আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩১
’রজম’-এর প্রমাণ।
১৪৩৭। আহমাদ ইবনে মানী (রাহঃ) ......... উমর ইবনে খাত্তব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘রজম’-এর বিধান দিয়েছেন, আবু বকরও ‘রজম’-এর বিধান দিয়েছেন আর আমিও ‘রজম’-এর বিধান দিয়েছি। আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্তকরণ যদি আমি হারাম মনে না করতাম তবে অবশ্যই আমি এই বিধানটি আল্লাহর কিতাবে লিখে দিতাম। কারণ আমি আশঙ্কা করি (ভবিষ্যতে) একদল লোক হয়ত এমন আসবে তারা যখন ‘‘রজম’’-এর বিধান আল্লাহর কিতাবে পাবে না তখন তা অস্বীকার করে বসবে।

ইবনে মাজাহ

এই বিষয়ে আলী (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে এটি উমর (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي تَحْقِيقِ الرَّجْمِ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمَ أَبُو بَكْرٍ وَرَجَمْتُ وَلَوْلاَ أَنِّي أَكْرَهُ أَنْ أَزِيدَ فِي كِتَابِ اللَّهِ لَكَتَبْتُهُ فِي الْمُصْحَفِ فَإِنِّي قَدْ خَشِيتُ أَنْ تَجِيءَ أَقْوَامٌ فَلاَ يَجِدُونَهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَكْفُرُونَ بِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُمَرَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩২
’রজম’-এর প্রমাণ।
১৪৩৮। সালামা ইবনে শাবীব, ইসহাক ইবনে মানসুর, হাসান ইবনে আলী আল খাল্লাল প্রমুখ (রাহঃ) ......... উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সত্যসহ মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে প্রেরণ করেছেন। তাঁর উপর নাযিল করেছেন কিতাব। তাঁর উপর তিনি যা নাযিল করেছেন তাতে ‘রজম’-এর বিধান সম্বলিত আয়াত ছিল। [অনন্তর তার তিলাওয়াত বা পাঠ রহিত (মানসূখ) হয়ে যায়] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেও রজম এর বিধান দিয়েছেন। তাঁর তিরোধানের পর আমরাও রজম করেছি। আমার আশঙ্কা হয় যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার পর কেউ হয়ত বলবে, আমরা তো আল্লাহর কিতাবে ‘‘রজম’’-এর কথা পাই না। ফলে তারা আল্লাহর নাযিলকৃত ফরয ও অবশ্য করণীয় বিধান পরিত্যাগের কারণে গুমরাহ ও পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। সাবধান, কোন ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার উপর ‘রজম’’ শাস্তি প্রয়োগ করা হল প্রতিষ্ঠিত বিধান যদি সে বিবাহিত হয় এবং সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় বা তার গর্ভসুস্পষ্ট হয়ে উঠে বা সে যদি অপরাধ স্বীকার করে নেয়।

ইবনে মাজাহ ২৫৫৩, নাসাঈ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي تَحْقِيقِ الرَّجْمِ .
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ وَإِنِّي خَائِفٌ أَنْ يَطُولَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ فَيَقُولَ قَائِلٌ لاَ نَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ أَلاَ وَإِنَّ الرَّجْمَ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أَحْصَنَ وَقَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ حَبَلٌ أَوِ اعْتِرَافٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান