আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭২
কুড়ানো বস্তু ও হারানো উট ও ছাগল প্রসঙ্গে।
১৩৭৬. কুতায়বা (রাহঃ) ...... যায়দ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে কুড়ানো জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, এক বছর এটির ঘোষণা দিবে। এরপর থলির মুখ বাধার ফিতাটি, থলিটি ও চামড়ার বাক্সটি চিনে রাখবে। এরপর তা কাজে ব্যয় করে ফেলতে পারেব। পরে যদি এর মালিক আসে তবে তা তাকে দিয়ে দিবে। লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ছাগল হারিয়ে গেলে? তিনি বললেন, তা ধরে রাখবে। কেননা এটি তোমার কিংবা তোমার ভাইয়ের বা নেকড়ে বাঘের। লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, হারানো উট হলে? রাবী যায়দ ইবনে খালিদ আল- জুহানী (রাহঃ) বলেন, এতে নবী (ﷺ) রাগান্বিত হন। এমনকি তাঁর গন্ডদ্বয় লাল হয়ে উঠে। বললেন, তোমার ও তার এতে কি আছে? এর সাথে তো পদ মোড়কও পানি সব কিছুই রয়েছে। (সুতরাং এটি বিনষ্ট হবে না) শেষে (ঘুরতে ঘুরতে) তার মালিককে পেয়ে যাবে। - ইবনে মাজাহ , নাসাঈ
যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। তার বারাতে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে।
যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। তার বারাতে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي اللُّقَطَةِ وَضَالَّةِ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ " عَرِّفْهَا سَنَةً ثُمَّ اعْرِفْ وِكَاءَهَا وَوِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا ثُمَّ اسْتَنْفِقْ بِهَا فَإِنْ جَاءَ رَبُّهَا فَأَدِّهَا إِلَيْهِ " . فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَضَالَّةُ الْغَنَمِ فَقَالَ " خُذْهَا فَإِنَّمَا هِيَ لَكَ أَوْ لأَخِيكَ أَوْ لِلذِّئْبِ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَضَالَّةُ الإِبِلِ قَالَ فَغَضِبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى احْمَرَّتْ وَجْنَتَاهُ أَوِ احْمَرَّ وَجْهُهُ فَقَالَ " مَا لَكَ وَلَهَا مَعَهَا حِذَاؤُهَا وَسِقَاؤُهَا حَتَّى تَلْقَى رَبَّهَا " . حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَحَدِيثُ يَزِيدَ مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৩
কুড়ানো বস্তু ও হারানো উট ও ছাগল প্রসঙ্গে।
১৩৭৭. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ....... যায়দ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুড়ানো মাল সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বললেন, একবছর তা ঘোষণা দিবে। যদি (মালিকের) পরিচয় পাওয়া যায় তবে তাকে তা দিয়ে দিবে, তা না হলে, এর থলি, মুখ বাধার ফিতা ও পরিমাণ চিনে রাখবে। এরপর তুমি তা ভোগ করতে পার। পরে যদি এর প্রকৃত মালিক আসে তবে তা আদায় করে দিও। - ইবনে মাজাহ, নাসাঈ
এই বিষয়ে উবাই ইবনে কা‘ব, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, জারূদ ইবনুল মুআল্লা, ইয়ায ইবনে হিমার ও জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, যায়দ ইবনে খালিদ-এর হাদীসটি হাসান। এই সূত্রে গারীব। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) বলেন, অত্র বিষয়ে এই হাদীসটি হল সবচে সহীহ।
কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। তারা কুড়ানো মাল এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা প্রদানের পরও যদি মালিক না পাওয়া যায় তবে প্রাপককে তা ভোগ করার অনুমতি প্রদান করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমের অভিমত হল, এক বছর এই বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করবে। যদি প্রকৃত মালিক আসে তবেতো ভাল, আর যদি না আসে তবে সে তা সাদ্কা করে দিবে। এ হল ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহঃ) ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত। প্রাপক যদি ধনি হয় তবে তার জন্য কুড়ানো সম্পদ ভোগ করা তারা জায়েয বলে মনে করেন না।
ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, ধনী হলেও সে তা ভোগ করতে পারবে। কেননা, উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে একটি থলি পেয়েছিলেন। এতে ছিল একশত দীনার বা স্বর্ণ মুদ্রা। নবী (ﷺ) তাকে এটির ঘোষণা দিতে এবং পরে (মালিক পাওয়া না গেলে নিজই) তা ভোগ করার কথা বলেন। উবাই (রাযিঃ) প্রচুর ধন-সম্পদ-এর মালিক ছিলেন। তিনি ছিলেন ধনাঢ্য সাহাবীদের অন্যতম। তাকে নবী (ﷺ) তা ঘোষণা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি যখন মালিককে পেলেন না তখন নবী (ﷺ) তাকেই তা ভোগ করার অনুমতি দেন। সাদ্কা গ্রহণ করা যাদের জন্য হালাল তাদের ছাড়া আর কারো জন্যে যদি (মালিক না পাওয়া অবস্থায়ও) কুড়ানো সম্পদ হালাল না হত তবে তো তা আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ)-এর জন্যও হালাল হতো না। কেননা, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে একটি দীনার পান। তিনি এতদসম্পর্কে ঘোষণা প্রদানের পরও এর প্রকৃত মালিক পাওয়া গেল না। তখন নবী (ﷺ) তা তাকে ভোগ করতে অনুমতি দেন। অথচ আলী (রাযিঃ) (হাশিমী হওয়ায়) এমন ছিলেন যে তার জন্য সাদ্কা গ্রহণ হালাল ছিল না।
কতক আলিম কুড়ানো মাল যদি সামান্য হয় (যে সাধারণত মালিক আর তালাশ করে না যেমন চার আনা পয়সা ইত্যাদি) তবে তা ঘোষণা না দিয়ে প্রাপককে নিজে ভোগ করার অনুমতি দিয়েছেন। কতক আলিম বলেন, কুড়ানো সম্পদে পরিমাণ যদি এক দীনারের কম হয় তবে তা এক সপ্তাহ ঘোষণা দিবে। এ হল ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ)-এর অভিমত।
এই বিষয়ে উবাই ইবনে কা‘ব, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, জারূদ ইবনুল মুআল্লা, ইয়ায ইবনে হিমার ও জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, যায়দ ইবনে খালিদ-এর হাদীসটি হাসান। এই সূত্রে গারীব। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) বলেন, অত্র বিষয়ে এই হাদীসটি হল সবচে সহীহ।
কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। তারা কুড়ানো মাল এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা প্রদানের পরও যদি মালিক না পাওয়া যায় তবে প্রাপককে তা ভোগ করার অনুমতি প্রদান করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমের অভিমত হল, এক বছর এই বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করবে। যদি প্রকৃত মালিক আসে তবেতো ভাল, আর যদি না আসে তবে সে তা সাদ্কা করে দিবে। এ হল ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহঃ) ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত। প্রাপক যদি ধনি হয় তবে তার জন্য কুড়ানো সম্পদ ভোগ করা তারা জায়েয বলে মনে করেন না।
ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, ধনী হলেও সে তা ভোগ করতে পারবে। কেননা, উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে একটি থলি পেয়েছিলেন। এতে ছিল একশত দীনার বা স্বর্ণ মুদ্রা। নবী (ﷺ) তাকে এটির ঘোষণা দিতে এবং পরে (মালিক পাওয়া না গেলে নিজই) তা ভোগ করার কথা বলেন। উবাই (রাযিঃ) প্রচুর ধন-সম্পদ-এর মালিক ছিলেন। তিনি ছিলেন ধনাঢ্য সাহাবীদের অন্যতম। তাকে নবী (ﷺ) তা ঘোষণা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি যখন মালিককে পেলেন না তখন নবী (ﷺ) তাকেই তা ভোগ করার অনুমতি দেন। সাদ্কা গ্রহণ করা যাদের জন্য হালাল তাদের ছাড়া আর কারো জন্যে যদি (মালিক না পাওয়া অবস্থায়ও) কুড়ানো সম্পদ হালাল না হত তবে তো তা আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ)-এর জন্যও হালাল হতো না। কেননা, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে একটি দীনার পান। তিনি এতদসম্পর্কে ঘোষণা প্রদানের পরও এর প্রকৃত মালিক পাওয়া গেল না। তখন নবী (ﷺ) তা তাকে ভোগ করতে অনুমতি দেন। অথচ আলী (রাযিঃ) (হাশিমী হওয়ায়) এমন ছিলেন যে তার জন্য সাদ্কা গ্রহণ হালাল ছিল না।
কতক আলিম কুড়ানো মাল যদি সামান্য হয় (যে সাধারণত মালিক আর তালাশ করে না যেমন চার আনা পয়সা ইত্যাদি) তবে তা ঘোষণা না দিয়ে প্রাপককে নিজে ভোগ করার অনুমতি দিয়েছেন। কতক আলিম বলেন, কুড়ানো সম্পদে পরিমাণ যদি এক দীনারের কম হয় তবে তা এক সপ্তাহ ঘোষণা দিবে। এ হল ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي اللُّقَطَةِ وَضَالَّةِ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ " عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا " .
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالْجَارُودِ بْنِ الْمُعَلَّى وَعِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ أَحْمَدُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ هَذَا الْحَدِيثُ
وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَرَخَّصُوا فِي اللُّقَطَةِ إِذَا عَرَّفَهَا سَنَةً فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يُعَرِّفُهَا سَنَةً فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهَا وَإِلاَّ تَصَدَّقَ بِهَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ لَمْ يَرَوْا لِصَاحِبِ اللُّقَطَةِ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا إِذَا كَانَ غَنِيًّا . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يَنْتَفِعُ بِهَا وَإِنْ كَانَ غَنِيًّا لأَنَّ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ أَصَابَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُرَّةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعَرِّفَهَا ثُمَّ يَنْتَفِعَ بِهَا وَكَانَ أُبَىٌّ كَثِيرَ الْمَالِ مِنْ مَيَاسِيرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعَرِّفَهَا فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْكُلَهَا فَلَوْ كَانَتِ اللُّقَطَةُ لَمْ تَحِلَّ إِلاَّ لِمَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ لَمْ تَحِلَّ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ لأَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَصَابَ دِينَارًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَّفَهُ فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَكْلِهِ وَكَانَ لاَ يَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ . وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَتِ اللُّقَطَةُ يَسِيرَةً أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا وَلاَ يُعَرِّفَهَا . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ دُونَ دِينَارٍ يُعَرِّفُهَا قَدْرَ جُمُعَةٍ . وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ .
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالْجَارُودِ بْنِ الْمُعَلَّى وَعِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ أَحْمَدُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ هَذَا الْحَدِيثُ
وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَرَخَّصُوا فِي اللُّقَطَةِ إِذَا عَرَّفَهَا سَنَةً فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يُعَرِّفُهَا سَنَةً فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهَا وَإِلاَّ تَصَدَّقَ بِهَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ لَمْ يَرَوْا لِصَاحِبِ اللُّقَطَةِ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا إِذَا كَانَ غَنِيًّا . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يَنْتَفِعُ بِهَا وَإِنْ كَانَ غَنِيًّا لأَنَّ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ أَصَابَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُرَّةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعَرِّفَهَا ثُمَّ يَنْتَفِعَ بِهَا وَكَانَ أُبَىٌّ كَثِيرَ الْمَالِ مِنْ مَيَاسِيرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعَرِّفَهَا فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْكُلَهَا فَلَوْ كَانَتِ اللُّقَطَةُ لَمْ تَحِلَّ إِلاَّ لِمَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ لَمْ تَحِلَّ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ لأَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَصَابَ دِينَارًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَّفَهُ فَلَمْ يَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِأَكْلِهِ وَكَانَ لاَ يَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ . وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَتِ اللُّقَطَةُ يَسِيرَةً أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا وَلاَ يُعَرِّفَهَا . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ دُونَ دِينَارٍ يُعَرِّفُهَا قَدْرَ جُمُعَةٍ . وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৪
