আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৩. তালাক - লি'আনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৫
মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১১৯৭. আনসারী (রাহঃ) ..... হুমায়দ ইবনে নাফে’ থেকে বর্ণিত যে, তাঁকে যায়নার বিনতে আবু সালামা (রাহঃ) এই তিনটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

যায়নাব (রাযিঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) এর সহ ধর্মিনী উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) এর পিতা আবু সুফিয়ান ইবনে হারব (রাযিঃ) এর ইন্‌তিকালের পর আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি ডেকে সুগন্ধি আনলেন। এতে হলদে রং এর জাফরানী বা এ জাতীয় আতর ছিল। তিনি একটি বালিকার গায়ে তা লাগালেন। এরপরে স্বীয় গণ্ডদ্বায়ে তা লাগালেন। তারপর বললেন, আমার এই সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ্ ও শেষদিনে ঈমান রাখে তার পক্ষে হালাল নয় কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিনদিনের অধিক শোক পালন করা। তবে স্বামীর জন্য চারমাস দশ দিন। - আবু দাউদ, বুখারি, মুসলিম
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الأَحَادِيثِ الثَّلاَثَةِ،

قَالَ قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةُ خَلُوقٍ أَوْ غَيْرُهُ فَدَهَنَتْ بِهِ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬
মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১১৯৯. যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ)-এর ভ্রাতা মারা যাওয়ার পর আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি সুগন্ধি আনলেন এবং তা লাগালেন। পরে বললেন, আল্লাহর কসম, আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ্ ও শেষ দিনে ঈমান রাখে তার পক্ষে হালাল নয় কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন রাত্রির অধক শোক পালন করা। তবে স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন।
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
قَالَتْ زَيْنَبُ فَدَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي فِي الطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৭
মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১২০০. যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, আমার মা উম্মে সালামা (রাযিঃ)কে বলতে শুনেছি যে, জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে। বর্তমানে তার চোখ রোগক্রান্ত। আমরা কি তাকে সুরমা ব্যবহার করাতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, দুবার বা তিনবার যতবারই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে অনুমতির কথা বলা হল, ততবারই তিনি বললেন, না। এরপর তিনি বললেন, এ তো হলো মাত্র চার মাস দশ দিন। অথচ জাহিলী আমলে এজন্য তোমরা বৎসরান্তে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করতে।*

এই বিষয়ে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর ভগ্নী ফুরায়’আ বিনতে মালিক সিনান ও হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, যায়নাব (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে যে, যে মহিলার স্বামী মারা গেছে সে ইদ্দত পালনের সময় সুগন্ধি ও সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকবে। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।

*জাহিলী আমলে কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে রীতি ছিল যে, তাকে একটি সংকীর্ণ ঘরে একাকী থাকতে হত এবং ভাল পোশাক-পরিচ্ছদ ও সুগন্ধি কিছুই ব্যবহার করতে পারত না। এভাবে একবছর অতিবাহিত হলে গাধা বা বকরীর মাধ্যমে তার ভাঙ্গ ছোয়ান হত। পরে ঐ ঘর থেকে বের হত এবং তার হাতে উটের বিষ্ঠা প্রদান করা হত। আর সে তা নিক্ষেপ করে ইন্দত থেকে মুক্ত হত। ইসলাম এই ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সহজ, মানুষের স্বভাবানুগ বিধান দিয়েছে। এখানে এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
قَالَتْ زَيْنَبُ وَسَمِعْتُ أُمِّي أُمَّ سَلَمَةَ، تَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَيْهَا أَفَنَكْحَلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ " لاَ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ فُرَيْعَةَ بِنْتِ مَالِكٍ أُخْتِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَحَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْنَبَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . - وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا تَتَّقِي فِي عِدَّتِهَا الطِّيبَ وَالزِّينَةَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .