আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৬
হাদী হিসাবে প্রেরিত উটকে ইশআর করা।
৯০৮. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) যুল হুযাইফা নামক স্থানে হাদীর গলায় পাদুকা ঝুলিয়ে দিলেন এবং এর ডানপার্শ্বে ইশআর* করলেন ও রক্ত ছড়িয়ে দিলেন। - ইবনে মাজাহ, মুসলিম

এই বিষয়ে মিসওয়ার ইবনে মাখারামা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আবু হাসসান আল-আরাজ এর নাম হল মুসলিম। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন এবং তারা ইশআর এর বিধান দিয়েছেন। এ হলো ছাওরী, শাফেঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। ইউসুফ ইবনে ঈসা বলেন, ওয়াকী যখন এই হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তখন তাকে আমি বলতে শুনেছি যে, এই বিষয়ে রায় ও কিয়াস পন্থিদের কথার দিকে লক্ষ্য করবে না। কারণ ইশআর হলো সুন্নত। তাদের মতামত হলো বিদআত।

আবু সাইবকে বলতে শুনেছি, আমি ওয়াকী (রাহঃ) এর কাছে বসা ছিলাম। একজন রায়পন্থি লোককে লক্ষ্য করে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশআর করেছেন আর আবু হানীফা বলেন যে তা হলো মুছলা বা অঙ্গ বিকৃতকরণ। ঐ ব্যক্তি বলল, ইবরাহীম নাখঈ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, ইশআর হলো মুছলা। আবুস সাইব বলেন, আমি দেখলাম ওয়াকী (রাহঃ) মারাত্মক ভাবে রাগান্বিত হয়ে উঠলেন এবং বললেন, আমি বলছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন আর তুমি বলছো ইবরাহীম বলেছেন! তোমাকে কারারুদ্ধ করে রাখা কর্তব্য। যতক্ষণ না এই বক্তব্য প্রত্যাহার করছ ততক্ষণ যেন তোমাকে সেখান থেকে বের না করা হয়।**

* কুরবানীর উটের কুজের একপাশে জখম করে রক্ত প্রবাহিত করা, যেন সকলেই বুঝতে পারে যে, এটি হজ্জের হাদী ও কুরবানীর উট।
** ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) মূলতঃ ইশআর বিদআত মনে করতেন না। রাসূল (ﷺ)-এর জামানায় যে পদ্ধতিতে যে সামান্য আঘাতের দ্বারা ইশআর করা হত তা ছিল সুন্নত। কিন্তু পরবর্তীকালে ইশআর করতে গিয়ে যেভাবে মারাত্মক জখম করা হয় তাকে তিনি বিদআত মনে করতেন। ইমাম সাহেবের মতামতের সঠিক তাৎপর্য অনুধাবনের ব্যর্থতার দরুণই অন্যেরা তাঁর সম্পর্কে এরূপ মন্তব্য করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي إِشْعَارِ الْبُدْنِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ الأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَلَّدَ نَعْلَيْنِ وَأَشْعَرَ الْهَدْىَ فِي الشِّقِّ الأَيْمَنِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَأَمَاطَ عَنْهُ الدَّمَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو حَسَّانَ الأَعْرَجُ اسْمُهُ مُسْلِمٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يَرَوْنَ الإِشْعَارَ . وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ يُوسُفَ بْنَ عِيسَى يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ حِينَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ لاَ تَنْظُرُوا إِلَى قَوْلِ أَهْلِ الرَّأْىِ فِي هَذَا فَإِنَّ الإِشْعَارَ سُنَّةٌ وَقَوْلَهُمْ بِدْعَةٌ . قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا السَّائِبِ يَقُولُ كُنَّا عِنْدَ وَكِيعٍ فَقَالَ لِرَجُلٍ عِنْدَهُ مِمَّنْ يَنْظُرُ فِي الرَّأْىِ أَشْعَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَقُولُ أَبُو حَنِيفَةَ هُوَ مُثْلَةٌ . قَالَ الرَّجُلُ فَإِنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ أَنَّهُ قَالَ الإِشْعَارُ مُثْلَةٌ . قَالَ فَرَأَيْتُ وَكِيعًا غَضِبَ غَضَبًا شَدِيدًا وَقَالَ أَقُولُ لَكَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُولُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ مَا أَحَقَّكَ بِأَنْ تُحْبَسَ ثُمَّ لاَ تَخْرُجَ حَتَّى تَنْزِعَ عَنْ قَوْلِكَ هَذَا .