আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯২
লায়লাতুল ক্বদর।
৭৯০. হারূন ইবনে ইসহাক হামদানী (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) রমযানের শেষ দশদিন মসজিদে অবস্থান করতেন। বলতেন, তোমরা রমযানের শেষ দশদিন লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধান করে। - বুখারি ও মুসলিম
এই বিষয়ে উমর, উবাই ইবনে কাব, জাবির ইবনে সামুরা, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ, ইবনে উমর, ফালাতান ইবনে আসিম, আনাস, আবু সাঈদ, আব্দুল্লাহ ইবনে উনায়স, আবু বাকরা, ইবনে আব্বাস, বিলাল ও উবাদা ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। তাঁর এই রিওয়ায়াতে উল্লেখিত শব্দ يحاور অর্থ তিনি ই‘তিকাফ করতেন। এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ রিওয়ায়াতের শব্দ হল, তোমরা শেষ দশ দিনের প্রত্যেক বেজোড় রাতে লায়লাতুল ক্বদর তালাশ করো। রাসূল (ﷺ) থেকে লায়লাতুল ক্বদর সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তা হল একুশ, তেইশ, পঁচিশ, সাতাশ, উনত্রিশ এবং রমযানের শেষ রাত।
ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, আমার মতে এই ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ) সে ভাবেই উত্তর দিয়েছেন যে ভাবে তার নিকট জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। যেমন হয়ত কেউ তার নিকট জিজ্ঞাসা করেছে, আমরা কি অমুক তারিখে তা অন্বেষন করবো? তিনি উত্তরে বলেছেন, তা অমুক তারিখে তোমরা তালাশ কর। ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) বলেন বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে সব চাইতে শক্তিশালী রিওয়ায়াত হল একুশ তারিখ সম্পর্কিত রিওয়ায়াতটি। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি কসম করে বলতেন যে, এ হল সাতাশ তারিখের রাত; এবং তিনি বলতেন, রাসূল (ﷺ) আমাদের এর আলামত জানিয়েছেন। তা আমরা গণনা করে দেখেছি এবং স্মরণ রেখেছি। আবু কিলাবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, শেষ দশকের মাঝে লায়লাতুল ক্বদর আবর্তিত হতে থাকে। এই বক্তব্যটি আব্দুর রাযযাক-মামার-আইয়ুব আবু কিলাবা (রাযিঃ) থেকে আব্দ ইবনে হুমায়দ বর্ণনা করেছেন।
এই বিষয়ে উমর, উবাই ইবনে কাব, জাবির ইবনে সামুরা, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ, ইবনে উমর, ফালাতান ইবনে আসিম, আনাস, আবু সাঈদ, আব্দুল্লাহ ইবনে উনায়স, আবু বাকরা, ইবনে আব্বাস, বিলাল ও উবাদা ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। তাঁর এই রিওয়ায়াতে উল্লেখিত শব্দ يحاور অর্থ তিনি ই‘তিকাফ করতেন। এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ রিওয়ায়াতের শব্দ হল, তোমরা শেষ দশ দিনের প্রত্যেক বেজোড় রাতে লায়লাতুল ক্বদর তালাশ করো। রাসূল (ﷺ) থেকে লায়লাতুল ক্বদর সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তা হল একুশ, তেইশ, পঁচিশ, সাতাশ, উনত্রিশ এবং রমযানের শেষ রাত।
ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, আমার মতে এই ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ) সে ভাবেই উত্তর দিয়েছেন যে ভাবে তার নিকট জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। যেমন হয়ত কেউ তার নিকট জিজ্ঞাসা করেছে, আমরা কি অমুক তারিখে তা অন্বেষন করবো? তিনি উত্তরে বলেছেন, তা অমুক তারিখে তোমরা তালাশ কর। ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) বলেন বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে সব চাইতে শক্তিশালী রিওয়ায়াত হল একুশ তারিখ সম্পর্কিত রিওয়ায়াতটি। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি কসম করে বলতেন যে, এ হল সাতাশ তারিখের রাত; এবং তিনি বলতেন, রাসূল (ﷺ) আমাদের এর আলামত জানিয়েছেন। তা আমরা গণনা করে দেখেছি এবং স্মরণ রেখেছি। আবু কিলাবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, শেষ দশকের মাঝে লায়লাতুল ক্বদর আবর্তিত হতে থাকে। এই বক্তব্যটি আব্দুর রাযযাক-মামার-আইয়ুব আবু কিলাবা (রাযিঃ) থেকে আব্দ ইবনে হুমায়দ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُولُ " تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَأُبَىٍّ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عُمَرَ وَالْفَلَتَانِ بْنِ عَاصِمٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ وَأَبِي بَكْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَبِلاَلٍ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَوْلُهَا يُجَاوِرُ يَعْنِي يَعْتَكِفُ . وَأَكْثَرُ الرِّوَايَاتِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فِي كُلِّ وِتْرٍ " . وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ أَنَّهَا لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَلَيْلَةُ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ وَخَمْسٍ وَعِشْرِينَ وَسَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَتِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَآخِرُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ الشَّافِعِيُّ كَأَنَّ هَذَا عِنْدِي وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُجِيبُ عَلَى نَحْوِ مَا يُسْأَلُ عَنْهُ يُقَالُ لَهُ نَلْتَمِسُهَا فِي لَيْلَةِ كَذَا فَيَقُولُ الْتَمِسُوهَا فِي لَيْلَةِ كَذَا . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَأَقْوَى الرِّوَايَاتِ عِنْدِي فِيهَا لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّهُ كَانَ يَحْلِفُ أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ . وَيَقُولُ أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَلاَمَتِهَا فَعَدَدْنَا وَحَفِظْنَا . وَرُوِيَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ أَنَّهُ قَالَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ تَنْتَقِلُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ بِهَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯৩
লায়লাতুল ক্বদর।
৭৯১. ওয়াসিল ইবনে আব্দুল আ‘লা কূফী (রাহঃ) .... যির (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) কে বললাম, হে আবু মুনযির! এ যে সাতাশের রাত এ কথা আপনি কোথা থেকে জানলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, এটি হল এমন রাত যার পরবর্তী সকালে সূর্য উদিত হয় এমনভাবে যে তার আলোকরশ্মি থাকে না। তা আমরা গণনা করে রেখেছি এবং স্মরণও রেখেছি। আল্লাহর কসম! ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) একথা জানেন যে, রাতটি হল রমযানের এবং তা সাতাশেরই রাত। কিন্তু তিনি তোমাদের তা জানাতে পছন্দ করেননি, পাছে তোমরা এর উপর ভরসা করে বসে থাকে। - আবু দাউদ, মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ قُلْتُ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّى عَلِمْتَ أَبَا الْمُنْذِرِ أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ قَالَ بَلَى أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَّهَا لَيْلَةٌ صَبِيحَتُهَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ لَيْسَ لَهَا شُعَاعٌ " . فَعَدَدْنَا وَحَفِظْنَا وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ مَسْعُودٍ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَلَكِنْ كَرِهَ أَنْ يُخْبِرَكُمْ فَتَتَّكِلُوا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৭৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯৪
লায়লাতুল ক্বদর।
৭৯২. হুমায়দা ইবনে মাসআদা (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বাকরা (রাযিঃ) এর কাছে একবার লায়লাতুল ক্বদর সম্পর্কে আলোচনা হল। তিনি বললেন, আমি লায়লাতুল ক্বদর রমযানের শেষ দশ দিন ছাড়া অন্য কোন রাতে অনুসন্ধান করব না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছ থেকে একটি বাণী শোনার কারণে তাকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা এ রাতটিকে রমযানের নয় দিন বাকী থাকতে বা সাতদিন বাকী থাকতে বা পাঁচ দিন বাকী থাকতে, তিন দিন বাকী থাকতে বা এর শেষ রাতে অণ্বেষন কর। রাবী বলেন, আবু বাকরা (রাযিঃ) রমযানের বিশ দিন পর্যন্ত অন্যান্য সুন্নতের মতই নামায আদায় করতেন। কিন্তু শেষ দশ দিনের ক্ষেত্রে খুবই প্রয়াস চালাতেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا عُيَيْنَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، ذُكِرَتْ لَيْلَةُ الْقَدْرِ عِنْدَ أَبِي بَكْرَةَ فَقَالَ مَا أَنَا بِمُلْتَمِسِهَا، لِشَيْءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ " الْتَمِسُوهَا فِي تِسْعٍ يَبْقَيْنَ أَوْ فِي سَبْعٍ يَبْقَيْنَ أَوْ فِي خَمْسٍ يَبْقَيْنَ أَوْ فِي ثَلاَثٍ أَوْ آخِرِ لَيْلَةٍ " . قَالَ وَكَانَ أَبُو بَكْرَةَ يُصَلِّي فِي الْعِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ كَصَلاَتِهِ فِي سَائِرِ السَّنَةِ فَإِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ اجْتَهَدَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: