আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১০. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬১
যে তার সন্তানকে অগ্রে পাঠিয়ে দেয় তার সাওয়াব।
১০৬১. নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কেউ যদি তিনটি না বালেগ সন্তান অগ্রে পাঠায় তবে তারা তার জন্য সুরক্ষিত দুর্গ হবে। আবু যরর (রাযিঃ) বললেন, আমার দুটো সন্তানকে অগ্রে পাঠিয়েছি। তিনি বললেন, দুটো পাঠালেও। সায়্যিদুল কুররা (ক্বারীগণের সর্দার) উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) বললেন, আমি তো একটি অগ্রে পাঠিয়েছি? তিনি বললেন, একটিকে পাঠালেও। তবে তা হবে, সন্তান-বিয়োগ ব্যথায় ধৈর্য ধারণ করলে। - ইবনে মাজাহ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। রাবী আবু উবাইদা (রাহঃ) তাঁর পিতা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে হাদীস শোনেন নি।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ مَنْ قَدَّمَ وَلَدًا
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَدَّمَ ثَلاَثَةً لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ كَانُوا لَهُ حِصْنًا حَصِينًا مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو ذَرٍّ قَدَّمْتُ اثْنَيْنِ . قَالَ " وَاثْنَيْنِ " . فَقَالَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ سَيِّدُ الْقُرَّاءِ قَدَّمْتُ وَاحِدًا قَالَ " وَوَاحِدًا وَلَكِنْ إِنَّمَا ذَاكَ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأُولَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو عُبَيْدَةَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ .
হাদীস নং:১০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬২
যে তার সন্তানকে অগ্রে পাঠিয়ে দেয় তার সাওয়াব।
১০৬২. নসর ইবনে আলী জাহযামী ও আবুল খাত্তাব যিয়াদ ইবনে ইয়াহয়া বসরী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে যার দু’জন অগ্রগামী (সন্তান) থাকবে এদের ওসীলায় আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে দাখিল করাবেন। তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার উম্মতের যদি কারো একজন অগ্রগামী থাকবে তার জন্যও। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, তবে আপনার উম্মতের মধ্যে যার কোন অগ্রগামী নেই? তিনি বললেন, আমি নিজেই আমার উম্মতের জন্য অগ্রগামী। আমার বিয়োগ ব্যথার মত তাদের জন্য কোন ব্যথা নেই।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। শুধু আব্দে রাব্বিহী ইবনে বারিক (রাহঃ) এর সূত্রেই এ হাদীস আমরা জানতে পেরেছি এবং তাঁর থেকে একাধিক মুহাদ্দিছ এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। আহমদ ইবনে সাঈদ মুরাবিতী- হাববান ইবনে হিলাল (রাহঃ)-আব্দে রাব্বিহী ইবনে রারিক (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী সিমাক ইবনে ওয়ালীদ হানাফী (রাহঃ) হলেন আবু যুমায়ল হানাফী।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ مَنْ قَدَّمَ وَلَدًا
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ بَارِقٍ الْحَنَفِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ جَدِّي أَبَا أُمِّي، سِمَاكَ بْنَ الْوَلِيدِ الْحَنَفِيَّ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ كَانَ لَهُ فَرَطَانِ مِنْ أُمَّتِي أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِمَا الْجَنَّةَ " . فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ فَمَنْ كَانَ لَهُ فَرَطٌ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ " وَمَنْ كَانَ لَهُ فَرَطٌ يَا مُوَفَّقَةُ " . قَالَتْ فَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ فَرَطٌ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ " فَأَنَا فَرَطُ أُمَّتِي لَنْ يُصَابُوا بِمِثْلِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ بَارِقٍ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْمُرَابِطِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ بَارِقٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ . وَسِمَاكُ بْنُ الْوَلِيدِ هُوَ أَبُو زُمَيْلٍ الْحَنَفِيُّ .