আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪. জুমআর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৭
জুমআর দিনে উযু করা।
৪৯৭. আবু মুসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ...... সামুরা ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ জুমআর দিন যে ব্যক্তি উযু করল, সে কতইনা ভাল ও সুন্দর কাজ করল। আর যদি সে গোসল করে, তবে তা তার জন্য আফযাল ও অতি উত্তম। - ইবনে মাজাহ ১০৯১
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা, আয়িশা ও আনাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ সামূূরা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। কাতাদা (রাহঃ)-এর কতক শাগরিদ এই হাদীসটি কাতাদা ......... হাসান সূত্রে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা জুমআর দিন গোসল করা পছন্দনীয় বলে বিধান দিয়েছেন। তবে তারা জুম'আর দিন গোসলের স্থলে উযু যথেষ্ট বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেনঃ জুমআর দিন গোসল করা সম্পর্কিত রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশটি ওয়াজিব বা অবশ্য করণীয় নয়, বরং তা পছন্দনীয় বলে গণ্য। এর প্রমাণ হল উমর (রাযিঃ)-এর এই হাদীসটি। তিনি উসমান (রাযিঃ)-কে বলেছিলেনঃ কেবল উযু করে এসেছেন? অথচ আপনি জানেন, রাসূল (ﷺ) জুমআর দিন গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশটি কেবল পছন্দনীয় হিসাবেই নয়, বরং অত্যাবশ্যকীয়, এই কথা যদি তারা জানতেন তবে অবশ্যই উমর (রাযিঃ) . উসমান (রাযিঃ)-কে এইভাবে ছেড়ে দিতেন না, বরং তাঁকে ফিরিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ ফিরে যান এবং গোসল করে আসুন। উসমান (রাযিঃ)-এর কাছেও বিষয়টি গোপন থাকত না, বরং এই হাদীসটি প্রমাণ করে যে, জুম'আর দিন গোসল করা ওয়াজিব নয়, তবে তা ফযীলতের বিষয়।
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা, আয়িশা ও আনাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ সামূূরা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। কাতাদা (রাহঃ)-এর কতক শাগরিদ এই হাদীসটি কাতাদা ......... হাসান সূত্রে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা জুমআর দিন গোসল করা পছন্দনীয় বলে বিধান দিয়েছেন। তবে তারা জুম'আর দিন গোসলের স্থলে উযু যথেষ্ট বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেনঃ জুমআর দিন গোসল করা সম্পর্কিত রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশটি ওয়াজিব বা অবশ্য করণীয় নয়, বরং তা পছন্দনীয় বলে গণ্য। এর প্রমাণ হল উমর (রাযিঃ)-এর এই হাদীসটি। তিনি উসমান (রাযিঃ)-কে বলেছিলেনঃ কেবল উযু করে এসেছেন? অথচ আপনি জানেন, রাসূল (ﷺ) জুমআর দিন গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশটি কেবল পছন্দনীয় হিসাবেই নয়, বরং অত্যাবশ্যকীয়, এই কথা যদি তারা জানতেন তবে অবশ্যই উমর (রাযিঃ) . উসমান (রাযিঃ)-কে এইভাবে ছেড়ে দিতেন না, বরং তাঁকে ফিরিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ ফিরে যান এবং গোসল করে আসুন। উসমান (রাযিঃ)-এর কাছেও বিষয়টি গোপন থাকত না, বরং এই হাদীসটি প্রমাণ করে যে, জুম'আর দিন গোসল করা ওয়াজিব নয়, তবে তা ফযীলতের বিষয়।
باب مَا جَاءَ فِي الْوُضُوءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُفْيَانَ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَبِهَا وَنِعْمَتْ وَمَنِ اغْتَسَلَ فَالْغُسْلُ أَفْضَلُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُ أَصْحَابِ قَتَادَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمُ اخْتَارُوا الْغُسْلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَأَوْا أَنْ يُجْزِئَ الْوُضُوءُ مِنَ الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ أَمْرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنَّهُ عَلَى الاِخْتِيَارِ لاَ عَلَى الْوُجُوبِ حَدِيثُ عُمَرَ حَيْثُ قَالَ لِعُثْمَانَ وَالْوُضُوءَ أَيْضًا وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِالْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ . فَلَوْ عَلِمَا أَنَّ أَمْرَهُ عَلَى الْوُجُوبِ لاَ عَلَى الاِخْتِيَارِ لَمْ يَتْرُكْ عُمَرُ عُثْمَانَ حَتَّى يَرُدَّهُ وَيَقُولَ لَهُ ارْجِعْ فَاغْتَسِلْ وَلَمَا خَفِيَ عَلَى عُثْمَانَ ذَلِكَ مَعَ عِلْمِهِ وَلَكِنْ دَلَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْغُسْلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ فَضْلٌ مِنْ غَيْرِ وُجُوبٍ يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ فِي ذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮
জুমআর দিনে উযু করা।
৪৯৮. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কেউ যদি উযু করে এবং খুব ভালভাবে তা করে জুমআয় হাযির হয় এবং ইমামের কাছে গিয়ে বসে চুপ করে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তবে তার পূর্ববর্তী জুমআসহ আরো অতিরিক্ত তিন (মোট দশ) দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি তখন কংকর সরাল সে-ও অনর্থক কাজ করল। - ইবনে মাজাহ ১০৯০
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْوُضُوءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَدَنَا وَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ وَمَنْ مَسَّ الْحَصَى فَقَدْ لَغَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .