আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪. জুমআর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫১০
আন্তর্জাতিক নং: ৫১০
ইমাম খুতবা দিচ্ছেন এই অবস্থায় যদি কেউ মসজিদে আসে তবে ঐ ব্যক্তির জন্য দু’রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) নামায আদায় করা।
৫১০. কুতায়বা (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ একবার জুমআর দিন রাসূল (ﷺ) খুতবা দিচ্ছিলেন এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে এসে উপস্থিত হল। রাসূল (ﷺ) তাকে বললেনঃ তুমি কি (তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু’রাকআত) নামায আদায় করেছ? সে বলল, না। রাসূল (ﷺ) বললেনঃ উঠ এবং নামায আদায় কর। - ইবনে মাজাহ ১১১২, বুখারি ও মুসলিম
باب مَا جَاءَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا جَاءَ الرَّجُلُ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَصَلَّيْتَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " قُمْ فَارْكَعْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫১১
আন্তর্জাতিক নং: ৫১১
ইমাম খুতবা দিচ্ছেন এই অবস্থায় যদি কেউ মসজিদে আসে তবে ঐ ব্যক্তির জন্য দু’রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) নামায আদায় করা।
৫১১. মুহাম্মাদ ইবনে আবী উমর (রাহঃ) ........ ইয়ায ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে আবী সারহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার জুমআর দিন মারওয়ান খুতবা দিচ্ছিলেন এমন সময় আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) মসজিদে এলেন এবং নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন পাহারাদাররা ছুটে এসে তাঁকে বসাতে চেষ্টা করল। তিনি নামায শেষ না করে বসতে অস্বীকার করলেন। যা হোক, নামায শেষে আমরা তাঁর কাছে এলাম। বললামঃ আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। এরা তো আপনাকে প্রায় হামলাই করে বসেছিল। তিনি বললেনঃ এই বিষয়ে রাসূল (ﷺ)-এর আচরণ দেখার পর আমি তো কখনও তা ছাড়তে পানি না। এরপর তিনি ঘটনা উল্লেখ করে বললেনঃ একবার জনৈক ব্যক্তি দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় সমজিদে এসে প্রবেশ করল। এই সময় রাসূল (ﷺ) জুমআর খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি সেই ব্যক্তিকে তখন দু’রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) আদায় করতে আদেশ দিলেন। সে দু’রাকআত আদায় করল আর তখন রাসূল (ﷺ) খুতবা দিচ্ছিলেন। - ইবনে মাজাহ ১১১৩
ইবনে আবী উমর (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে উআয়না (রাহঃ) যখনই আসতেন ইমামের খুতবারত অবস্থায়ও এই দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। আবু আব্দির রহমান আল-মুকরী তাকে এরূপ করতে দেখেছেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আবী উমরকে বলতে শুনেছি যে, ইবনে উআয়না বলেছেনঃ রাবী মুহাম্মাদ ইবনে আজলান নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এবং হাদীসের বিষয়ে তিনি আস্থাভাজন। এই বিষয়ে জাবির, আবু হুরায়রা এবং সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম এতদনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমতও এ-ই্ কতক আলিম বলেনঃ ইমামের খুতবা প্রদান অবস্থায় কেউ যদি মসজিদে এসে প্রবেশ করে, তবে সে বসে থাকবে, এমতাবস্থায় নামায আদায় করবে না। এ হল সুফিয়ান সাওরী এবং কূফাবাসী ফকীহদের [ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-সহ] অভিমত। প্রথম মতটি অধিকতর সহীহ। কুতায়বা বর্ণনা করেন, আলা ইবনে খালিদ আল-কুরাশী (রাহঃ) বলেনঃ আমি হাসান বসরী (রাহঃ)-কে দেখেছি যে, তিনি জুমআর দিন মসজিদে এলেন তখন ইমাম খুতবা দিচ্ছিলেন। এতদসত্ত্বেও তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করলেন তার পর বসলেন। হাসান বসরী (রাহঃ) এই কাজ হাদীসের অনুসরণেই করেছেন। তিনি জাবির (রাযিঃ) সূত্রে রাসূল (ﷺ) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
ইবনে আবী উমর (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে উআয়না (রাহঃ) যখনই আসতেন ইমামের খুতবারত অবস্থায়ও এই দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। আবু আব্দির রহমান আল-মুকরী তাকে এরূপ করতে দেখেছেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আবী উমরকে বলতে শুনেছি যে, ইবনে উআয়না বলেছেনঃ রাবী মুহাম্মাদ ইবনে আজলান নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এবং হাদীসের বিষয়ে তিনি আস্থাভাজন। এই বিষয়ে জাবির, আবু হুরায়রা এবং সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম এতদনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমতও এ-ই্ কতক আলিম বলেনঃ ইমামের খুতবা প্রদান অবস্থায় কেউ যদি মসজিদে এসে প্রবেশ করে, তবে সে বসে থাকবে, এমতাবস্থায় নামায আদায় করবে না। এ হল সুফিয়ান সাওরী এবং কূফাবাসী ফকীহদের [ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-সহ] অভিমত। প্রথম মতটি অধিকতর সহীহ। কুতায়বা বর্ণনা করেন, আলা ইবনে খালিদ আল-কুরাশী (রাহঃ) বলেনঃ আমি হাসান বসরী (রাহঃ)-কে দেখেছি যে, তিনি জুমআর দিন মসজিদে এলেন তখন ইমাম খুতবা দিচ্ছিলেন। এতদসত্ত্বেও তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করলেন তার পর বসলেন। হাসান বসরী (রাহঃ) এই কাজ হাদীসের অনুসরণেই করেছেন। তিনি জাবির (রাযিঃ) সূত্রে রাসূল (ﷺ) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا جَاءَ الرَّجُلُ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، دَخَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَمَرْوَانُ يَخْطُبُ فَقَامَ يُصَلِّي فَجَاءَ الْحَرَسُ لِيُجْلِسُوهُ فَأَبَى حَتَّى صَلَّى فَلَمَّا انْصَرَفَ أَتَيْنَاهُ فَقُلْنَا رَحِمَكَ اللَّهُ إِنْ كَادُوا لَيَقَعُوا بِكَ . فَقَالَ مَا كُنْتُ لأَتْرُكَهُمَا بَعْدَ شَيْءٍ رَأَيْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّ رَجُلاً جَاءَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي هَيْئَةٍ بَذَّةٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَأَمَرَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ كَانَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ إِذَا جَاءَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ وَكَانَ يَأْمُرُ بِهِ وَكَانَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ يَرَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ ثِقَةً مَأْمُونًا فِي الْحَدِيثِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا دَخَلَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَإِنَّهُ يَجْلِسُ وَلاَ يُصَلِّي . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ . حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ خَالِدٍ الْقُرَشِيُّ قَالَ رَأَيْتُ الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ . إِنَّمَا فَعَلَ الْحَسَنُ اتِّبَاعًا لِلْحَدِيثِ وَهُوَ رَوَى عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: