْ جِيرَانِي . قَالَ " فَأَعِدْ ذَبْحًا آخَرَ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدِي عَنَاقُ لَبَنٍ وَهِيَ خَيْرٌ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ أَفَأَذْبَحُهَا قَالَ " نَعَمْ وَهِيَ خَيْرُ نَسِيكَتَيْكَ وَلاَ تُجْزِئُ جَذَعَةٌ لأَحَدٍ بَعْدَكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَجُنْدَبٍ وَأَنَسٍ وَعُوَيْمِرِ بْنِ أَشْقَرَ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي زَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُضَحَّى بِالْمِصْرِ حَتَّى يُصَلِّيَ الإِمَامُ وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ لأَهْلِ الْقُرَى فِي الذَّبْحِ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُجْزِئَ الْجَذَعُ مِنَ الْمَعْزِ وَقَالُوا إِنَّمَا يُجْزِئُ الْجَذَعُ مِنَ الضَّأْنِ .
তাহকীক: