আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৩
দুই ব্যক্তির একজনের ভূমি যদি পানি সিঞ্চনের ক্ষেত্রে নিম্নের দিকে থাকে।
১৩৬৭. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক আনসারী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে হাররা-এর পানি প্রবাহ নিয়ে যুবাইর (রাযিঃ) -এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এই পানি প্রবাহ থেকেও তারা খর্জুর উদ্যানে পানি সিঞ্চন করত। আনসারী বলত, পানি ছেড়ে দিন যেন তা প্রবাহিত হতে পারে কিন্তু যুবাইর (রাযিঃ) তা করতে অস্বীকার করেন। তখন তারা বিবাদ মীমাংশার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে গেলে তিনি যুবাইরকে বললেন, যুবাইর, তোমার বাগানে পানি সেচের পর তোমার প্রতিবেশীর জন্য পানি ছেড়ে দবে। আনসারী এতে রাগান্বিত হয়ে পড়ে। সে বলল, আপনার ফুফাতো ভাই বলেই তো (এমন রায় দিলেন)।

এ শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা রক্তবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেন, হে যুবাইর, তোমার বাগানে পানি সেচন করবে। এরপর আইলগুলো ভরাট না হওয়া পর্যন্ত পানি আটকিয়ে রাখবে। যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমার মনে হয় নিম্নের আয়াতটি এই প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছিলঃ

فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ

কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা মু‘মিন হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ বিসম্বাদের বিচার ভার তোমার উপর অপর্ন না করে অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে না নেয়। (৪: ৬৫) - নাসাঈ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। শুআয়ব ইবনে আবু হামযা এটিকে যুহরী - উরওয়া ইবনে যুবাইর -যুবাইর (রাযিঃ) সূত্রেও বর্ণনা করেছেন। এতে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের উল্লেখ নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহব এটি লায়ছ ও ইউনুস - যুহরী - উরওয়া - আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) সূত্রে প্রথমোক্ত হাদীসটি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلَيْنِ يَكُونُ أَحَدُهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الآخَرِ فِي الْمَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ . فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا زُبَيْرُ اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي ذَلِكَ : (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنِ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ . وَرَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ عَنِ اللَّيْثِ وَيُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ نَحْوَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান