আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৬. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২২
কাসামা।[১]
১৪২৬. কুতায়বা (রাহঃ) ..... সাহল ইবনে আবী হাছমা ও রাফি ইবনে মাসউদ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা উভয়ে বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল ইবনে যায়দ এবং মুহায়্যিসা ইবনে মাসউদ ইবনে যায়দ (কাজের উদ্দেশ্যে) ঘর থেকে বের হয়ে পড়েন। খায়বর পৌছে তারা বিছিন্ন হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিকে যান। পরে মুহায়্যিসা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে সাহলকে নিহত হিসাবে দেখতে পান। অনন্তর তিনি হুওয়ায়্যিসা ইবনে মাসউদ ও আব্দুর রহমান ইবনে সাহল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এলেন। এদের মধ্যে বয়ঃকনিষ্ট ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে সাহল। তিনি তার সঙ্গীদের পূর্বে কথা বলতে গেলেন কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, বড়কে বড় হিসাবে মর্যাদা দাও। ফলে তিনি চুপ করলেন এবং তার দুই সঙ্গী কথা বলল তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে আব্দুল্লাহ ইবনে সাহলের হত্যার কথা উল্লেখ করল তখন তিনি তাদের বললেন, তোমাদের পঞ্চাশ জন কি কসম করতে পারবে? আর এর মাধ্যমে তোমরা তোমাদের (সঙ্গীর) হত্যাকারীর অধিকার পেয়ে যাবে। তারা বলল, কেমন করে আমরা কসম করব আমরা তো প্রত্যক্ষ করি নি? তিনি বললেন, তা হলে ইয়াহুদীরা পঞ্চশজন কসম করে তোমাদের (কসম) করা থেকে মুক্ত করে দিবে। তারা বলল, কাফির সম্প্রদায়ের কসম আমরা কেমন করে গ্রহণ করতে পারি? শেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের থেকে তার দিয়াত দিয়ে দিলেন। - ইবনে মাজাহ ২৬৭৭, নাসাঈ
[১]অর্থাৎ কোন মহল্লায় কাউকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেলে মহল্লার পঞ্চাশজন অধিবাসী এবং তাদের আশেপাশের লোকেরা শপথ করে বলবে যে, তারা তাকে হত্যা করেনি এবং হত্যাকারী সম্পর্কেও তারা কিছু জানেনা। এ ধরণের কসমের পর স্থানীয় অধিবাসীরা হত্যার দায়িত্ব থেকে রেহাই পেয়ে যাবে।
হাসান ইবনে আলী খাললাল (রাহঃ) ...... সাহল ইবনে আবী হাছমা এবং রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে এ মর্মে বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। কাসামার বিষয়ে এতদনুসারে আলেমগণের আমল রয়েছে। মদীনার কতক ফকীহ কাসামার মাধ্যমে কিসাস গ্রহণের মত প্রকাশ করেছেন। কুফাবাসী এবং অপরাপর কতক আলিম বলেন, কাসামার মাধ্যমে কিসাস হয় না, এতে দিয়াত ধার্য হয়।[ এ হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত ]
[১]অর্থাৎ কোন মহল্লায় কাউকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেলে মহল্লার পঞ্চাশজন অধিবাসী এবং তাদের আশেপাশের লোকেরা শপথ করে বলবে যে, তারা তাকে হত্যা করেনি এবং হত্যাকারী সম্পর্কেও তারা কিছু জানেনা। এ ধরণের কসমের পর স্থানীয় অধিবাসীরা হত্যার দায়িত্ব থেকে রেহাই পেয়ে যাবে।
হাসান ইবনে আলী খাললাল (রাহঃ) ...... সাহল ইবনে আবী হাছমা এবং রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে এ মর্মে বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। কাসামার বিষয়ে এতদনুসারে আলেমগণের আমল রয়েছে। মদীনার কতক ফকীহ কাসামার মাধ্যমে কিসাস গ্রহণের মত প্রকাশ করেছেন। কুফাবাসী এবং অপরাপর কতক আলিম বলেন, কাসামার মাধ্যমে কিসাস হয় না, এতে দিয়াত ধার্য হয়।[ এ হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত ]
باب مَا جَاءَ فِي الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ يَحْيَى وَحَسِبْتُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّهُمَا قَالاَ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ حَتَّى إِذَا كَانَا بِخَيْبَرَ تَفَرَّقَا فِي بَعْضِ مَا هُنَاكَ ثُمَّ إِنَّ مُحَيِّصَةَ وَجَدَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَتِيلاً قَدْ قُتِلَ فَدَفَنَهُ ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ وَحُوَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ ذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ قَبْلَ صَاحِبَيْهِ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَبِّرِ الْكُبْرَ " . فَصَمَتَ وَتَكَلَّمَ صَاحِبَاهُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مَعَهُمَا فَذَكَرُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقْتَلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ فَقَالَ لَهُمْ " أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا فَتَسْتَحِقُّونَ صَاحِبَكُمْ أَوْ قَاتِلَكُمْ " . قَالُوا وَكَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ قَالَ " فَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا " . قَالُوا وَكَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَى عَقْلَهُ .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْقَسَامَةِ وَقَدْ رَأَى بَعْضُ فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ الْقَوَدَ بِالْقَسَامَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ إِنَّ الْقَسَامَةَ لاَ تُوجِبُ الْقَوَدَ وَإِنَّمَا تُوجِبُ الدِّيَةَ . آخِرُ أَبْوَابِ الدِّيَاتِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْقَسَامَةِ وَقَدْ رَأَى بَعْضُ فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ الْقَوَدَ بِالْقَسَامَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ إِنَّ الْقَسَامَةَ لاَ تُوجِبُ الْقَوَدَ وَإِنَّمَا تُوجِبُ الدِّيَةَ . آخِرُ أَبْوَابِ الدِّيَاتِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
