আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১০. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৯৯০
মুর্দাকে গোসল করান।
৯৯০. আহমাদ ইবনে মানী (রাহঃ) ..... উম্মু আতিয়্যা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর জনৈকা কন্যার ইন্তিকাল হয়। তখন তিনি বললেন, তোমরা তাকে বেজোড়ভাবে গোসল দাও- তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে ততোধিকবারও দিতে পার। বরই পাতা ও পানি দিয়ে গোসল দিবে। আর শেষে কিছু কর্পূর এতে দিও। গোসল শেষ হওয়ার পর আমাকে জানিও। অনন্তর আমরা তাকে গোসল করিয়ে যখন শেষ করলাম তখন তাঁকে তার অবহিত করলাম। তিনি আমাদের দিকে একটা ইযার ছুড়ে দিলেন এবং বললেন, এটি তার গায়ে লেপটে দাও। হুশায়ম বলেন, এদের (খালিদ, মনসুর) ছাড়া অন্যদের হয়ত হিশামও তাদের অন্যতম রিওয়ায়াতে আছে যে, উম্মু আতিয়্যা বলেন, তার (নবীজীর মৃত কন্যার) চুলগুলোকে আমরা তিন ভাগে বিন্যস্ত করে দিয়েছিলাম। হুশায়ম বলেন, আমার ধারণায় তিনি এ- ও বলেছেন যে, এগুলো পিঠের পিছন দিকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। হুশায়ম বলেন, এদের মধ্যে খালিদ (রাহঃ) আমাকে হাফসা ও মুহাম্মাদ উম্মু অতিয়্যা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মু আতিয়া বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, মৃতের ডান পাশ দিয়ে তার উযুর স্থানসমূহ থেকে গোসল শুরু করবে। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
এই বিষয়ে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, উম্মু আতিয়্যা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন। ইবরাহীম আন-নাখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মুর্দাকে গোসল প্রদান জানাবতের গোসলের মত। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেন, মায়্যিতের গোসলের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কোন নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতি নেই। বরং মূল কথা হলো তাকে পাক করা। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ)-এর বক্তব্যটি সুস্পষ্ট নয়। মুর্দাকে গোসল করান হবে এবং তাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। নিরেট পানি বা অন্য কোন পানি দ্বারা যদি তাকে পরিস্কার করা হয় তবে গোসলের বিষয়টি যথেষ্ট হয়ে যাবে। তবে আমার নিকট প্রিয় হলো তিন বা ততোধিকবার বেজোড় সংখ্যায় গোসল করান। কিন্তু তিন থেকে যেন কম না হয়। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার গোসল করাও। তিনবারের কমেও যদি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায় তবে তা যথেষ্ট হবে। নবী (ﷺ) এর এই বক্তব্যের আসল মর্ম হলো পাক-সাফ করা। তিন বারেই হোক বা পাঁচ বারেই হোক। তিনি এই বিষয়ে নিদির্ষ্ট কোন পরিমাণ করে দেননি। ফকীহগণও এরূপ কথা বলেছেন, আর তাঁরাই হাদীসের মর্ম সম্পর্কে অধিক অবহিত হয়ে থাকেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) বলেন, পানি ও বরই পাতা সহযোগে গোসল দিতে হবে এবং শেষ করে এতে কিছু কর্পূর মিশ্রিত করে দিতে হবে।
এই বিষয়ে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, উম্মু আতিয়্যা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন। ইবরাহীম আন-নাখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মুর্দাকে গোসল প্রদান জানাবতের গোসলের মত। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেন, মায়্যিতের গোসলের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কোন নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতি নেই। বরং মূল কথা হলো তাকে পাক করা। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ)-এর বক্তব্যটি সুস্পষ্ট নয়। মুর্দাকে গোসল করান হবে এবং তাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। নিরেট পানি বা অন্য কোন পানি দ্বারা যদি তাকে পরিস্কার করা হয় তবে গোসলের বিষয়টি যথেষ্ট হয়ে যাবে। তবে আমার নিকট প্রিয় হলো তিন বা ততোধিকবার বেজোড় সংখ্যায় গোসল করান। কিন্তু তিন থেকে যেন কম না হয়। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার গোসল করাও। তিনবারের কমেও যদি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায় তবে তা যথেষ্ট হবে। নবী (ﷺ) এর এই বক্তব্যের আসল মর্ম হলো পাক-সাফ করা। তিন বারেই হোক বা পাঁচ বারেই হোক। তিনি এই বিষয়ে নিদির্ষ্ট কোন পরিমাণ করে দেননি। ফকীহগণও এরূপ কথা বলেছেন, আর তাঁরাই হাদীসের মর্ম সম্পর্কে অধিক অবহিত হয়ে থাকেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) বলেন, পানি ও বরই পাতা সহযোগে গোসল দিতে হবে এবং শেষ করে এতে কিছু কর্পূর মিশ্রিত করে দিতে হবে।
باب مَا جَاءَ فِي غُسْلِ الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، وَمَنْصُورٌ، وَهِشَامٌ، فَأَمَّا خَالِدٌ وَهِشَامٌ فَقَالاَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَحَفْصَةَ وَقَالَ مَنْصُورٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ تُوُفِّيَتْ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " اغْسِلْنَهَا وِتْرًا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّ وَاغْسِلْنَهَا بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي " . فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَقَالَ " أَشْعِرْنَهَا بِهِ " . قَالَ هُشَيْمٌ وَفِي حَدِيثِ غَيْرِ هَؤُلاَءِ وَلاَ أَدْرِي وَلَعَلَّ هِشَامًا مِنْهُمْ قَالَتْ وَضَفَّرْنَا شَعْرَهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ . قَالَ هُشَيْمٌ أَظُنُّهُ قَالَ فَأَلْقَيْنَاهُ خَلْفَهَا . قَالَ هُشَيْمٌ فَحَدَّثَنَا خَالِدٌ مِنْ بَيْنِ الْقَوْمِ عَنْ حَفْصَةَ وَمُحَمَّدٍ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ وَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ عَطِيَّةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ أَنَّهُ قَالَ غُسْلُ الْمَيِّتِ كَالْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ . وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لَيْسَ لِغُسْلِ الْمَيِّتِ عِنْدَنَا حَدٌّ مُؤَقَّتٌ وَلَيْسَ لِذَلِكَ صِفَةٌ مَعْلُومَةٌ وَلَكِنْ يُطَهَّرُ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا قَالَ مَالِكٌ قَوْلاً مُجْمَلاً يُغَسَّلُ وَيُنْقَى وَإِذَا أُنْقِيَ الْمَيِّتُ بِمَاءٍ قَرَاحٍ أَوْ مَاءٍ غَيْرِهِ أَجْزَأَ ذَلِكَ مِنْ غُسْلِهِ وَلَكِنْ أَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يُغْسَلَ ثَلاَثًا فَصَاعِدًا لاَ يُنْقَصُ عَنْ ثَلاَثٍ لِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا " . وَإِنْ أَنْقَوْا فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثِ مَرَّاتٍ أَجْزَأَ وَلاَ يَرَى أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا هُوَ عَلَى مَعْنَى الإِنْقَاءِ ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا وَلَمْ يُؤَقِّتْ . وَكَذَلِكَ قَالَ الْفُقَهَاءُ وَهُمْ أَعْلَمُ بِمَعَانِي الْحَدِيثِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ وَتَكُونُ الْغَسَلاَتُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَيَكُونُ فِي الآخِرَةِ شَيْءٌ مِنْ كَافُورٍ .