আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৩. তালাক - লি'আনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৮
তোমার ব্যাপার তোমার হাতে বলা প্রসঙ্গে।
১১৭৯. আলী ইবনে নসর ইবনে আলী (রাহঃ) ..... হাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আইয়ুব (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি হাসান ব্যতীত অন্য কাউকে জানেন যে, ‘‘তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ বললে তা তিন তালাক বলে তিনি গণ্য করেছেন? তিনি বললেন, না। কেবল হাসানই (এমত পোষন করেন)। আল্লাহ্ ক্ষমা করুন, কাতাদা (রাহঃ) আমাকে বনু সামূরার আযাদকৃত দাস কাছীর-আবু সালামা-আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, এতে তিন তালাক বলে গণ্য হবে। আইয়ুব বলেন, পরে আমি ইবনে সামূরার আযাদকৃত দাস কাছীরের সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তিনি এটি চিনতে পারেননি। অনন্তর কাতাদার কাছে এসে এই সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলে তিনি বললেন, কাছীর এটি ভুলে গেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। সুলাইমান ইবনে হারব-হাম্মাদ ইবনে যায়দ ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা তা অবহিত হই নি। আমি মুহাম্মাদ (আল-বুখারী) (রাহঃ)-কে এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, সুলাইমান ইবনে হারব এটিকে হাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। এটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে মউকুফ হিসেবে বর্ণিত আছে। তিনি এটিকে আবু হুরায়রা (রা্) থেকে মারফূ’ হিসেবে জানেননা। রাবী আলী ইবনে নসর ছিলেন, হাদীস বিশারদ এবং হাফিজুল হাদীস। ‘‘তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ স্ত্রীকে এই কথা বললে কি হবে এতদ্বিষয়ে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের মধ্যে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। উমর ইবনুল খাত্তাব ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সহ কতক সাহাবী বলেন, এতে এক তালাক গণ্য হবে। এ হলো তাবিঈন ও পরবর্তী যুগের অন্যান্য আলিমগেদর অভিমত।
উছমান ইবনে আফফান ও যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) বলেন, স্ত্রী যা নিয়ত করবে তার উপর ফায়সালা হবে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন যদি কেউ তার স্ত্রীকে তার ব্যাপার তার হাতেই ন্যস্ত করে দেয় এমতাবস্থায় সে নিজেকে তিন তালাক দিয়ে দেয় এবং স্বামী যদি তা স্বীকার না করে বরং বলে আমি তার হাতে মাত্র এক তালাকের অধিকার ন্যস্ত করেছিলাম তবে স্বামীর নিকট থেকে কসম লওয়া হবে। এই বিষয়ে কসম সহ স্বামীর কথাই গ্রহণীয় হবে। ইমাম সুফিয়ান ও কূফাবাসী ফকীহগণ এই বিষয়ে উমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর মতামত গ্রহণ করেছেন। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেন, স্ত্রী যা করবে তার উপরই ফায়সালা হবে। ইমাম আহমদ (রাহঃ) এরও এ অভিমত। আর ইমাম ইসহাক (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) এর মত গ্রহণ করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। সুলাইমান ইবনে হারব-হাম্মাদ ইবনে যায়দ ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা তা অবহিত হই নি। আমি মুহাম্মাদ (আল-বুখারী) (রাহঃ)-কে এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, সুলাইমান ইবনে হারব এটিকে হাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। এটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে মউকুফ হিসেবে বর্ণিত আছে। তিনি এটিকে আবু হুরায়রা (রা্) থেকে মারফূ’ হিসেবে জানেননা। রাবী আলী ইবনে নসর ছিলেন, হাদীস বিশারদ এবং হাফিজুল হাদীস। ‘‘তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ স্ত্রীকে এই কথা বললে কি হবে এতদ্বিষয়ে নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের মধ্যে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। উমর ইবনুল খাত্তাব ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সহ কতক সাহাবী বলেন, এতে এক তালাক গণ্য হবে। এ হলো তাবিঈন ও পরবর্তী যুগের অন্যান্য আলিমগেদর অভিমত।
উছমান ইবনে আফফান ও যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) বলেন, স্ত্রী যা নিয়ত করবে তার উপর ফায়সালা হবে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন যদি কেউ তার স্ত্রীকে তার ব্যাপার তার হাতেই ন্যস্ত করে দেয় এমতাবস্থায় সে নিজেকে তিন তালাক দিয়ে দেয় এবং স্বামী যদি তা স্বীকার না করে বরং বলে আমি তার হাতে মাত্র এক তালাকের অধিকার ন্যস্ত করেছিলাম তবে স্বামীর নিকট থেকে কসম লওয়া হবে। এই বিষয়ে কসম সহ স্বামীর কথাই গ্রহণীয় হবে। ইমাম সুফিয়ান ও কূফাবাসী ফকীহগণ এই বিষয়ে উমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর মতামত গ্রহণ করেছেন। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেন, স্ত্রী যা করবে তার উপরই ফায়সালা হবে। ইমাম আহমদ (রাহঃ) এরও এ অভিমত। আর ইমাম ইসহাক (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) এর মত গ্রহণ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ لأَيُّوبَ هَلْ عَلِمْتَ أَنَّ أَحَدًا قَالَ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ أَنَّهَا ثَلاَثٌ إِلاَّ الْحَسَنَ فَقَالَ لاَ إِلاَّ الْحَسَنَ . ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ غَفْرًا إِلاَّ مَا حَدَّثَنِي قَتَادَةُ عَنْ كَثِيرٍ مَوْلَى ابْنِ سَمُرَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثٌ " . قَالَ أَيُّوبُ فَلَقِيتُ كَثِيرًا - مَوْلَى ابْنِ سَمُرَةَ فَسَأَلْتُهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ فَرَجَعْتُ إِلَى قَتَادَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ نَسِيَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، بِهَذَا وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، مَوْقُوفٌ . وَلَمْ يُعْرَفْ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا . وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ حَافِظًا صَاحِبَ حَدِيثٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ هِيَ وَاحِدَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ . وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا جَعَلَ أَمْرَهَا بِيَدِهَا وَطَلَّقَتْ نَفْسَهَا ثَلاَثًا وَأَنْكَرَ الزَّوْجُ وَقَالَ لَمْ أَجْعَلْ أَمْرَهَا بِيَدِهَا إِلاَّ فِي وَاحِدَةٍ اسْتُحْلِفَ الزَّوْجُ وَكَانَ الْقَوْلُ قَوْلَهُ مَعَ يَمِينِهِ . وَذَهَبَ سُفْيَانُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ إِلَى قَوْلِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ . وَأَمَّا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فَقَالَ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ . وَأَمَّا إِسْحَاقُ فَذَهَبَ إِلَى قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ .
وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، بِهَذَا وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، مَوْقُوفٌ . وَلَمْ يُعْرَفْ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا . وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ حَافِظًا صَاحِبَ حَدِيثٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ هِيَ وَاحِدَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ . وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا جَعَلَ أَمْرَهَا بِيَدِهَا وَطَلَّقَتْ نَفْسَهَا ثَلاَثًا وَأَنْكَرَ الزَّوْجُ وَقَالَ لَمْ أَجْعَلْ أَمْرَهَا بِيَدِهَا إِلاَّ فِي وَاحِدَةٍ اسْتُحْلِفَ الزَّوْجُ وَكَانَ الْقَوْلُ قَوْلَهُ مَعَ يَمِينِهِ . وَذَهَبَ سُفْيَانُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ إِلَى قَوْلِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ . وَأَمَّا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فَقَالَ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ . وَأَمَّا إِسْحَاقُ فَذَهَبَ إِلَى قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান