আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯২
দুর্বল লোকদের মুযদালিফা থেকে রাত্রেই যাত্রা ত্বরান্বিত করা ।
৮৯৩. কুতায়বা (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে মাল-সামানবাহী দলের সাথে রাত্রেই মুযদালিফা থেকে পাঠিয়ে দিয়েছিললেন। - ইবনে মাজাহ , নাসাঈ
এই বিষয়ে আয়িশা, উম্মে হাবীবা,আসমা ও ফযল (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।
এই বিষয়ে আয়িশা, উম্মে হাবীবা,আসমা ও ফযল (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي تَقْدِيمِ الضَّعَفَةِ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَقَلٍ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ حَبِيبَةَ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَالْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৩
দুর্বল লোকদের মুযদালিফা থেকে রাত্রেই যাত্রা ত্বরান্বিত করা ।
৮৯৪. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) তাঁর পরিবারের দুর্বলদের আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেনঃ সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত তোমরা রমী (কংকর নিক্ষেপ) করবে না। - ইবনে মাজাহ
ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান- সহীহ। আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণের অভিমত দিয়েছেন। দুর্বলদেরকে আগেই মুযদালিফা থেকে মিনায় রাত্রে রওয়ানা করাতে কোন দোষ আছে বলে তাঁরা মনে করেন না। অধিকাংশ আলিম এই হাদীসটির উপর ভিত্তি করে বলেন, সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত রামী করবে না। তবে কতিপয় আলিম রাত্রেও রামী করার অবকাশ দিয়েছেন। এ হলো ইমাম ছাওরী ও শাফিঈ (রাহঃ)- এর অভিমত।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেছেন, ″রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে রাত্রেই মাল-সামানবাহীদের সাথে মুযদালিফা থেকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন″ মর্মের ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। তাঁর বরাতে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। শুবা (রাহঃ) এই হাদীসটিকে মুশাশ আতা - ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী(ﷺ) তাঁর পরিবারের দুর্বলদেরকে আগেই মুযদালিফা থেকে রাত্রে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এটির সনদ ভুল। এতে রাবী মুশাশ ভূল করেছেন। তিনি সনদে ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নাম অতিরিক্ত করেছেন। ইবনে জুরায়য প্রমুখ এই হাদীসটি কে আতা - ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে তাঁরা ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর উল্লেখ করেন নি।
ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান- সহীহ। আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণের অভিমত দিয়েছেন। দুর্বলদেরকে আগেই মুযদালিফা থেকে মিনায় রাত্রে রওয়ানা করাতে কোন দোষ আছে বলে তাঁরা মনে করেন না। অধিকাংশ আলিম এই হাদীসটির উপর ভিত্তি করে বলেন, সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত রামী করবে না। তবে কতিপয় আলিম রাত্রেও রামী করার অবকাশ দিয়েছেন। এ হলো ইমাম ছাওরী ও শাফিঈ (রাহঃ)- এর অভিমত।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেছেন, ″রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে রাত্রেই মাল-সামানবাহীদের সাথে মুযদালিফা থেকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন″ মর্মের ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। তাঁর বরাতে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। শুবা (রাহঃ) এই হাদীসটিকে মুশাশ আতা - ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী(ﷺ) তাঁর পরিবারের দুর্বলদেরকে আগেই মুযদালিফা থেকে রাত্রে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এটির সনদ ভুল। এতে রাবী মুশাশ ভূল করেছেন। তিনি সনদে ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নাম অতিরিক্ত করেছেন। ইবনে জুরায়য প্রমুখ এই হাদীসটি কে আতা - ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে তাঁরা ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর উল্লেখ করেন নি।
باب مَا جَاءَ فِي تَقْدِيمِ الضَّعَفَةِ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدَّمَ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ وَقَالَ " لاَ تَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لَمْ يَرَوْا بَأْسًا أَنْ يَتَقَدَّمَ الضَّعَفَةُ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ بِلَيْلٍ يَصِيرُونَ إِلَى مِنًى . وَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ لاَ يَرْمُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ . وَرَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي أَنْ يَرْمُوا بِلَيْلٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ لاَ يَرْمُونَ . وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ .
. قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَقَلٍ حَدِيثٌ صَحِيحٌ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُشَاشٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدَّمَ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ مُشَاشٌ وَزَادَ فِيهِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ . وَرَوَى ابْنُ جُرَيْجٍ وَغَيْرُهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ . وَمُشَاشٌ بَصْرِيٌّ رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ .
. قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَقَلٍ حَدِيثٌ صَحِيحٌ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُشَاشٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدَّمَ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ مُشَاشٌ وَزَادَ فِيهِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ . وَرَوَى ابْنُ جُرَيْجٍ وَغَيْرُهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ . وَمُشَاشٌ بَصْرِيٌّ رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান