আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৩. তালাক - লি'আনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২০৪
যার স্বামী মারা গেছে সেই মহিলা কোথায় ইদ্দত পালন করবে?
১২০৭. আনসারী (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর ভগ্নি ফুরায়’আ বিনতে মালিক ইবনে সিনান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বনু খুদরায় তার স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়ায়ার বিষয়ে নবী (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করতে এসেছিলেন। তার স্বামী তার কতকগুলি পলাতক গোলামের খোঁজে বের হয়েছিলেন। তারাফুল কুদুম নামক স্থানে তাঁদের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। সেখানে তাঁরা তাকে মেরে ফেলে। ফুরায়’আ বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে আমার স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। কারণ, স্বামী আমার জন্য এমন কোন বাসস্থান রেখে যাননি, যা তার মালিকানায় ছিল এবং কোন খোরপোষের ব্যবস্থাও ছিল না। নবী (ﷺ) (অনুমতি সূচক) হ্যাঁ বললেন। অনন্তর আমি ফিরে চললাম। আমি তখনও হুজরায়ই ছিলাম, অথবা মসজিদে ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ডাকলেন এবং (পুনরায়) বর্ণনা করার আদেশ করলেন। আমি আমার স্বামী সম্পর্কে যা বলেছিলাম সম্পূর্ণ ঘটনা আবার বললাম।
তিনি বললেন, ইদ্দত পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার পূর্ব গৃহেই অবস্থান করবে। অনন্তর আমি সেখানেই চারমাস দশ দিন ইদ্দত পালন করি। পরে উছমান (রাযিঃ) যখন খলীফা হলেন, তখন আমার নিকট লোক পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আমি তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। অনন্তর তিনি এর অনুসরণ করেছেন এবং এতদনুসারেই ফায়সালা দিয়েছেন। - ইবনে মাজাহ
মুহম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) সা’দ ইবনে ইসহাক ইবনে কা’ব ইবনে উজরা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা ইদ্দত অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত স্বামীর ঘর থেকে ইদ্দত পালনকারিনী মহিলার চলে যাওয়ার অনুমতি দেন না। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। কতক সাহাবী ও অপরাপর কিছু আলিম বলেন, ঐ মহিলা স্বামীর ঘর ছাড়াও যেখানে ইচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারবে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, প্রথমোক্ত মতটি অধিকতর সহীহ।
তিনি বললেন, ইদ্দত পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার পূর্ব গৃহেই অবস্থান করবে। অনন্তর আমি সেখানেই চারমাস দশ দিন ইদ্দত পালন করি। পরে উছমান (রাযিঃ) যখন খলীফা হলেন, তখন আমার নিকট লোক পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আমি তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। অনন্তর তিনি এর অনুসরণ করেছেন এবং এতদনুসারেই ফায়সালা দিয়েছেন। - ইবনে মাজাহ
মুহম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) সা’দ ইবনে ইসহাক ইবনে কা’ব ইবনে উজরা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা ইদ্দত অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত স্বামীর ঘর থেকে ইদ্দত পালনকারিনী মহিলার চলে যাওয়ার অনুমতি দেন না। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। কতক সাহাবী ও অপরাপর কিছু আলিম বলেন, ঐ মহিলা স্বামীর ঘর ছাড়াও যেখানে ইচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারবে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, প্রথমোক্ত মতটি অধিকতর সহীহ।
باب مَا جَاءَ أَيْنَ تَعْتَدُّ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، أَنْبَأَنَا مَعْنٌ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ عَمَّتِهِ، زَيْنَبَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّ الْفُرَيْعَةَ بِنْتَ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ، وَهِيَ أُخْتُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَخْبَرَتْهَا أَنَّهَا، جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَسْأَلُهُ أَنْ تَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهَا فِي بَنِي خُدْرَةَ وَأَنَّ زَوْجَهَا خَرَجَ فِي طَلَبِ أَعْبُدٍ لَهُ أَبَقُوا حَتَّى إِذَا كَانَ بِطَرَفِ الْقَدُومِ لَحِقَهُمْ فَقَتَلُوهُ . قَالَتْ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَرْجِعَ إِلَى أَهْلِي فَإِنَّ زَوْجِي لَمْ يَتْرُكْ لِي مَسْكَنًا يَمْلِكُهُ وَلاَ نَفَقَةً . قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَتْ فَانْصَرَفْتُ حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي الْحُجْرَةِ أَوْ فِي الْمَسْجِدِ نَادَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَمَرَ بِي فَنُودِيتُ لَهُ فَقَالَ " كَيْفَ قُلْتِ " . قَالَتْ فَرَدَدْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ الَّتِي ذَكَرْتُ لَهُ مِنْ شَأْنِ زَوْجِي قَالَ " امْكُثِي فِي بَيْتِكِ حَتَّى يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ " . قَالَتْ فَاعْتَدَدْتُ فِيهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا . قَالَتْ فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَسَأَلَنِي عَنْ ذَلِكَ فَأَخْبَرْتُهُ فَاتَّبَعَهُ وَقَضَى بِهِ .
أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا سَعْدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لَمْ يَرَوْا لِلْمُعْتَدَّةِ أَنْ تَنْتَقِلَ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَعْتَدَّ حَيْثُ شَاءَتْ وَإِنْ لَمْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .
أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا سَعْدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لَمْ يَرَوْا لِلْمُعْتَدَّةِ أَنْ تَنْتَقِلَ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَعْتَدَّ حَيْثُ شَاءَتْ وَإِنْ لَمْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: