আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৩. তালাক - লি'আনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১১৯৪. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদের অবস্থা এমন ছিল যে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যেমন ইচ্ছা তালাক দিয়ে দিত। যদি একশ বা ততোধিক তালাকও দিত তবুও ইদ্দতের ভিতর ফিরিয়ে আনলে এই মহিলা তার স্ত্রী হিসাবেই গণ্য হতো। এমনটি একবার জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল, আল্লাহর কসম, তোমাকে আমি এমনভাবে তালাক দিব না যে, তুমি আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাও, আর কখনো তোমাকে আশ্রয় দিব না। মহিলা বলল, কেমন করে? স্বামী বলল, তোমাকে তালাক দিব আর যখনই তোমার ইদ্দত শেষ হওয়ার উপক্রম হবে তখন আমি তোমার সহিত রাজআত করে নিব। উক্ত মহিলা তখন আয়িশা (রাযিঃ) -এর কাছে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করল। আয়িশা (রাযিঃ) তা শুনে চুপ রইলেন। অবশেষে নবী (ﷺ) আসলে তাঁকে তিনি ঘটনাটি জানালেন। তা শুনে নবী (ﷺ)চুপ করে রইলেন। এরপর কুরআনের আয়াত নাযিল হলোঃ الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ

এই তালাক দুইবার, অনন্তর স্ত্রীকে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। [সূরা বাকারা ২ঃ২২৫) আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর লোকেরা, যারা তালাক দিয়েছিল বা তালাক দেয়নি সবাই পরবর্তীতে নতুন করে এ তালাকের অীধকার প্রাপ্ত হলো।

আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে উক্ত মর্মে এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তবে এই রিওয়ায়াতে আয়িশা (রাযিঃ) -এর উল্লেখ নেই। এই রিওয়ায়াতটি ইয়া’লা ইবনে শাবীব (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত থেকে অধিকতর সহীহ।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ شَبِيبٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ وَالرَّجُلُ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ مَا شَاءَ أَنْ يُطَلِّقَهَا وَهِيَ امْرَأَتُهُ إِذَا ارْتَجَعَهَا وَهِيَ فِي الْعِدَّةِ وَإِنْ طَلَّقَهَا مِائَةَ مَرَّةٍ أَوْ أَكْثَرَ حَتَّى قَالَ رَجُلٌ لاِمْرَأَتِهِ وَاللَّهِ لاَ أُطَلِّقُكِ فَتَبِينِي مِنِّي وَلاَ آوِيكِ أَبَدًا . قَالَتْ وَكَيْفَ ذَاكَ قَالَ أُطَلِّقُكِ فَكُلَّمَا هَمَّتْ عِدَّتُكِ أَنْ تَنْقَضِيَ رَاجَعْتُكِ . فَذَهَبَتِ الْمَرْأَةُ حَتَّى دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ فَأَخْبَرَتْهَا فَسَكَتَتْ عَائِشَةُ حَتَّى جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نَزَلَ الْقُرْآنُ : ( الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ ) قَالَتْ عَائِشَةُ فَاسْتَأْنَفَ النَّاسُ الطَّلاَقَ مُسْتَقْبَلاً مَنْ كَانَ طَلَّقَ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ طَلَّقَ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ يَعْلَى بْنِ شَبِيبٍ .