কুড়ানো বস্তু ও হারানো উট ও ছাগল প্রসঙ্গে।
১৩৭৮. হাসান ইবনে আলী আল-খাললাল (রাহঃ) ..... সুওয়ায়দ ইবনে গাফালা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যায়দ ইবনে সুহায়ন ও সালমান ইবনে রাবিআ এর সঙ্গে (একস্থানে) বের হলাম। পথে একটি (চামড়ার) বেগ পেলাম। তারা বললেন, রেখে দাও। আমি বললাম, এটি রেখে দিব না। কোন হিংস্র প্রাণী হয়তো তা খেয়ে ফেলবে। আমি অবশ্য এটি নিয়ে যাব এবং এটিকে আমার কাজে লাগাব। অনন্তর আমি উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। এই বিষয়ে তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম এবং বিষয়টি তাঁর কাছে বর্ণনা করলাম।
তিনি বললেন, ভাল করেছ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে আমি একটি থলি পেয়েছিলাম। তাতে একশ দীনার ছিল। তা নিয়ে আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন, এটির পরিচয় দিয়ে এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা দাও। আমি এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা দিলাম। কিন্তু এমন কাউকে পেলাম না যে এটি (নিজের বলে) চিনতে পারে। অতঃপর পুনরায় তাঁর কাছে গেলাম, তিনি বললেন, আরো এক বছর ঘোষণা দাও। আমি আরো এক বছর এর ঘোষণা দিলাম। এরপর এটি নিয়ে তাঁর কাছে এলাম। তিনি বললেন, এর সংখ্যা, থলিটি এবং থলি বাঁধার ফিতাটি চিনে রাখ। এর কোন প্রত্যাশি যদি আসে এবং তোমাকে সংখ্যা, এর থলিটি ও মুখ বাঁধার ফিতাটি সম্পর্কে ঠিক ঠিক বলতে পারে তবে এটি তাকে দিয়ে দিও। আর তা না হলে নিজেই তা ভোগ করবে। - ইবনে মাজাহ ২৫০৬
হাদীসটি হাসান-সহীহ।
তিনি বললেন, ভাল করেছ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে আমি একটি থলি পেয়েছিলাম। তাতে একশ দীনার ছিল। তা নিয়ে আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন, এটির পরিচয় দিয়ে এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা দাও। আমি এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা দিলাম। কিন্তু এমন কাউকে পেলাম না যে এটি (নিজের বলে) চিনতে পারে। অতঃপর পুনরায় তাঁর কাছে গেলাম, তিনি বললেন, আরো এক বছর ঘোষণা দাও। আমি আরো এক বছর এর ঘোষণা দিলাম। এরপর এটি নিয়ে তাঁর কাছে এলাম। তিনি বললেন, এর সংখ্যা, থলিটি এবং থলি বাঁধার ফিতাটি চিনে রাখ। এর কোন প্রত্যাশি যদি আসে এবং তোমাকে সংখ্যা, এর থলিটি ও মুখ বাঁধার ফিতাটি সম্পর্কে ঠিক ঠিক বলতে পারে তবে এটি তাকে দিয়ে দিও। আর তা না হলে নিজেই তা ভোগ করবে। - ইবনে মাজাহ ২৫০৬
হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي اللُّقَطَةِ وَضَالَّةِ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ زَيْدِ بْنِ صُوحَانَ وَسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ فَوَجَدْتُ سَوْطًا قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ فَالْتَقَطْتُ سَوْطًا فَأَخَذْتُهُ قَالاَ دَعْهُ . فَقُلْتُ لاَ أَدَعُهُ تَأْكُلُهُ السِّبَاعُ لآخُذَنَّهُ فَلأَسْتَمْتِعَنَّ بِهِ . فَقَدِمْتُ عَلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ وَحَدَّثْتُهُ الْحَدِيثَ فَقَالَ أَحْسَنْتَ أَنَا وَجَدْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُرَّةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ . قَالَ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ لِي " عَرِّفْهَا حَوْلاً " . فَعَرَّفْتُهَا حَوْلاً فَمَا أَجِدُ مَنْ يَعْرِفُهَا ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ " عَرِّفْهَا حَوْلاً آخَرَ " . فَعَرَّفْتُهَا ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ " عَرِّفْهَا حَوْلاً آخَرَ " . وَقَالَ " أَحْصِ عِدَّتَهَا وَوِعَاءَهَا وَوِكَاءَهَا فَإِنْ جَاءَ طَالِبُهَا فَأَخْبَرَكَ بِعِدَّتِهَا وَوِعَائِهَا وَوِكَائِهَا فَادْفَعْهَا إِلَيْهِ وَإِلاَّ فَاسْتَمْتِعْ بِهَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: