আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাকাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৬
মুআল্লাফাতুল কুলুবদের প্রদান করা।
৬৬৩. হাসান ইবনে আলী খাল্লাল (রাহঃ) ..... সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুনায়ন যুদ্ধের সময় আমাকে দান করেন। তিনি (মুহাম্মাদ) (ﷺ) ছিলেন আমার নিকট সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তি। কিন্তু তিনি আমাকে দান করতে থাকলেন, এমনকি আমার কাছে হয়ে গেলেন সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) আমাকে এইরূপ বা এর মতই রিওয়ায়াত করেছেন। এই বিষয়ে আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, সাফওয়ান (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি মা’মার (রাহঃ) প্রমুখ রাবী যুহরী, সাঈদ ইবনুল মুস্যাইয়াব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে দিলেন......। এই সূত্রটি যেন অধিকতর সহীহ্ ও গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ সাঈদ ইবনে মুস্যাইয়াব (রাহঃ) (এরপর) عن صفوان এর স্থলে ان صفوان ابىامية অধিক বিশুদ্ধ।

মুআল্লাফাতুল কুলুব*-কে যাকাত প্রদান করা সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত হল (বর্তমান) আর তাদের যাকাত দেওয়া হবে না তাঁরা বলেন, এরা ছিলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যুগের একদল লোক। ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তাদের হৃদয় আকর্ষণ কল্পে তিনি তাদের দান করতেন। ফলে তারা ইসলাম গ্রহণ করে নেয়। বর্তমান যুগে এই উদ্দেশ্য যাকাত প্রদান করা হবেনা বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেছেন। সুফিয়ান সাওরী, কুফাবাসী ফকীহ্ প্রমীখ উলামার অভিমত এই। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) ও এই মত পোষণ করেন। কোন কোন আলিম বলেন, এই ক্ষেত্রে বর্তমানেও যদি কারো অবস্থা ওদের মত হয় আর মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান যদি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য তাদের যাকাত প্রদান করেন তবে তা জায়েয হবে। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) এর এই অভিমত।

*যাদেরকে হৃদয় আকৃষ্ট উদ্দেশ্যে দান করা হয়।
باب مَا جَاءَ فِي إِعْطَاءِ الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ أَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ وَإِنَّهُ لأَبْغَضُ الْخَلْقِ إِلَىَّ فَمَا زَالَ يُعْطِينِي حَتَّى إِنَّهُ لأَحَبُّ الْخَلْقِ إِلَىَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ بِهَذَا أَوْ شِبْهِهِ فِي الْمُذَاكَرَةِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ صَفْوَانَ رَوَاهُ مَعْمَرٌ وَغَيْرُهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ قَالَ أَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ أَصَحُّ وَأَشْبَهُ إِنَّمَا هُوَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ صَفْوَانَ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي إِعْطَاءِ الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ فَرَأَى أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُعْطَوْا . وَقَالُوا إِنَّمَا كَانُوا قَوْمًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَأَلَّفُهُمْ عَلَى الإِسْلاَمِ حَتَّى أَسْلَمُوا . وَلَمْ يَرَوْا أَنْ يُعْطَوُا الْيَوْمَ مِنَ الزَّكَاةِ عَلَى مِثْلِ هَذَا الْمَعْنَى وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَنْ كَانَ الْيَوْمَ عَلَى مِثْلِ حَالِ هَؤُلاَءِ وَرَأَى الإِمَامُ أَنْ يَتَأَلَّفَهُمْ عَلَى الإِسْلاَمِ فَأَعْطَاهُمْ جَازَ ذَلِكَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান