আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮
অপরাধ স্বীকারকারী যদি তার স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ না করা।
১৪৩৪। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইয আসলামী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এলেন এবং বললেন যে, তিনি যিনা করে ফেলেছেন। নবী (ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনিও ঐ দিকে গিয়ে বললেন যে, তিনি যিনা করে ফেলেছেন। নবী (ﷺ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনিও সেই দিকে গিয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো যিনা করে বসেছে। চতুর্থবারে নবী (ﷺ) তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন। অনন্তর তাকে ‘‘হাররা’’-এর দিকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল এবং পাথর ছুড়ে রজম করা (শুরু) হল। পাথরের আঘাত যখন তাকে স্পর্শ করল তিনি দৌড়ে পালাতে শুরু করলেন। এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে তিনি দৌড়ে যাচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তির হাতে ছিল একটি উটের চোয়াল। তা দিয়ে সে তাকে আঘাত করে এবং অজানা লোকেরাও তাকে আঘাত করেন। শেষে তিনি মারা যান। পরে লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এই কথার আলোচনা করেন যে, পাথরের আঘাত ও মৃত্যুর স্পর্শ পেয়ে মাইয পালাতে গিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাকে তোমরা কেন ছেড়ে দিলে না? ইবনে মাজাহ ২৫৫৪
এই হাদীসটি হাসান। এটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি আবু সালামা-জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
এই হাদীসটি হাসান। এটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি আবু সালামা-জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحَدِّ عَنِ الْمُعْتَرِفِ إِذَا رَجَعَ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مَاعِزٌ الأَسْلَمِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ زَنَى . فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَ مِنْ شِقِّهِ الآخَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى . فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَ مِنْ شِقِّهِ الآخَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى . فَأَمَرَ بِهِ فِي الرَّابِعَةِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْحَرَّةِ فَرُجِمَ بِالْحِجَارَةِ فَلَمَّا وَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ فَرَّ يَشْتَدُّ حَتَّى مَرَّ بِرَجُلٍ مَعَهُ لَحْىُ جَمَلٍ فَضَرَبَهُ بِهِ وَضَرَبَهُ النَّاسُ حَتَّى مَاتَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ فَرَّ حِينَ وَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ وَمَسَّ الْمَوْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৯
অপরাধ স্বীকারকারী যদি তার স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ না করা।
১৪৩৫। হাসান ইবনে আলী খাললাল (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে যিনায় পতিত হওয়ার স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু তিনি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। পুনরায় সে তার নিজের অপরাধের স্বীকৃতি প্রকাশ করে। কিন্তু তিনি (এই বারও) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এমনকি এই লোকটি শেষে নিজের বিষয়ে চারবার শাহাদাত সহ স্বীকৃতি প্রকাশ করে। অনন্তর নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার মাঝে কি পাগলামী আছে? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ। শেষে তিনি নির্দেশ দিলেন এবং এ প্রেক্ষিতে ঈদগাহে তাকে ‘‘রজম’’ করা হয়। তাকে যখন পাথরের আঘাত স্পর্শ করতে লাগল তখন তিনি পালাইতে চাইলেন। কিন্তু তিনি ধরা পড়লেন এবং ‘‘রজম’’ প্রয়োগে মারা যান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সম্পর্কে সপ্রশংস ও ভাল আলোচনা করেন। কিন্তু নিজে তার সালাতুল জানাযা আদায় করেন নি। নাসাঈ
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। এতদনুসারে কতক আলিমের আমল রয়েছে যে, যিনার স্বীকৃতি দানকারী যদি চারবার শাহাদাত সহ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ করা হবে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, যদি একবারও কেউ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে নেয় তার উপর হদ প্রয়োগ করা যাবে। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস ও শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত। এই বক্তব্য প্রদানকারীর দলিল হল আবু হুরায়রা ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতটি। একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে দুই ব্যক্তি অভিযোগ নিয়ে হাযির হয়। তাদের একজন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার ছেলে এই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করে বসেছে। ......... দীর্ঘ এই হাদীসে আছে যে, নবী (ﷺ) বললেন, ‘‘হে উনায়স, ভোরেই এই ব্যক্তির স্ত্রীর নিকট যাও। সে যদি যিনার কথা স্বীকার করে তবে তাদের দুজনকে ‘‘রজম’’ বিধান করবে। এই হাদীসে নবী (ﷺ) বলেননি যে, যদি সে চারবার স্বীকার করে তবে ...।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। এতদনুসারে কতক আলিমের আমল রয়েছে যে, যিনার স্বীকৃতি দানকারী যদি চারবার শাহাদাত সহ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ করা হবে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, যদি একবারও কেউ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে নেয় তার উপর হদ প্রয়োগ করা যাবে। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস ও শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত। এই বক্তব্য প্রদানকারীর দলিল হল আবু হুরায়রা ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতটি। একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে দুই ব্যক্তি অভিযোগ নিয়ে হাযির হয়। তাদের একজন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার ছেলে এই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করে বসেছে। ......... দীর্ঘ এই হাদীসে আছে যে, নবী (ﷺ) বললেন, ‘‘হে উনায়স, ভোরেই এই ব্যক্তির স্ত্রীর নিকট যাও। সে যদি যিনার কথা স্বীকার করে তবে তাদের দুজনকে ‘‘রজম’’ বিধান করবে। এই হাদীসে নবী (ﷺ) বলেননি যে, যদি সে চারবার স্বীকার করে তবে ...।
باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحَدِّ عَنِ الْمُعْتَرِفِ إِذَا رَجَعَ .
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ اعْتَرَفَ فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبِكَ جُنُونٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَحْصَنْتَ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ فَرَّ فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ حَتَّى مَاتَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْمُعْتَرِفَ بِالزِّنَا إِذَا أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ مَرَّةً أُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ . وَحُجَّةُ مَنْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَحَدُهُمَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنِي زَنَى بِامْرَأَةِ هَذَا الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اغْدُ يَا أُنَيْسُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا " . وَلَمْ يَقُلْ فَإِنِ اعْتَرَفَتْ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান