আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৪. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসা-বাণিজ্যের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪৫
ক্রেতা ও বিক্রেতা পৃথক না হওয়া পর্যন্ত উভয়েরই (বিক্রি সম্পাদন করা না করার) ইখতিয়ার থাকে।
১২৪৮. ওয়াসিল ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলু্ল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার রয়েছে যতক্ষণ না তারা পৃথক হয়ে যায় বা তারা ক্রয়- বিক্রয় সম্পাদনে সম্পত হয়। নাফি’ বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) যখন কিছু ক্রয় করতেন তখন তিনি বসা থাকলে বিক্রয় অনিবার্য করার জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন। - ইবনে মাজাহ, নাসাঈ
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আবু বারযা, হাকীম ইবনে হিযাম, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, সামুরা ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন ইবনে ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। এ হলো, ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। তাঁরা বলেন, এখানে পৃথক হওয়া বলতে শারীরিক পৃথক হওয়া বুঝায়, এর মর্ম বাচনিক পৃথক হওয়া নয়।
কতক আলিম বলেন, ‘‘যতক্ষণ তারা পৃথক না হয়েছে’- এই বাণীর মর্ম হলো বাচনিক পৃথক হওয়া। [অর্থাৎ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি যদি বাচনিক সম্পাদন হয়ে যায় এবং প্রসঙ্গান্তের হয়ে যায় তবে শারীরিকভাবে আলাদা না হলেও আর ইখতিয়ার থাকবে না। প্রথমোক্ত অভিমতটি অধিকতর সহীহ। কেননা যে ইবনে উমর এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাঁরই তো এর মর্ম সম্পর্কে অধিক অবহিত থাকার কথা। তারই নিকট থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি যদি বিক্রি অকাট্য করতে চাইতেন তবে তা অনিবার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কিছু হেটে আসতেন। আবু বারযা (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আবু বারযা, হাকীম ইবনে হিযাম, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, সামুরা ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন ইবনে ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। এ হলো, ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। তাঁরা বলেন, এখানে পৃথক হওয়া বলতে শারীরিক পৃথক হওয়া বুঝায়, এর মর্ম বাচনিক পৃথক হওয়া নয়।
কতক আলিম বলেন, ‘‘যতক্ষণ তারা পৃথক না হয়েছে’- এই বাণীর মর্ম হলো বাচনিক পৃথক হওয়া। [অর্থাৎ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি যদি বাচনিক সম্পাদন হয়ে যায় এবং প্রসঙ্গান্তের হয়ে যায় তবে শারীরিকভাবে আলাদা না হলেও আর ইখতিয়ার থাকবে না। প্রথমোক্ত অভিমতটি অধিকতর সহীহ। কেননা যে ইবনে উমর এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাঁরই তো এর মর্ম সম্পর্কে অধিক অবহিত থাকার কথা। তারই নিকট থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি যদি বিক্রি অকাট্য করতে চাইতেন তবে তা অনিবার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কিছু হেটে আসতেন। আবু বারযা (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي الْبَيِّعَيْنِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا أَوْ يَخْتَارَا " . قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا ابْتَاعَ بَيْعًا وَهُوَ قَاعِدٌ قَامَ لِيَجِبَ لَهُ الْبَيْعُ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَاب عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَحَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمُرَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَقَ وَقَالُوا الْفُرْقَةُ بِالْأَبْدَانِ لَا بِالْكَلَامِ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا يَعْنِي الْفُرْقَةَ بِالْكَلَامِ وَالْقَوْلُ الْأَوَّلُ أَصَحُّ لِأَنَّ ابْنَ عُمَرَ هُوَ رَوَى عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَعْنَى مَا رَوَى وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوجِبَ الْبَيْعَ مَشَى لِيَجِبَ لَهُ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ
قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَاب عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَحَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمُرَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَقَ وَقَالُوا الْفُرْقَةُ بِالْأَبْدَانِ لَا بِالْكَلَامِ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا يَعْنِي الْفُرْقَةَ بِالْكَلَامِ وَالْقَوْلُ الْأَوَّلُ أَصَحُّ لِأَنَّ ابْنَ عُمَرَ هُوَ رَوَى عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَعْنَى مَا رَوَى وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوجِبَ الْبَيْعَ مَشَى لِيَجِبَ لَهُ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪৬
ক্রেতা ও বিক্রেতা পৃথক না হওয়া পর্যন্ত উভয়েরই (বিক্রি সম্পাদন করা না করার) ইখতিয়ার থাকে।
১২৪৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন। ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার থাকে যতক্ষণ না তারা পৃথক হয়ে যায়। তারা উভয়েই যদি সত্য বলে থাকে এবং সব স্পষ্টভাবে বিবৃত করে থাকে তবে তাদের ক্রয়- বিক্রয় বরকতময় করে দেওয়া হয়। আর যদি মিথ্যা বলে এবং কিছু গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয় বরকতহীন করে দেওয়া হয়। -নাসাঈ
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই হাদীসটি সহীহ। এই বিষয়ে আবু বারযা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, সামূরা আবু হুরায়রা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি (১২৪৮ নং) হাসান-সহীহ। নবী (ﷺ)-এর সাহাবীদের এবং অপরাপর আলিমদের আমল এর উপর রয়েছে। আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
একটি ঘোড়া বিক্রি সম্পাদনের পর দুই ব্যক্তি তাঁর নিকট বিবাদ মীমাংশার জন্য আসে। তারা তখন একটি নৌযানে ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়েছ বলে তো আমি দেখছি না। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার থাকে যতক্ষণ না তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কূফা বসবাসকারী এবং অপর কিছু আলিমের বক্তব্য হলো, বিচ্ছিন্নতার মর্ম এখানে বাচনিক বিচ্ছিন্নতা। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ)-এর অভিমত।
ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইবনে মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, কেমন করে তার প্রত্যাখ্যান করতে পারি? এই বিষয়ে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি তো সহীহ। এই মতপন্থাকে তো এই রিওয়ায়াতটি শক্তিশালী করে।
নবী (ﷺ)-এর বাণীإِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ অর্থ হলো, বিক্রি সম্পাদনের পর বিক্রেতা যদি ক্রেতাকে ইখতিয়ার দেয় এবং এই ইখতিয়ার থাকবে না যদিও তারা বিচ্ছিন্ন না হয়। ইমাম শাফিঈ প্রমুখ (রাহঃ) এই ভাষ্যই প্রদান করেছেন। বিচ্ছিন্ন হওয়ার অর্থ শারীরিক বিচ্ছিন্নতা বাচনিক বিচ্ছিন্নতা নয়’-এই অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন তাদের বক্তব্যকে ইবনে আমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি শক্তিশালী করে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই হাদীসটি সহীহ। এই বিষয়ে আবু বারযা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, সামূরা আবু হুরায়রা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি (১২৪৮ নং) হাসান-সহীহ। নবী (ﷺ)-এর সাহাবীদের এবং অপরাপর আলিমদের আমল এর উপর রয়েছে। আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
একটি ঘোড়া বিক্রি সম্পাদনের পর দুই ব্যক্তি তাঁর নিকট বিবাদ মীমাংশার জন্য আসে। তারা তখন একটি নৌযানে ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়েছ বলে তো আমি দেখছি না। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার থাকে যতক্ষণ না তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কূফা বসবাসকারী এবং অপর কিছু আলিমের বক্তব্য হলো, বিচ্ছিন্নতার মর্ম এখানে বাচনিক বিচ্ছিন্নতা। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ)-এর অভিমত।
ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইবনে মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, কেমন করে তার প্রত্যাখ্যান করতে পারি? এই বিষয়ে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি তো সহীহ। এই মতপন্থাকে তো এই রিওয়ায়াতটি শক্তিশালী করে।
নবী (ﷺ)-এর বাণীإِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ অর্থ হলো, বিক্রি সম্পাদনের পর বিক্রেতা যদি ক্রেতাকে ইখতিয়ার দেয় এবং এই ইখতিয়ার থাকবে না যদিও তারা বিচ্ছিন্ন না হয়। ইমাম শাফিঈ প্রমুখ (রাহঃ) এই ভাষ্যই প্রদান করেছেন। বিচ্ছিন্ন হওয়ার অর্থ শারীরিক বিচ্ছিন্নতা বাচনিক বিচ্ছিন্নতা নয়’-এই অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন তাদের বক্তব্যকে ইবনে আমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি শক্তিশালী করে।
باب مَا جَاءَ فِي الْبَيِّعَيْنِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا " . هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَحَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمُرَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَقَالُوا الْفُرْقَةُ بِالأَبْدَانِ لاَ بِالْكَلاَمِ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا " . يَعْنِي الْفُرْقَةَ بِالْكَلاَمِ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ لأَنَّ ابْنَ عُمَرَ هُوَ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَعْنَى مَا رَوَى وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوجِبَ الْبَيْعَ مَشَى لِيَجِبَ لَهُ . وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَيْهِ فِي فَرَسٍ بَعْدَ مَا تَبَايَعَا . وَكَانُوا فِي سَفِينَةٍ فَقَالَ لاَ أَرَاكُمَا افْتَرَقْتُمَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا " . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ إِلَى أَنَّ الْفُرْقَةَ بِالْكَلاَمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ كَيْفَ أَرُدُّ هَذَا وَالْحَدِيثُ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَحِيحٌ . وَقَوَّى هَذَا الْمَذْهَبَ . وَمَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " إِلاَّ بَيْعَ الْخِيَارِ " . مَعْنَاهُ أَنْ يُخَيِّرَ الْبَائِعُ الْمُشْتَرِيَ بَعْدَ إِيجَابِ الْبَيْعِ فَإِذَا خَيَّرَهُ فَاخْتَارَ الْبَيْعَ فَلَيْسَ لَهُ خِيَارٌ بَعْدَ ذَلِكَ فِي فَسْخِ الْبَيْعِ وَإِنْ لَمْ يَتَفَرَّقَا . هَكَذَا فَسَّرَهُ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ . وَمِمَّا يُقَوِّي قَوْلَ مَنْ يَقُولُ الْفُرْقَةُ بِالأَبْدَانِ لاَ بِالْكَلاَمِ حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং:১২৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪৭
ক্রেতা ও বিক্রেতা পৃথক না হওয়া পর্যন্ত উভয়েরই (বিক্রি সম্পাদন করা না করার) ইখতিয়ার থাকে।
১২৫০. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আমর ইবনে শুআয়ব তাঁর পিতা তার পিতামহ আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার আছে যতক্ষণ না তারা পৃথক হয়েছে। কিন্তু খিয়ার চুক্তি থাকলে ভিন্ন কথা। সুতরাং ক্রয় বা বিক্রি চুক্তি প্রত্যাহার করে ফেলবে এই আশঙ্কায় এক পক্ষের জন্য তার সঙ্গী থেকে পৃথক হওয়া হালাল নয়।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। এটির মর্ম হলো, বিক্রি বা ক্রয় প্রত্যাহার করে ফেলতে পারে এ আশঙ্কায় পৃথক হওয়া বৈধ নয়। পূথক হওয়ার অর্থ যদি বাচনিক পৃথক হওয়া হয়, তবে বিক্রির পর ইখতিয়ার থাকার বিষয় থাকত না এবং এই হাদীসটিরও কোন অর্থ হত না- যেখানে এ কথা হয়েছে যে, প্রত্যাহার আশঙ্কায় পৃথক হওয়া বৈধ নয়।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। এটির মর্ম হলো, বিক্রি বা ক্রয় প্রত্যাহার করে ফেলতে পারে এ আশঙ্কায় পৃথক হওয়া বৈধ নয়। পূথক হওয়ার অর্থ যদি বাচনিক পৃথক হওয়া হয়, তবে বিক্রির পর ইখতিয়ার থাকার বিষয় থাকত না এবং এই হাদীসটিরও কোন অর্থ হত না- যেখানে এ কথা হয়েছে যে, প্রত্যাহার আশঙ্কায় পৃথক হওয়া বৈধ নয়।
باب مَا جَاءَ فِي الْبَيِّعَيْنِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا
أَخْبَرَنَا بِذَلِكَ، قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَفْقَةَ خِيَارٍ وَلاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُفَارِقَ صَاحِبَهُ خَشْيَةَ أَنْ يَسْتَقِيلَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَمَعْنَى هَذَا أَنْ يُفَارِقَهُ بَعْدَ الْبَيْعِ خَشْيَةَ أَنْ يَسْتَقِيلَهُ وَلَوْ كَانَتِ الْفُرْقَةُ بِالْكَلاَمِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ خِيَارٌ بَعْدَ الْبَيْعِ لَمْ يَكُنْ لِهَذَا الْحَدِيثِ مَعْنًى حَيْثُ قَالَ صلى الله عليه وسلم " وَلاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُفَارِقَهُ خَشْيَةَ أَنْ يَسْتَقِيلَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান