আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৭
মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করা।
৮৮৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মালিক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) মুযদালিফায় নামায আদায় করলেন। তিনি সেখানে এক ইকামতে দুই নামায (মাগরিব ও এশা) একত্রে আদায় করলেন এবং বললেন, আমি রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) কে এই জায়গায় এই আমল করতে দেখেছি।
باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، صَلَّى بِجَمْعٍ فَجَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِإِقَامَةٍ وَقَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ مِثْلَ هَذَا فِي هَذَا الْمَكَانِ .
হাদীস নং:৮৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৮
মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করা।
৮৮৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত আছে।
মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার বলেন যে, ইয়াহয়া বলেন, সুফিয়ান (রাহঃ)- এর বর্ণনাটি হল সঠিক। এই বিষয়ে আলী, আবু আইয়ুব, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, জাবির ও উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বleন, ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসটি ইসমাঈল ইবনে আবু খালিদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত আপেক্ষা সুফিয়ান (রাহঃ) এর সূত্রে রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ্। সুফিয়ান (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটি হাসান- সহীহ্। ইসরাঈল এই হাদীসটিকে আবু ইসহাক- মালিক পুত্রদ্বয় আব্দুল্লাহ ও খালিদ সূত্রে- ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান- সহীহ্। সালামা ইবনে কুহায়লও এটিকে সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু ইসহাক (রাহঃ) এটিকে মালিক পুত্রদ্বয় আব্দুল্লাহ ও খালিদ উমর (রাযিঃ) সনদে বর্ণনা করেছেন।
এতদনুসারে আলিমগণ আমল করেছেন। তারা বলেন, মুযদালিফা ছাড়া মাগরিবের নামায আদায় করা যাবে না। মুযদালিফায় যখন আসবে তখন এক ইকামতে দুই নামায একত্রে আদায় করবে। এর মাঝে নফল আদায় করবে না। কোন কোন আলিম এই মতটি গ্রহণ করেছেন। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এর অভিমত। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, ইচ্ছা করলে মাগরিব আদায় করে রাতের খাবার খেয়ে, কাপড়- চোপড় ছেড়ে পরে ইকামত দিয়ে ইশার নামায আদায় করবে। আবার কতিপয় আলিমগণ বলেন, মুযদালিফায় এক আযান ও দুই ইকামতে মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করবে। মাগরিবের আযান দিয়ে ইকামত দিবে এবং মাগরিবের নামায আদায় করবে। পরে পুনরায় ইকামত দিবে এবং ইশার নামায আদায় করবে। এ হলো ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত।
মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার বলেন যে, ইয়াহয়া বলেন, সুফিয়ান (রাহঃ)- এর বর্ণনাটি হল সঠিক। এই বিষয়ে আলী, আবু আইয়ুব, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, জাবির ও উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বleন, ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসটি ইসমাঈল ইবনে আবু খালিদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত আপেক্ষা সুফিয়ান (রাহঃ) এর সূত্রে রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ্। সুফিয়ান (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটি হাসান- সহীহ্। ইসরাঈল এই হাদীসটিকে আবু ইসহাক- মালিক পুত্রদ্বয় আব্দুল্লাহ ও খালিদ সূত্রে- ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান- সহীহ্। সালামা ইবনে কুহায়লও এটিকে সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু ইসহাক (রাহঃ) এটিকে মালিক পুত্রদ্বয় আব্দুল্লাহ ও খালিদ উমর (রাযিঃ) সনদে বর্ণনা করেছেন।
এতদনুসারে আলিমগণ আমল করেছেন। তারা বলেন, মুযদালিফা ছাড়া মাগরিবের নামায আদায় করা যাবে না। মুযদালিফায় যখন আসবে তখন এক ইকামতে দুই নামায একত্রে আদায় করবে। এর মাঝে নফল আদায় করবে না। কোন কোন আলিম এই মতটি গ্রহণ করেছেন। এ হলো ইমাম সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এর অভিমত। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, ইচ্ছা করলে মাগরিব আদায় করে রাতের খাবার খেয়ে, কাপড়- চোপড় ছেড়ে পরে ইকামত দিয়ে ইশার নামায আদায় করবে। আবার কতিপয় আলিমগণ বলেন, মুযদালিফায় এক আযান ও দুই ইকামতে মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করবে। মাগরিবের আযান দিয়ে ইকামত দিবে এবং মাগরিবের নামায আদায় করবে। পরে পুনরায় ইকামত দিবে এবং ইশার নামায আদায় করবে। এ হলো ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ يَحْيَى وَالصَّوَابُ حَدِيثُ سُفْيَانَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي أَيُّوبَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ فِي رِوَايَةِ سُفْيَانَ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ وَحَدِيثُ سُفْيَانَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى إِسْرَائِيلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَىْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . وَحَدِيثُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَيْضًا رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ . وَأَمَّا أَبُو إِسْحَاقَ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَىْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لأَنَّهُ لاَ تُصَلَّى صَلاَةُ الْمَغْرِبِ دُونَ جَمْعٍ فَإِذَا أَتَى جَمْعًا وَهُوَ الْمُزْدَلِفَةُ جَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ وَلَمْ يَتَطَوَّعْ فِيمَا بَيْنَهُمَا وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَذَهَبَ إِلَيْهِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ . قَالَ سُفْيَانُ وَإِنْ شَاءَ صَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ تَعَشَّى وَوَضَعَ ثِيَابَهُ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعِشَاءَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ بِأَذَانٍ وَإِقَامَتَيْنِ يُؤَذِّنُ لِصَلاَةِ الْمَغْرِبِ وَيُقِيمُ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ ثُمَّ يُقِيمُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى إِسْرَائِيلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَيْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَحَدِيثُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَيْضًا رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَأَمَّا أَبُو إِسْحَقَ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَيْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ.
قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى إِسْرَائِيلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَيْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَحَدِيثُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَيْضًا رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَأَمَّا أَبُو إِسْحَقَ فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَخَالِدٍ ابْنَيْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ.