আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১২. দুগ্ধপান ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৩
যদ্বারা দুগ্ধপানের হক মিটানো যায়।
১১৫৪. কুতায়বা (রাহঃ) ...... হাজ্জাজ আসলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার থেকে দুগ্ধপানের হক কিভাবে মিটানো যায়? তিনি বললেন, (দুধমাকে) গুররা তথা একটি দাস বা দাসী প্রদান করে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ কাত্তান ও হাতিম ইবনে ইসমাঈল প্রমুখ (রাহঃ) এই হাদীসটিকে হিশাম ইবনে উরওয়া তাঁর পিতা উরওয়া হাজ্জাজ ইবনে হাজ্জাজ তাঁর পিতা হাজ্জাজ নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা হিশাম ইবনে উরওয়া-তার পিতা উরওয়া-হাজ্জাজ ইবনে আবু হাজ্জাজ- তাঁর পিতা আবু হাজ্জাজ-নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) বর্ণিত এই রিয়ায়তটি মাহফূজ বা বিশুদ্ধ নয়। তারা হিশাম ইবনে উরওয়া-তার পিতা উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে যে রিওয়ায়াত করেছেন তাই সহীহ।
হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ)-এর কুনিয়াত বা উপনাম আবুল মুনযির। তিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে পেয়েছেন। مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعَةِ বাক্যটির مَذَمَّةَ الرَّضَاعَةِ অর্থ হলো রাযআত বা দুগ্ধপানের হক। তুমি যদি দুধ মাকে একটি দাস বা দাসী দাও তবে তুমি তার হক আদায় করলে। আবু তুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এমন সময় এক মহিলা আসলেন। নবী (ﷺ) তার জন্য স্বীয় চাঁদরখানি বিছিয়ে দিলেন, ঐ মহিলা তাতে বসলেন। তিনি চলে গেলে বলা হল, এই মহিলা-ই নবী (ﷺ) কে দুধ পান করিয়েছিলেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ কাত্তান ও হাতিম ইবনে ইসমাঈল প্রমুখ (রাহঃ) এই হাদীসটিকে হিশাম ইবনে উরওয়া তাঁর পিতা উরওয়া হাজ্জাজ ইবনে হাজ্জাজ তাঁর পিতা হাজ্জাজ নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা হিশাম ইবনে উরওয়া-তার পিতা উরওয়া-হাজ্জাজ ইবনে আবু হাজ্জাজ- তাঁর পিতা আবু হাজ্জাজ-নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) বর্ণিত এই রিয়ায়তটি মাহফূজ বা বিশুদ্ধ নয়। তারা হিশাম ইবনে উরওয়া-তার পিতা উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে যে রিওয়ায়াত করেছেন তাই সহীহ।
হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ)-এর কুনিয়াত বা উপনাম আবুল মুনযির। তিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে পেয়েছেন। مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعَةِ বাক্যটির مَذَمَّةَ الرَّضَاعَةِ অর্থ হলো রাযআত বা দুগ্ধপানের হক। তুমি যদি দুধ মাকে একটি দাস বা দাসী দাও তবে তুমি তার হক আদায় করলে। আবু তুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এমন সময় এক মহিলা আসলেন। নবী (ﷺ) তার জন্য স্বীয় চাঁদরখানি বিছিয়ে দিলেন, ঐ মহিলা তাতে বসলেন। তিনি চলে গেলে বলা হল, এই মহিলা-ই নবী (ﷺ) কে দুধ পান করিয়েছিলেন।
باب مَا جَاءَ مَا يُذْهِبُ مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ فَقَالَ " غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ . يَقُولُ إِنَّمَا يَعْنِي بِهِ ذِمَامَ الرَّضَاعَةِ وَحَقَّهَا يَقُولُ إِذَا أَعْطَيْتَ الْمُرْضِعَةَ عَبْدًا أَوْ أَمَةً فَقَدْ قَضَيْتَ ذِمَامَهَا . وَيُرْوَى عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ فَبَسَطَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رِدَاءَهُ حَتَّى قَعَدَتْ عَلَيْهِ فَلَمَّا ذَهَبَتْ قِيلَ هِيَ كَانَتْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . هَكَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَحَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي حَجَّاجٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى هَؤُلاَءِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ . وَهِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ يُكْنَى أَبَا الْمُنْذِرِ وَقَدْ أَدْرَكَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنَ عُمَرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: