আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৩
সাক্ষীর সঙ্গে কসমও গ্রহণ করা।
১৩৪৭. ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম আদ-দাওরাকী (রাহঃ) ....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজন সাক্ষ্য ও কসম নিয়ে ফায়সালা দিয়েছেন।
রাবীআ (রাহঃ) বলেন, সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) -এর জনৈক পুত্র আমাকে বলেছেন, আমরা সা’দের একটি কিতাবে পেয়েছি যে, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন। এই বিষয়ে আলী, জাবির, ইবনে আব্বাস ও সুররাক (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন,- এই মর্মে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
রাবীআ (রাহঃ) বলেন, সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) -এর জনৈক পুত্র আমাকে বলেছেন, আমরা সা’দের একটি কিতাবে পেয়েছি যে, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন। এই বিষয়ে আলী, জাবির, ইবনে আব্বাস ও সুররাক (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন,- এই মর্মে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي الْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ . قَالَ رَبِيعَةُ وَأَخْبَرَنِي ابْنٌ لِسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ قَالَ وَجَدْنَا فِي كِتَابِ سَعْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَسُرَّقَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৪
সাক্ষীর সঙ্গে কসমও গ্রহণ করা।
১৩৪৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্বান (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৫
সাক্ষীর সঙ্গে কসমও গ্রহণ করা।
১৩৪৯. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ....... জাফর ইবনে মুহাম্মাদ তৎপিতা মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আর আলী (রাযিঃ)ও তোমাদের মাঝে এরূপ ফায়সালা দিয়েছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এটি অধিকতর সহীহ। সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ)ও এটিকে জাফর ইবনে মুহাম্মাদ তৎপিতা মুহাম্মাদ সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। আব্দুল আযীয ইবনে আবু সালামা ও ইয়াহয়া ইবনে আবু সুলায়ম (রাহঃ) ও এই হাদীসটি জাফর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) তৎপিতা মুহাম্মাদ আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। অধিকার ও সম্পদ জাতীয় বিষয়ে একজন সাক্ষীসহ কসমের মাধ্যমে ফায়সালা প্রদান জায়েয বলে তারা মনে করেন। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। তারা বললেন, অধিকার ও ধন-সম্পদ জাতীয় বিষয় ছাড়া একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা প্রদান করা যাবে না। কুফাবাসী কিছু সংখ্যক আলিম এবং অপরাপর কতক আলিম কোন ক্ষেত্রেই একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফয়সালা প্রদান জায়েজ বলে মনে করেন না।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এটি অধিকতর সহীহ। সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ)ও এটিকে জাফর ইবনে মুহাম্মাদ তৎপিতা মুহাম্মাদ সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। আব্দুল আযীয ইবনে আবু সালামা ও ইয়াহয়া ইবনে আবু সুলায়ম (রাহঃ) ও এই হাদীসটি জাফর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) তৎপিতা মুহাম্মাদ আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। অধিকার ও সম্পদ জাতীয় বিষয়ে একজন সাক্ষীসহ কসমের মাধ্যমে ফায়সালা প্রদান জায়েয বলে তারা মনে করেন। এ হল ইমাম মালিক ইবনে আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। তারা বললেন, অধিকার ও ধন-সম্পদ জাতীয় বিষয় ছাড়া একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা প্রদান করা যাবে না। কুফাবাসী কিছু সংখ্যক আলিম এবং অপরাপর কতক আলিম কোন ক্ষেত্রেই একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফয়সালা প্রদান জায়েজ বলে মনে করেন না।
باب مَا جَاءَ فِي الْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ . قَالَ وَقَضَى بِهَا عَلِيٌّ فِيكُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ وَهَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً . وَرَوَى عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ وَيَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رَأَوْا أَنَّ الْيَمِينَ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ جَائِزٌ فِي الْحُقُوقِ وَالأَمْوَالِ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَقَالُوا لاَ يُقْضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ إِلاَّ فِي الْحُقُوقِ وَالأَمْوَالِ . وَلَمْ يَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ أَنْ يُقْضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: