আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৪. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসা-বাণিজ্যের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩০০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩০০
আরায়া ও এতদসম্পর্কিত অনুমতি প্রসঙ্গে।
১৩০৩. হান্নাদ (রাহঃ) ...... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) মুহাকালা (অর্থাৎ কর্তিত শস্যের বিনিময়ে ক্ষেতের বর্তমান শস্য অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে বিক্রি করা) মুযাবানা (অর্থাৎ কর্তিত ফলের বিনিময়ে বৃক্ষে থাকা বিদ্যমান ফল অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে বিক্রি করা) নিষেধ করেছেন। তবে তিনি আরায়া* এর অধিকারীকে অনুমানে পরিমাণ নির্ধারণ করে বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছেন। - ইবনে মাজাহ, নাসাঈ

এ বিষয়ে আবু হুরায়রা ও জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। রাবী মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) এ হাদীসটিকে যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) সূত্রে এ ভাবেই বর্ণনা করেছেন। আইয়ুব, উবাইদুল্লাহ্ ইবনে উমর এবং মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) পাঁচ ওয়াসাক পরিমাণের (প্রায় সাতাশ মণ) কমে আরায়া’-এর অনুমতি দিয়েছেন। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটি থেকে অধিকতর সহীহ।

* আরায়া’ হল, খেজুর বা অন্য কিছুর বাগানের অধিকারী কোন ব্যক্তি তার বাগানের একটা দুটা গাছের ফল কোন গরীব ব্যক্তিকে ভোগ করার জন্য দান করল। কিন্তু এ গরীব লোকটির বারবার বাগানে আসা তার অপছন্দনীয়। তাই সে বলল, উক্ত গাছসমূহের সম পরিমান ফল সে তাকে দিয়ে দিবে। এখানে যদিও অনুমানের ভিত্তিতে গাছের ফলের পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে তবুও তা জায়েয। কেননা এটা আসলে ক্রয়-বিক্রয়ের আওতায় পরে না। কেননা মুলত: দানকারীই হচ্ছে এ খেজুরের মালিক। সে ইচ্ছা করলে গাছ থেকে ফল তুলেও দিতে পারে। ইচ্ছা করলে নিজের কাছ থেকেও সে তা দিতে পারে।
باب مَا جَاءَ فِي الْعَرَايَا وَالرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ أَذِنَ لأَهْلِ الْعَرَايَا أَنْ يَبِيعُوهَا بِمِثْلِ خَرْصِهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ هَكَذَا رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ . وَرَوَى أَيُّوبُ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ . وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩০১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩০১
আরায়া ও এতদসম্পর্কিত অনুমতি প্রসঙ্গে।
১৩০৪. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ওয়াসাকের কম পরিমাণে নবী (ﷺ)‘ আরায়া’ জাতীয় বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।

কুতায়বা- মালিক-দাউদ ইবনে হুসাইন (রাহঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি মালিক (রাহঃ) থেকে এরূপভাবে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) পাঁচ ওয়াসাক (বা বর্ণনাকরী বলেছেন, পাঁচ ওয়াসাকের কমে) আরায়া বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْعَرَايَا وَالرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ كَذَا .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ حُصَيْنٍ، نَحْوَهُ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩০২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩০২
আরায়া ও এতদসম্পর্কিত অনুমতি প্রসঙ্গে।
১৩০৫. কুতায়বা (রাহঃ) ..... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরায়া’ ক্ষেত্রে তদনুমানে (অর্থাৎ গাছের খেজুরের পরিমাণ অনুমানের ভিত্তিতে নির্ধারণ করে) বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটিও হাসান-সহীহ। শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) সহ কতক আলিম এতদনুসারে আমল করার অভিমত দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, নবী (ﷺ) কর্তৃক মুহাকালা ও মুযাবানা জাতীয় বিক্রি নিষিদ্ধ করা সম্বলিত নির্দেশ থেকে আরায়া’ বিষয়টি ব্যতিক্রম। তারা এ বিষয়ে যায়দ ইবনে ছাবিত ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি দলীলরূপে পেশ করেন। তাঁরা আরো বলেন, পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমাণ ক্ষেত্রে তা ক্রয় করতে হবে।

কতক আলিমের মতে এই বিধানটির তাৎপর্য হলো নবী (ﷺ) এর মাধ্যমে গরীব সাহাবীদেরকে অবকাশ দিতে চেয়েছেন। কারণ, তারা তাঁর কাছে আবেদন করে বলেছিল, শুকনা খেজুর ছাড়া তাজা খেজুর কিনার বিনিময়ে দেওয়ার মত আমাদের কিছু নাই (অথচ তাজা খেজুর খেতেও আমাদের মন চায়)। তখন নবী (ﷺ) পাঁচ ওয়াসাকের কমে এ ভাবে (আরায়া ভিত্তিতে) তা ক্রয় করার অনুমতি দেন, তারা যাতে তাজা খেজুর আহার করতে পারে।
باب مَا جَاءَ فِي الْعَرَايَا وَالرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ وَقَالُوا إِنَّ الْعَرَايَا مُسْتَثْنَاةٌ مِنْ جُمْلَةِ نَهْىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَالُوا لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ . وَمَعْنَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ التَّوْسِعَةَ عَلَيْهِمْ فِي هَذَا لأَنَّهُمْ شَكَوْا إِلَيْهِ وَقَالُوا لاَ نَجِدُ مَا نَشْتَرِي مِنَ الثَّمَرِ إِلاَّ بِالتَّمْرِ فَرَخَّصَ لَهُمْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَنْ يَشْتَرُوهَا فَيَأْكُلُوهَا رُطَبًا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান