আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৯
হিলা কারী এবং যার জন্য হিলা করা হয়।
১১২০. আবু সাঈদ আশজ (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ ও আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (হিলার উদ্দেশ্যে) যে ব্যক্তি ‘হিলা’ (বিয়ে) করে আর যার জন্য ‘হিলা’ করা হয় উভয়ের উপরই লানত করেছে। - ইবনে মাজাহ
এই বিষয়ে ইবনে মাসউদ, আবু হুরায়রা, উকবা ইবনে আমির ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আলী ও জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি মা’লুল বা ক্রটিপূর্ণ। আশআছ ইবনে আব্দুর রহমান-মুজালিদ-আমির-হারিস-আলী (রাযিঃ) সূত্রে, এবং আমির-জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীসটির সনদ প্রতিষ্ঠিত নয়। করাণ আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) সহ কোন আলিম মুজালিদ ইবনে সাঈদ-কে যঈফ বলেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইরও এই হাদীসটিকে মুজালিদ-আমির-জারিব ইবনে আব্দুল্লাহ-আলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে ইবনে নুমাইরের বিভ্রান্তি ঘটেছে। প্রথম সূত্রটি অধিক সহীহ। মুগীরা ইবনে আবী খালিদ প্রমূখ এটিকে শা’বী- হারিছ- আলী (রাযিঃ) সনদে বর্ণনা করেছেন।
* স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদানের পর পুনরায় ঐ স্ত্রীকে তার জন্য হালাল করার উদ্দেশ্যে হিলা করতে যেয়ে যে ব্যক্তি বিবাহ করে তাকে বলা হয় محل বা হালালকারী। আর তিন তালাকদাতা যে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তা করা হয় তাকে বলে محل له
এই বিষয়ে ইবনে মাসউদ, আবু হুরায়রা, উকবা ইবনে আমির ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আলী ও জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি মা’লুল বা ক্রটিপূর্ণ। আশআছ ইবনে আব্দুর রহমান-মুজালিদ-আমির-হারিস-আলী (রাযিঃ) সূত্রে, এবং আমির-জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীসটির সনদ প্রতিষ্ঠিত নয়। করাণ আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) সহ কোন আলিম মুজালিদ ইবনে সাঈদ-কে যঈফ বলেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইরও এই হাদীসটিকে মুজালিদ-আমির-জারিব ইবনে আব্দুল্লাহ-আলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে ইবনে নুমাইরের বিভ্রান্তি ঘটেছে। প্রথম সূত্রটি অধিক সহীহ। মুগীরা ইবনে আবী খালিদ প্রমূখ এটিকে শা’বী- হারিছ- আলী (রাযিঃ) সনদে বর্ণনা করেছেন।
* স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদানের পর পুনরায় ঐ স্ত্রীকে তার জন্য হালাল করার উদ্দেশ্যে হিলা করতে যেয়ে যে ব্যক্তি বিবাহ করে তাকে বলা হয় محل বা হালালকারী। আর তিন তালাকদাতা যে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তা করা হয় তাকে বলে محل له
باب مَا جَاءَ فِي الْمُحِلِّ وَالْمُحَلَّلِ لَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زُبَيْدٍ الأَيَامِيُّ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَنَ الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابِنْ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ وَجَابِرٍ حَدِيثٌ مَعْلُولٌ . هَكَذَا رَوَى أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ هُوَ الشَّعْبِيُّ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَامِرٌ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَهَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَائِمِ لأَنَّ مُجَالِدَ بْنَ سَعِيدٍ قَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ . وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَلِيٍّ . وَهَذَا قَدْ وَهِمَ فِيهِ ابْنُ نُمَيْرٍ وَالْحَدِيثُ الأَوَّلُ أَصَحُّ . وَقَدْ رَوَاهُ مُغِيرَةُ وَابْنُ أَبِي خَالِدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১২০
আন্তর্জাতিক নং: ১১২০
হিলা কারী এবং যার জন্য হিলা করা হয়।
১১২১. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হীলা কারীকে এবং যার জন্য হীলা করা হয় তাকে লা’নত করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ রাবী আবু কায়স আওদীর পূর্ণ নাম হলো আব্দুর রহমান ইবনে ছারওয়ান। নবী (ﷺ) থেকে একাধিক সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে। উমর ইবনুল খাত্তাব, উছমান ইবনে আফফান, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) প্রমূখ সাহাবী ও অপারাপর উলামাদের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাবিঈ ফকীহগণের বক্তব্যও এ-ই। এ হলো সুফিয়ান ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। জারুদ, ওয়াকী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ মত, পোষণ করেন। তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে কিয়াসকারীদের মতামত ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিৎ। ওয়াকী আরো বলেন, সুফিয়ান বলেছেন, কেউ যদি অন্যের জন্য হীলার উদ্দেশ্যে কোন স্ত্রী-লোককে বিবাহ করে এবং পরে যদি নিজেই তাকে রেখে দিতে চায় তবে নতুনভাবে বিবাহ করা ছাড়া তার জন্য তাকে রেখে দেওয়া হালাল হবে না।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ রাবী আবু কায়স আওদীর পূর্ণ নাম হলো আব্দুর রহমান ইবনে ছারওয়ান। নবী (ﷺ) থেকে একাধিক সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে। উমর ইবনুল খাত্তাব, উছমান ইবনে আফফান, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) প্রমূখ সাহাবী ও অপারাপর উলামাদের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাবিঈ ফকীহগণের বক্তব্যও এ-ই। এ হলো সুফিয়ান ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। জারুদ, ওয়াকী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ মত, পোষণ করেন। তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে কিয়াসকারীদের মতামত ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিৎ। ওয়াকী আরো বলেন, সুফিয়ান বলেছেন, কেউ যদি অন্যের জন্য হীলার উদ্দেশ্যে কোন স্ত্রী-লোককে বিবাহ করে এবং পরে যদি নিজেই তাকে রেখে দিতে চায় তবে নতুনভাবে বিবাহ করা ছাড়া তার জন্য তাকে রেখে দেওয়া হালাল হবে না।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُحِلِّ وَالْمُحَلَّلِ لَهُ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ هُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو قَيْسٍ الأَوْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَرْوَانَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُمْ وَهُوَ قَوْلُ الْفُقَهَاءِ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ بْنَ مُعَاذٍ يَذْكُرُ عَنْ وَكِيعٍ أَنَّهُ قَالَ بِهَذَا وَقَالَ يَنْبَغِي أَنْ يُرْمَى بِهَذَا الْبَابِ مِنْ قَوْلِ أَصْحَابِ الرَّأْىِ . قَالَ جَارُودٌ قَالَ وَكِيعٌ وَقَالَ سُفْيَانُ إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ لِيُحَلِّلَهَا ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يُمْسِكَهَا فَلاَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُمْسِكَهَا حَتَّى يَتَزَوَّجَهَا بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান