আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮২২
আন্তর্জাতিক নং: ৮২২
তামাত্তু হজ্জ।
৮২৩. আবু মুসা মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) আবু বকর, উমর ও উসমান (রাযিঃ) তামাত্তু হজ্জ করেছেন। মুআবিয়া (রাযিঃ)-ই প্রথম তা নিষেধ করেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَأَوَّلُ مَنْ نَهَى عَنْهَا مُعَاوِيَةُ
হাদীস নং:৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৩
তামাত্তু হজ্জ।
৮২৪. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ...... মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস ইবনে নাওফাল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজ্জের সঙ্গে উমরা একত্রিত করে তামাত্তু হজ্জ করা সম্পর্কে সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস ও যাহহাক ইবনে কায়স (রাযিঃ) কে আলোচনা করতে শুনেছেন। যাহহাক ইবনে কায়স (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তাআলার নির্দেশ সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তি ব্যতীত কেউ এ কাজ করতে পারে না। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি কত মন্দ কথা বললে। যাহহাক বললেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তো এটা নিষেধ করেছেন। তখন সা’দ (রাযিঃ) বললেন, রাসুল (ﷺ) নিজেও তা করেছেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে থেকে তা করেছি।

(আবু ঈসা বলেন) এই হাদীসটি সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَهُمَا، يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ لاَ يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلاَّ مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ . فَقَالَ سَعْدٌ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي . فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ . فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৪
তামাত্তু হজ্জ।
৮২৫. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজ্জের সঙ্গে একত্র করে তামাত্তু করা সম্পর্কে তিনি জনৈক সিরিয়াবাসী ব্যক্তিকে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর কাছে প্রশ্ন করতে শুনেছেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তা করা বৈধ। সিরিয়াবাসী ব্যক্তিটি বলল, আপনার পিতা তো তা করতে নিষেধ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি কি মনে কর, কোন বিষয় যদি আমার পিতা নিষেধ করেন আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে কি আমার পিতার অনুসরণ করা হবে, না রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অনুসরণ করা হবে? লোকটি বলল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাজেরই তো (অনুসরণ করা হবে)। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা (তামাত্তু) করেছেন।

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আলী, উসমান, জাবির, সা’দ, আসমা বিনতে আবু বকর ও ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাযিঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের একদল (হজ্জ ও) উমরা একসঙ্গে করে তামাত্তু করার বিষয়টিকে পছন্দনীয় বলে গ্রহণ করেছেন। তামাত্তু হল একজন (মীকাত থেকে) হজ্জের মাসসমূহে উমরার (এর ইহরাম বেঁধে মক্কায়) দাখিল হবে এবং তা সমাধা করে হজ্জ করা পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় অবস্থান করবে। এমতাবস্থায় এই ব্যক্তিটি হবে মুতামাত্তি- তামাত্তু পালনকারী। তার জন্য যে প্রকারের হাদী (কুরবানীর পশু) সহজ হয় তা কুরবানী করবে। যদি কেউ তাতে সক্ষম না হয় তবে সে হজ্জের সময় তিন এবং বাড়ি প্রত্যাবর্তনকালে সাত দিন রোযা পালন করবে। তামাত্তু পালনকারী যখন হজ্জের সময় দিন রোযা পালন করবে তখন মুস্তাহাব হল যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের মধ্যে এমনভাবে তা করতে যে আরাফার দিন যেম তার রোযার শেষ দিন হয়। যদি সে এই দশের ভিতর রোযা পালন না করে। তবে কতক সাহাবীর মতে সে আইয়্যামে তাশরীকের মাঝে (যিলহজ্জ মাসের ১১, ১২, ১৩ তারিখ) তা পালন করবে। এ হল ইবনে উমর ও আয়িশা (রাযিঃ)-এর অভিমত। ইমাম মালিক,শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) ও এই মত ব্যক্ত করেছেন। কতক আলেম বলেন, আইয়্যামে তাশরীকে রোযা পালন করবে না। এ হল কুফাবাসী আলিমগণ -এর অভিমত। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীস বিশেষজ্ঞ আলিমগণ হজ্জের সঙ্গে উমরা করে তামাত্তু করা পছন্দনীয় আমল বলে গ্রহণ করেছেন। এ হলো ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) (প্রমুখ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَهُوَ يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنِ التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ هِيَ حَلاَلٌ . فَقَالَ الشَّامِيُّ إِنَّ أَبَاكَ قَدْ نَهَى عَنْهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ أَبِي نَهَى عَنْهَا وَصَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَأَمْرَ أَبِي نَتَّبِعُ أَمْ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الرَّجُلُ بَلْ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَقَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ وَجَابِرٍ وَسَعْدٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَابْنِ عُمَرَ . وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ . وَالتَّمَتُّعُ أَنْ يَدْخُلَ الرَّجُلُ بِعُمْرَةٍ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ يُقِيمَ حَتَّى يَحُجَّ فَهُوَ مُتَمَتِّعٌ وَعَلَيْهِ دَمٌ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْىِ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَيُسْتَحَبُّ لِلْمُتَمَتِّعِ إِذَا صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ أَنْ يَصُومَ فِي الْعَشْرِ وَيَكُونَ آخِرُهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فَإِنْ لَمْ يَصُمْ فِي الْعَشْرِ صَامَ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فِي قَوْلِ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَعَائِشَةُ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يَصُومُ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ . وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَهْلُ الْحَدِيثِ يَخْتَارُونَ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ فِي الْحَجِّ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান