আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৩. তালাক - লি'আনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৮১
বিবাহের পূর্বে তালাক নেই।
১১৮২. আহমাদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ...... আমর ইবনে শুআয়ব তাঁর পিতা তাঁর পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যে বস্তু স্বীয় মালিকানায় নেই সেই বস্তুতে আদম সন্তানের মান্নত হয় না। যে (দাস) স্বীয় মালিকানায় নেই তাকে আযাদ করা যায় না। যে (স্ত্রীলোক) স্বীয় অধিকারে নেই তাকে তালাক দেওয়া যায় না। - ইবনে মাজাহ

এই বিষয়ে আলী, মুআয, জাবির, ইবনে আব্বাস ও আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে বর্ণিত হাদীস সমূহের মাঝে এই রিওয়ায়াতটই সর্বোত্তম। এ হলো অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের অভিমত। আলী ইবনে আবী তালিব, ইবনে আব্বাস, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব, হাসান, সাঈদ ইবনে জুবাইর, আলী ইবনে হুসাইন, শুরায়হ, জাবির ইবনে যায়দ (রাহঃ) প্রমূখ একাধিক সাহাবী ও ফকীহ তাবিঈ থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ)-এর বক্তব্যও এ-ই।

ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট মহিলাকে বিবাহ সাপেক্ষে তালাক বললে তালাক পড়বে। ইবরাহীম নাখঈ, শা’বী (রাহঃ) প্রমূখ আলিমদের সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা বলেছেন, যদি কোন সময় নির্ধারিত করে তালাক উচ্চারণ করে (আর সে সময়ের ভিতর ঐ মহিলাকে বিবাহ করে) তবে তালাক পড়বে। এ হলো সুফিয়ান ছাওরী ও মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ)-এর অভিমত। তাঁরা বলেন, যদি নির্দিষ্ট কোন স্ত্রীলোকের নাম নেয় বা সময় নির্ধারণ করে কিংবা বলে, অমুক স্থানের মেয়েটি বিয়ে করলে সে তালাক এবং এরপর যদি তাকে বিয়ে করে তবে তালাক হয়ে যাবে।

ইবনে মুবারক (রাহঃ) এই বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করেছেন করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এমতাবস্থায় সে যদি বিবাহ করে তবে আমি বলিনা যে, ঐ মহিলা তার জন্য হারাম হয়ে গেল। ইমাম আহমাদ (রাহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় সে যদি বিয়ে করে ফেলে তবে আমি তার স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করতে বলব না। ইমাম ইসহাক (রাহঃ) বলেন, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত অনুসারে নির্দিষ্ট মহিলার ক্ষেত্রে আমি তালাকের বিধান প্রয়োগ করার পক্ষপাতি; কিন্তু কেউ যদি বিয়ে করেই ফেলে তবে ঐ স্ত্রীলোক তার জন্য হারাম হয়ে গেছে বলে বলি না। আর অনির্দিষ্ট মহিলার ক্ষেত্রে ইসহাক (রাহঃ) আরও উদার মতামত অবলম্বন করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক থেকে উল্লেখ করা হয় যে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এক ব্যক্তি কসম করে যে, বিবাহ করবে না। করলে (স্ত্রী) তালাক হয়ে যাবে। পরে তার বিবাহ করার মত হয়। এমতাবস্থায় সে কি এই বিষয়ে যে ফকীহ বিবাহের অবকাশ রেখেছেন তাদের মত অবলম্বন করে বিবাহ করতে পারবে? ইবনে মুবারক বললেন, এই বিষয়ে কার্যকর হওয়ার পূর্ব থেকে যদি এই ফকীহদের মত সত্য বলে বিশ্বাস করে থাকে তবে এখন সে তাদের মত অবলম্বন করতে পারবে। কিন্তু পূর্ব থেকে যদি কেউ এই মতে সন্তুষ্ট না থাকে বরং এই বিষয়ে নিপতিত হওয়ার পর যদি ঐ ফকিহগণের মত গ্রহণ করতে চায় তবে আমার মতে সে আর তাঁদের মত গ্রহণ করতে পারবে না।
باب مَا جَاءَ لاَ طَلاَقَ قَبْلَ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نَذْرَ لاِبْنِ آدَمَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ وَلاَ عِتْقَ لَهُ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ وَلاَ طَلاَقَ لَهُ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَالْحَسَنِ وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ وَشُرَيْحٍ وَجَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ فِي الْمَنْصُوبَةِ إِنَّهَا تَطْلُقُ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَالشَّعْبِيِّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ قَالُوا إِذَا وَقَّتَ نُزِّلَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ إِذَا سَمَّى امْرَأَةً بِعَيْنِهَا أَوْ وَقَّتَ وَقْتًا أَوْ قَالَ إِنْ تَزَوَّجْتُ مِنْ كُورَةِ كَذَا فَإِنَّهُ إِنْ تَزَوَّجَ فَإِنَّهَا تَطْلُقُ . وَأَمَّا ابْنُ الْمُبَارَكِ فَشَدَّدَ فِي هَذَا الْبَابِ وَقَالَ إِنْ فَعَلَ لاَ أَقُولُ هِيَ حَرَامٌ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِنْ تَزَوَّجَ لاَ آمُرُهُ أَنْ يُفَارِقَ امْرَأَتَهُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ أَنَا أُجِيزُ فِي الْمَنْصُوبَةِ لِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَإِنْ تَزَوَّجَهَا لاَ أَقُولُ تَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ . وَوَسَّعَ إِسْحَاقُ فِي غَيْرِ الْمَنْصُوبَةِ . وَذُكِرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ حَلَفَ بِالطَّلاَقِ أَنَّهُ لاَ يَتَزَوَّجُ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ هَلْ لَهُ رُخْصَةٌ بِأَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِ الْفُقَهَاءِ الَّذِينَ رَخَّصُوا فِي هَذَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ إِنْ كَانَ يَرَى هَذَا الْقَوْلَ حَقًّا مِنْ قَبْلِ أَنْ يُبْتَلَى بِهَذِهِ الْمَسْأَلَةِ فَلَهُ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِهِمْ فَأَمَّا مَنْ لَمْ يَرْضَ بِهَذَا فَلَمَّا ابْتُلِيَ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ بِقَوْلِهِمْ فَلاَ أَرَى لَهُ ذَلِكَ .