আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৪৫
স্ত্রীর মোহরানা নির্ধারণের পূর্বেই যদি স্বামী মারা যায়।
১১৪৬. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, ‘‘কোন ব্যক্তি যদি কোন স্ত্রীলোককে বিয়ে করার পর তার সাথে মিলিত হওয়ার আগেই মারা যায় এবং স্ত্রীর জন্য কোন মোহরানা নির্ধারণ না করে থাকে তবে কি হবে? -এই সম্পর্কে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, সে মহিলা তার স্বগোত্রীয় মহিলাদের অনুরূপ মোহর পাবে। এর চেয়ে কমও নয়, বেশীও নয়। তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে এবং সে মীরাছও পাবে। তখন মা’কিল ইবনে আশজাঈ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমাদের গোত্রের এক মহিলা বিরওয়া বিনতে ওয়াশিকের ক্ষেত্রে নবী (ﷺ) আপনার মত ফয়সালা দিয়েছিলেন। এই কথা শুনে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) অত্যন্ত আনন্দিত হন। - ইবনে মাজাহ

এই বিষয়ে জাররাহ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাসান ইবনে আলী-খাললাল (রাহঃ) মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। কোন কোন সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এতদানুসারে আমল রয়েছে। এ হলো ইমাম ছাওরী, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। আলী ইবনে আবী তালিব, যায়দ ইবনে ছাবিত ও ইবনে উমর (রাযিঃ) সহ কতক সাহাবীর অভিমত হলো, কোন ব্যক্তি যদি কোন মহিলাকে বিবাহ করে এবং মোহর নির্ধারণ না করেই মারা যায় তবে সে মীরাস পাবে কিন্তু মোহর পাবে না। আর তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে। এ হলো ইমাম শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত। তিনি বলেন, বিরওয়া বিনতে ওয়াশিকের হাদীসটি যদি প্রমাণিত হয় তবে তো নবী থেকে যা বর্ণিত তাই হো হবে দলীল হিসাবে অধিকতর গ্রহণীয়। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি মিসরে গমনের পর তার পূর্ব অভিমত প্রত্যাহার করেন; বিরওয়া বিনতে ওয়াশিক (রাযিঃ) এর হাদীস অনুসারে অভিমত গ্রহণ করেন।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ فَيَمُوتُ عَنْهَا قَبْلَ أَنْ يَفْرِضَ لَهَا
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ، تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا صَدَاقًا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ . فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ لَهَا مِثْلُ صَدَاقِ نِسَائِهَا لاَ وَكْسَ وَلاَ شَطَطَ وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ وَلَهَا الْمِيرَاثُ . فَقَامَ مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الأَشْجَعِيُّ فَقَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بِرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ امْرَأَةٍ مِنَّا مِثْلَ الَّذِي قَضَيْتَ . فَفَرِحَ بِهَا ابْنُ مَسْعُودٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْجَرَّاحِ .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ، مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَبِهِ يَقُولُ الثَّوْرِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ عُمَرَ إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا صَدَاقًا حَتَّى مَاتَ قَالُوا لَهَا الْمِيرَاثُ وَلاَ صَدَاقَ لَهَا وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ قَالَ لَوْ ثَبَتَ حَدِيثُ بِرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ لَكَانَتِ الْحُجَّةُ فِيمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ رَجَعَ بِمِصْرَ بَعْدُ عَنْ هَذَا الْقَوْلِ وَقَالَ بِحَدِيثِ بِرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ .