আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৬
এতে সিজদা নাই বলে যারা মনে করেন।
৫৭৬. ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) ...... যায়দ সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল (ﷺ)-কে আমি সূরা আন্-নাজম পাঠ করতে শুনেছি। তিনি এতে কোন সিজদা দেননি। - বুখারি ও মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ যায়দ ইবনে সাবিদ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কোন কোন আলিম এই হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেনঃ এখানে রাসূল (ﷺ) সিজদা করেননি, কারণ যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) তিলাওয়াত করার সময় সিজদা করেন নি। তাই রাসূল (ﷺ)-ও সিজদা করেন নি। আলিমগণ বলেনঃ সিজদার আয়াত তিলাওয়ায়াত করতে যে ব্যক্তি শুনবে, তার উপরও সিজদা করা ওয়াজিব। তারা এই ব্যক্তির জন্যও সিজদা না করার অনুমতি দেন নি। তারা আরো বলেনঃ কারো যদি সিজদার আয়াত শোনার সময় উযু না থাকে তবে সে যখন উযু করে তখন সে সিজদা করবে। এ হল সুফিয়ান সাওরী, কূফাবাসী আলিমগণ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
কতক আলিম বলেনঃ কেউ যদি সিজদা করতে চায় এবং ফযীলতের প্রত্যাশী হয়, তবে সে সিজদা করবে। আর যদি সে সিজদা করতে না চায়, তবে তার জন্য তা না করারও অনুমতি রয়েছে (অর্থাৎ তাদের মতে সিজদা তিলাওয়াত ওয়াজিব নয়) তারা যায়দ ইবনে সাবিত বর্ণিত হাদীসটি প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। তিনি বর্ণনা করেনঃ আমি রাসূল (ﷺ)-কে সূরা আন-নাজম তিলাওয়াত করে শুনিয়েছি কিন্তু তিনি এতে সিজদা করেন নি। তাঁরা বলেনঃ সিজদা তিলাওয়াত যদি ওয়াজিব হতো তবে রাসূল (ﷺ) যায়দকে সিজদা না করা পর্যন্ত ছেড়ে দিতেন না এবং তাকে সিজদা করতে নির্দেশ দিতেন এবং তিনি নিজেও সিজদা করতেন।
এই আলিমগণ উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করে থাকেন। বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার মিম্বরে (খুতবারত অবস্থায়) সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করেন তখন তিনি নীচে নেমে এসে সিজদা করলেন। পরে দ্বিতীয় জুমআতেও তিনি এটি তিলাওয়াত করেন। তখন লোকজনও সিজদা করার জন্য প্রস্তুত হয়। এতে তিনি বললেনঃ এ আমাদের ফরয করা হয়নি। হ্যাঁ, আমরা যদি চাই তা করতে পারি। যা হোক, এই দিন উমর (রাযিঃ) -ও সিজদা করেন নি এবং লোকজনও সিজদা করলেন না। কতক আলিম এই মতটিই গ্রহণ করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ ও আহমদ (রাহঃ) এর বক্তব্য।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ যায়দ ইবনে সাবিদ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কোন কোন আলিম এই হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেনঃ এখানে রাসূল (ﷺ) সিজদা করেননি, কারণ যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) তিলাওয়াত করার সময় সিজদা করেন নি। তাই রাসূল (ﷺ)-ও সিজদা করেন নি। আলিমগণ বলেনঃ সিজদার আয়াত তিলাওয়ায়াত করতে যে ব্যক্তি শুনবে, তার উপরও সিজদা করা ওয়াজিব। তারা এই ব্যক্তির জন্যও সিজদা না করার অনুমতি দেন নি। তারা আরো বলেনঃ কারো যদি সিজদার আয়াত শোনার সময় উযু না থাকে তবে সে যখন উযু করে তখন সে সিজদা করবে। এ হল সুফিয়ান সাওরী, কূফাবাসী আলিমগণ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
কতক আলিম বলেনঃ কেউ যদি সিজদা করতে চায় এবং ফযীলতের প্রত্যাশী হয়, তবে সে সিজদা করবে। আর যদি সে সিজদা করতে না চায়, তবে তার জন্য তা না করারও অনুমতি রয়েছে (অর্থাৎ তাদের মতে সিজদা তিলাওয়াত ওয়াজিব নয়) তারা যায়দ ইবনে সাবিত বর্ণিত হাদীসটি প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। তিনি বর্ণনা করেনঃ আমি রাসূল (ﷺ)-কে সূরা আন-নাজম তিলাওয়াত করে শুনিয়েছি কিন্তু তিনি এতে সিজদা করেন নি। তাঁরা বলেনঃ সিজদা তিলাওয়াত যদি ওয়াজিব হতো তবে রাসূল (ﷺ) যায়দকে সিজদা না করা পর্যন্ত ছেড়ে দিতেন না এবং তাকে সিজদা করতে নির্দেশ দিতেন এবং তিনি নিজেও সিজদা করতেন।
এই আলিমগণ উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করে থাকেন। বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার মিম্বরে (খুতবারত অবস্থায়) সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করেন তখন তিনি নীচে নেমে এসে সিজদা করলেন। পরে দ্বিতীয় জুমআতেও তিনি এটি তিলাওয়াত করেন। তখন লোকজনও সিজদা করার জন্য প্রস্তুত হয়। এতে তিনি বললেনঃ এ আমাদের ফরয করা হয়নি। হ্যাঁ, আমরা যদি চাই তা করতে পারি। যা হোক, এই দিন উমর (রাযিঃ) -ও সিজদা করেন নি এবং লোকজনও সিজদা করলেন না। কতক আলিম এই মতটিই গ্রহণ করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ ও আহমদ (রাহঃ) এর বক্তব্য।
باب مَا جَاءَ مَنْ لَمْ يَسْجُدْ فِيهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَتَأَوَّلَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ إِنَّمَا تَرَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ لأَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ حِينَ قَرَأَ فَلَمْ يَسْجُدْ لَمْ يَسْجُدِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . وَقَالُوا السَّجْدَةُ وَاجِبَةٌ عَلَى مَنْ سَمِعَهَا فَلَمْ يُرَخِّصُوا فِي تَرْكِهَا . وَقَالُوا إِنْ سَمِعَ الرَّجُلُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ فَإِذَا تَوَضَّأَ سَجَدَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنَّمَا السَّجْدَةُ عَلَى مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ فِيهَا وَالْتَمَسَ فَضْلَهَا وَرَخَّصُوا فِي تَرْكِهَا إِنْ أَرَادَ ذَلِكَ . وَاحْتَجُّوا بِالْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَيْثُ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا . فَقَالُوا لَوْ كَانَتِ السَّجْدَةُ وَاجِبَةً لَمْ يَتْرُكِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْدًا حَتَّى كَانَ يَسْجُدُ وَيَسْجُدُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ عُمَرَ أَنَّهُ قَرَأَ سَجْدَةً عَلَى الْمِنْبَرِ فَنَزَلَ فَسَجَدَ ثُمَّ قَرَأَهَا فِي الْجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ فَتَهَيَّأَ النَّاسُ لِلسُّجُودِ فَقَالَ إِنَّهَا لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْنَا إِلاَّ أَنْ نَشَاءَ . فَلَمْ يَسْجُدْ وَلَمْ يَسْجُدُوا . فَذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: