আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৮
অতি বৃদ্ধ ও মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ করা।
৯৩০. আহমদ ইবনে মানী‘ (রাহঃ) ...... ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, খাছআম গোত্রের জনৈকা মহিলা এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতার উপর হজ্জ ফরয কিন্তু তিনি তো অতিশয় বৃদ্ধ। উটের পিঠে বসার মত সামর্থও তার নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তার পক্ষ থেকে তুমি হজ্জ করে নাও। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
এই বিষয়ে আলী, বুরায়দা, হুসাইন ইবনে আওফ, আবু রাযীন আল-উকায়লী, সাওদা বিনতে যামআ ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ্। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে হুসাইন ইবনে আউফ, অল মুযানী (রাহঃ) নবী (ﷺ) থেকে এই বিষয়ে হাদীসটি বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে সিনান ইবনে আব্দিল্লাহ্ আল- জুহানী তাঁর ফুফু সূত্রেও নবী (ﷺ) থেকে এই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বরাতে নবী (ﷺ) থেকেও একটি হাদীস বর্ণিত আছে।
আমি মুহাম্মাদ আল -বুখারী (রাহঃ)- কে এই রিওয়ায়াতগুলি সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, এই বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ্ হলো ইবনে আব্বাস কর্তৃক ফযল ইবনে আব্বাস সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি। মুহাম্মাদ আল- বুখারী আরো বলেন, এ-ও সম্ভব যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হাদীসটি ফযল ইবনে আব্বাস এবং অন্যদের সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে শুনেছেন। পরে মুরসালরূপে এটিকে বর্ণনা করেছেন। যাঁর থেকে শুনেছিলেন (কোন কোন ক্ষেত্রে) তাঁর নাম উল্লেখ করেন নি। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই বিষয়ে নবী (ﷺ) থেকে একাধিক সহীহ্ হাদীস বর্ণিত আছে সাহাবায়ে কিরাম ও অপরাপর আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল করেছেন।
ইমাম ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এই মত পোষণ করেন। তাঁরা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ করা যাবে বলে মনে করেন। ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়্যত করে যায় তবে তার পক্ষ থেকে করা যাবে। কেউ কেউ বলেন, জীবিত ব্যক্তি যদি বৃদ্ধ হয় এবং এমন অবস্থায় উপনীত হয় যে, হজ্জ করার সমর্থ রাখেনা। তবে তার পক্ষ থেকে হজ্জ করা যাবে। এ হলো ইমাম ইবনে মুবারক ও শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত।
এই বিষয়ে আলী, বুরায়দা, হুসাইন ইবনে আওফ, আবু রাযীন আল-উকায়লী, সাওদা বিনতে যামআ ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ্। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে হুসাইন ইবনে আউফ, অল মুযানী (রাহঃ) নবী (ﷺ) থেকে এই বিষয়ে হাদীসটি বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে সিনান ইবনে আব্দিল্লাহ্ আল- জুহানী তাঁর ফুফু সূত্রেও নবী (ﷺ) থেকে এই বিষয়ে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বরাতে নবী (ﷺ) থেকেও একটি হাদীস বর্ণিত আছে।
আমি মুহাম্মাদ আল -বুখারী (রাহঃ)- কে এই রিওয়ায়াতগুলি সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, এই বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ্ হলো ইবনে আব্বাস কর্তৃক ফযল ইবনে আব্বাস সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি। মুহাম্মাদ আল- বুখারী আরো বলেন, এ-ও সম্ভব যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হাদীসটি ফযল ইবনে আব্বাস এবং অন্যদের সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে শুনেছেন। পরে মুরসালরূপে এটিকে বর্ণনা করেছেন। যাঁর থেকে শুনেছিলেন (কোন কোন ক্ষেত্রে) তাঁর নাম উল্লেখ করেন নি। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই বিষয়ে নবী (ﷺ) থেকে একাধিক সহীহ্ হাদীস বর্ণিত আছে সাহাবায়ে কিরাম ও অপরাপর আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল করেছেন।
ইমাম ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এই মত পোষণ করেন। তাঁরা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ্জ করা যাবে বলে মনে করেন। ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়্যত করে যায় তবে তার পক্ষ থেকে করা যাবে। কেউ কেউ বলেন, জীবিত ব্যক্তি যদি বৃদ্ধ হয় এবং এমন অবস্থায় উপনীত হয় যে, হজ্জ করার সমর্থ রাখেনা। তবে তার পক্ষ থেকে হজ্জ করা যাবে। এ হলো ইমাম ইবনে মুবারক ও শাফিঈ (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي الْحَجِّ عَنِ الشَّيْخِ الْكَبِيرِ، وَالْمَيِّتِ،
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ خَثْعَمٍ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي أَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللَّهِ فِي الْحَجِّ وَهُوَ شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى ظَهْرِ الْبَعِيرِ . قَالَ " حُجِّي عَنْهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَبُرَيْدَةَ وَحُصَيْنِ بْنِ عَوْفٍ وَأَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ وَسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا عَنْ سِنَانِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ عَنْ عَمَّتِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ فَقَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ مَا رَوَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ مُحَمَّدٌ وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَمِعَهُ مِنَ الْفَضْلِ وَغَيْرِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَوَى هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَرْسَلَهُ وَلَمْ يَذْكُرِ الَّذِي سَمِعَهُ مِنْهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَابِ غَيْرُ حَدِيثٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَبِهِ يَقُولُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ أَنْ يُحَجَّ عَنِ الْمَيِّتِ . وَقَالَ مَالِكٌ إِذَا أَوْصَى أَنْ يُحَجَّ عَنْهُ حُجَّ عَنْهُ . وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُهُمْ أَنْ يُحَجَّ عَنِ الْحَىِّ إِذَا كَانَ كَبِيرًا أَوْ بِحَالٍ لاَ يَقْدِرُ أَنْ يَحُجَّ . وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: