আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৩৪
কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দিবে না।
১১৩৫. আহমদ ইবনে মানী’ ও কুতায়বা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, কুতায়বা বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হাদীসটি নবী (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন, আবু আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কেউ তার মুসলিম ভ্রাতার বিক্রির উপর বিক্রির প্রস্তাব দিবে না এবং কেউ তার ভ্রাতার বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দিবে না। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
এই বিষয়ে সামুরা ও ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেন, কারো প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া নিষিদ্ধ হওয়ার অর্থ হলো, কোন মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পর সে যদি রাযী হয় তবে এই প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দিবে না, আমাদের কাছে এই হাদীসটির মর্ম হলো কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর সে যদি তাতে রাযী হয়ে যায় এবং উক্ত প্রস্তাবের প্রতি সে ঝুকে পড়ে এমতাস্থায় কারো জন্য জায়েয নেই এই প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া। কিন্তু প্রথম প্রস্তাবের প্রতি ঐ মহিলার অনুরক্তি বা সম্মতি জানার পূর্বে তাকে প্রস্তাব দেওয়াতে দোষ নেই।
ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) -এর ঘটনাটি এর প্রমাণ। তিনি নবী (ﷺ)-এর কাছে্ এসে বলেছিলেন, আবু জাহম ইবনে হুযাইফা ও মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান উভয়েই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আবু জাহম তো হলো এমন ব্যক্তি যে মহিলাদের থেকে তার লাঠি সরায়না। আর মুআবিয়া তো দরিদ্র। তার তো ধন-সম্পদ নেই। বরঞ্চ তুমি উসামাকে বিয়ে কর। আমাদের মতে এই হাদীসটির অর্থ এই দাড়ায় যে, ফাতিমা (রাযিঃ) এতদুভয়ের একজনের ক্ষেত্রেও সে সম্মত বলে তাঁকে জানায়নি। যদি তা তাঁকে জ্ঞাপন করত তবে এই মহিলা যার প্রতি সম্মতির কথা উল্লেখ করতেন তাকে ছেড়ে অন্য জনকে বিয়ে করার পরামর্শ নবী (ﷺ) দিতেন না।
এই বিষয়ে সামুরা ও ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেন, কারো প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া নিষিদ্ধ হওয়ার অর্থ হলো, কোন মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পর সে যদি রাযী হয় তবে এই প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দিবে না, আমাদের কাছে এই হাদীসটির মর্ম হলো কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর সে যদি তাতে রাযী হয়ে যায় এবং উক্ত প্রস্তাবের প্রতি সে ঝুকে পড়ে এমতাস্থায় কারো জন্য জায়েয নেই এই প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া। কিন্তু প্রথম প্রস্তাবের প্রতি ঐ মহিলার অনুরক্তি বা সম্মতি জানার পূর্বে তাকে প্রস্তাব দেওয়াতে দোষ নেই।
ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) -এর ঘটনাটি এর প্রমাণ। তিনি নবী (ﷺ)-এর কাছে্ এসে বলেছিলেন, আবু জাহম ইবনে হুযাইফা ও মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান উভয়েই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আবু জাহম তো হলো এমন ব্যক্তি যে মহিলাদের থেকে তার লাঠি সরায়না। আর মুআবিয়া তো দরিদ্র। তার তো ধন-সম্পদ নেই। বরঞ্চ তুমি উসামাকে বিয়ে কর। আমাদের মতে এই হাদীসটির অর্থ এই দাড়ায় যে, ফাতিমা (রাযিঃ) এতদুভয়ের একজনের ক্ষেত্রেও সে সম্মত বলে তাঁকে জানায়নি। যদি তা তাঁকে জ্ঞাপন করত তবে এই মহিলা যার প্রতি সম্মতির কথা উল্লেখ করতেন তাকে ছেড়ে অন্য জনকে বিয়ে করার পরামর্শ নবী (ﷺ) দিতেন না।
باب مَا جَاءَ أَنْ لاَ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قُتَيْبَةُ يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ أَحْمَدُ - قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبِيعُ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلاَ يَخْطُبُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَمُرَةَ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ إِنَّمَا مَعْنَى كَرَاهِيَةِ أَنْ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِذَا خَطَبَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ فَرَضِيَتْ بِهِ فَلَيْسَ لأَحَدٍ أَنْ يَخْطُبَ عَلَى خِطْبَتِهِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ " لاَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ " . هَذَا عِنْدَنَا إِذَا خَطَبَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ فَرَضِيَتْ بِهِ وَرَكَنَتْ إِلَيْهِ فَلَيْسَ لأَحَدٍ أَنْ يَخْطُبَ عَلَى خِطْبَتِهِ فَأَمَّا قَبْلَ أَنْ يَعْلَمَ رِضَاهَا أَوْ رُكُونَهَا إِلَيْهِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَخْطُبَهَا وَالْحُجَّةُ فِي ذَلِكَ حَدِيثُ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ حَيْثُ جَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ لَهُ أَنَّ أَبَا جَهْمِ بْنَ حُذَيْفَةَ وَمُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ خَطَبَاهَا فَقَالَ " أَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَرَجُلٌ لاَ يَرْفَعُ عَصَاهُ عَنِ النِّسَاءِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ وَلَكِنِ انْكِحِي أُسَامَةَ " . فَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَنَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّ فَاطِمَةَ لَمْ تُخْبِرْهُ بِرِضَاهَا بِوَاحِدٍ مِنْهُمَا وَلَوْ أَخْبَرَتْهُ لَمْ يُشِرْ عَلَيْهَا بِغَيْرِ الَّذِي ذَكَرَتْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৩৫
কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দিবে না।
১১৩৬. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) .... আবু বকর ইবনে আবু জাহম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান একদিন ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) এর কাছে এলাম। তিনি বর্ণনা করেন যে, তার স্বামী তাকে তিন তালাক দিয়েছিলেন। তার জন্য কোন বাসস্থান বা খোরপোষ নির্ধারণ করেনি। তিনি বলেন, অবশ্য আমার জন্য তার চাচাত ভাইয়ের কাছে দশ কাফীয (ঝুড়ি) রেখে দেন। এতে যব ছিল পাঁচ কাফীয আর গম ছিল পাঁচ কাফীয। তখন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এলাম এবং বিষয়টি তাঁর কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, সে (তার স্বামী) ঠিকই করেছে। অতঃপর তিনি আমাকে উম্মে শরীফের ঘরে ইদ্দত পালন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে আবার বললেন, উম্মে শরীফের ঘরটি তো এমন যেখানে মুহাজিরীনরা খুবই আসা যাওয়া করেন। বরঞ্চ তুমি ইবনে উম্মে মাকতুমের ঘরে ইদ্দত পালন কর। তোমার কাপড় খুলতে গেলে সে তোমাকে দেখতে পাবে না। (যেহেতু সে অন্ধ)। তোমার ইদ্দত যখন শেষ হবে তখন কেউ যদি তোমার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তবে তুমি আমার কাছে আসবে। পরে আমার ইদ্দত শেষ হলে আমার কাছে আবু জাহম ও মুআবিয়া বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি তখন বললেন, মুআবিয়া তো এমন ব্যক্তি যে, তার কোন ধন-সম্পদ নেই। আর আবু জাহম তো স্ত্রীদের উপর খুবই কঠোর। ফাতিমা (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমার কাছে উসামা বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। আল্লাহ্ তাআলা উসামাকে আমার জন্য বরকতময় করে দিলেন। - আবু দাউদ, মুসলিম
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এটিকে আবু বকর ইবনে আবু জাহম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে আরো অতিরিক্ত আছে যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তুমি উসামাকে বিয়ে করে নাও। মাহমুদ ইবনে গায়লান- ওয়াকী- সুফিয়ান-আবু বকর ইবনে জাহম (রাহঃ) সূত্রে এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এটিকে আবু বকর ইবনে আবু জাহম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে আরো অতিরিক্ত আছে যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তুমি উসামাকে বিয়ে করে নাও। মাহমুদ ইবনে গায়লান- ওয়াকী- সুফিয়ান-আবু বকর ইবনে জাহম (রাহঃ) সূত্রে এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ أَنْ لاَ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الْجَهْمِ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فَحَدَّثَتْنَا أَنَّ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةً . قَالَتْ وَوَضَعَ لِي عَشَرَةَ أَقْفِزَةٍ عِنْدَ ابْنِ عَمٍّ لَهُ خَمْسَةً شَعِيرًا وَخَمْسَةً بُرًّا . قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ . قَالَتْ فَقَالَ " صَدَقَ " . قَالَتْ فَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بَيْتَ أُمِّ شَرِيكٍ بَيْتٌ يَغْشَاهُ الْمُهَاجِرُونَ وَلَكِنِ اعْتَدِّي فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَعَسَى أَنْ تُلْقِي ثِيَابَكِ فَلاَ يَرَاكِ فَإِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُكِ فَجَاءَ أَحَدٌ يَخْطُبُكِ فَآذِنِينِي " . فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتِي خَطَبَنِي أَبُو جَهْمٍ وَمُعَاوِيَةُ . قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لاَ مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَرَجُلٌ شَدِيدٌ عَلَى النِّسَاءِ " . قَالَتْ فَخَطَبَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَتَزَوَّجَنِي فَبَارَكَ اللَّهُ لِي فِي أُسَامَةَ . هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَزَادَ فِيهِ فَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " انْكِحِي أُسَامَةَ " .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ بِهَذَا .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ بِهَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: