আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৯- দুই ঈদের নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৪-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯১৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) আবু বকর, উমর ও উসমান (রাযিঃ) এর সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাযে শরীক হয়েছি। তাঁরা সবাই খুতবা প্রদানের পূর্বেই এ নামায আদায় করতেন। তারপর খুতবা দিতেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি যেন এখন দেখছি নবী (ﷺ) মিম্বর হতে নামছেন হাতের ইশারায় সবাইকে বসিয়ে দিচ্ছেন এরপর পুরুষদের কাতার ভেদ করে অগ্রসর হলেন এবং মহিলাদের নিকট গিয়ে পৌছলেন। তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল (রাযিঃ)। তারপর এ আয়াত পাঠ করলেনঃ ″হে নবী! মু’মিন নারী যখন তোমার কাছে এসে বায়আত করে এ মর্মে যে, তারা আল্লাহব সাথে কোন শরীক স্থির করবে না। (সূরা মুমতাহিনাঃ ১২)। সম্পূর্ণ আয়াত পাঠ করার পর তিনি বললেন, তোমরা কি এ আয়াতের শর্তের উপর স্থির আছ? তখন একজন মহিলা উত্তর দিল। এ মহিলা ব্যতীত অন্য কেউ কথা বলেননি। হ্যাঁ হে আল্লাহর নবী! কিন্তু সে মহিলা কে তা জানা যায়নি। তিনি বললেন, তোমরা সাদ্‌কা কর। বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় দিলেন এবং বললেন, এসো আমার মাতাপিতা তোমাদের জন্য উৎসর্গকৃত। মহিলাগণ তাদের বালা ও আংটি বেলালের কাপড়ে দিতে লাগলেন।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، - قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ قَالَ شَهِدْتُ صَلاَةَ الْفِطْرِ مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَكُلُّهُمْ يُصَلِّيهَا قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ يَخْطُبُ قَالَ فَنَزَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حِينَ يُجَلِّسُ الرِّجَالَ بِيَدِهِ ثُمَّ أَقْبَلَ يَشُقُّهُمْ حَتَّى جَاءَ النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَقَالَ ( يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا) فَتَلاَ هَذِهِ الآيَةَ حَتَّى فَرَغَ مِنْهَا ثُمَّ قَالَ حِينَ فَرَغَ مِنْهَا " أَنْتُنَّ عَلَى ذَلِكِ " فَقَالَتِ امْرَأَةٌ وَاحِدَةٌ لَمْ يُجِبْهُ غَيْرُهَا مِنْهُنَّ نَعَمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ لاَ يُدْرَى حِينَئِذٍ مَنْ هِيَ قَالَ " فَتَصَدَّقْنَ " . فَبَسَطَ بِلاَلٌ ثَوْبَهُ ثُمَّ قَالَ هَلُمَّ فِدًى لَكُنَّ أَبِي وَأُمِّي . فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ الْفَتَخَ وَالْخَوَاتِمَ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ .
হাদীস নং: ১৯১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৪-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯১৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুতবার পূর্বে নামায আদায় করতেন। তারপর খুতবা দিতেন। একবার তার মনে হল যে, মহিলারা (খুতবা) শুনতে পায়নি। তাই তিনি তাদের নিকট গেলেন। অতঃপর তাদের উদ্দেশ্যে ওয়ায-নসীহত করলেন এবং সাদ্‌কা করতে আদেশ দিলেন। আর বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় পেতে রাখলেন এবং মহিলাগণ আংটি, কানের দুল ইত্যাদি অলংকার ফেলতে লাগল।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَصَلَّى قَبْلَ الْخُطْبَةِ - قَالَ - ثُمَّ خَطَبَ فَرَأَى أَنَّهُ لَمْ يُسْمِعِ النِّسَاءَ فَأَتَاهُنَّ فَذَكَّرَهُنَّ وَوَعَظَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ وَبِلاَلٌ قَائِلٌ بِثَوْبِهِ فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تُلْقِي الْخَاتَمَ وَالْخُرْصَ وَالشَّىْءَ .
হাদীস নং: ১৯১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৪-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯১৯। আবু রাবী যাহরানী ও ইয়াকুব দাওরাকী (রাহঃ) ......... আইয়ুব (রাহঃ) থেকে উল্লিখিত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাদীস নং: ১৯২০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৫-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২০। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ঈদুল ফিতরের দিনে প্রথমে খুতবার পূর্বে নামায আদায় করলেন। এরপর লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুতবা শেষ করার পর মিম্বর হতে অবতরণ করলেন এবং মহিলাদের নিকট গেলেন এবং তাদেরকে উপদেশ দিলেন। তখন তিনি বিলালের হাতের উপর হেলান দিয়েছিলেন। আর বিলাল (রাযিঃ) কাপড় পেতে রেখেছিলেন। মহিলারা সাদ্‌কা দিচ্ছিল। আমি আতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এসব কি সাদ্‌কায়ে ফিতরা ছিল? তিনি বললেন, না। তবে তারা নফল সাদ্‌কা দিচ্ছিল। ঐ সময়ে মহিলাগণ সাদ্‌কা করছিল তাদের কানের বালা এবং অন্যান্য জিনিস। আমি আতাকে বললাম, এখনও কি ইমামের খুতবা শেষ করার পর মহিলাদের নিকট যাওয়া এবং তাদের উপদেশ দেয়া কর্তব্য। তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমার জীবনের কসম। এ হল তাদের দায়িত্ব। কিন্তু তাদের কি হয়েছে? তারা কেন তা করেন না?
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ يَوْمَ الْفِطْرِ فَصَلَّى فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ وَأَتَى النِّسَاءَ فَذَكَّرَهُنَّ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى يَدِ بِلاَلٍ وَبِلاَلٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ يُلْقِينَ النِّسَاءُ صَدَقَةً . قُلْتُ لِعَطَاءٍ زَكَاةَ يَوْمِ الْفِطْرِ قَالَ لاَ وَلَكِنْ صَدَقَةً يَتَصَدَّقْنَ بِهَا حِينَئِذٍ تُلْقِي الْمَرْأَةُ فَتَخَهَا وَيُلْقِينَ وَيُلْقِينَ . قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَحَقًّا عَلَى الإِمَامِ الآنَ أَنْ يَأْتِيَ النِّسَاءَ حِينَ يَفْرُغُ فَيُذَكِّرَهُنَّ قَالَ إِي لَعَمْرِي إِنَّ ذَلِكَ لَحَقٌّ عَلَيْهِمْ وَمَا لَهُمْ لاَ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ.
হাদীস নং: ১৯২১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৫-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২১। মুহাম্মাদ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ঈদের দিন নামাযে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবার পূর্বে প্রথমে নামায আরম্ভ করলেন। তাতে আযান ও ইকামত ছিল না। তারপর তিনি, গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য আদেশ দিলেন। তার (আল্লাহর) অনুগত্যের প্রতি উৎসাহিত করলেন। লোকদের ওয়ায-নসিহত করলেন। তারপর মহিলাদের নিকট গেলেন। তাদের উদ্দেশ্যে ওয়ায-নসীহত করলেন এবং বললেন, সাদ্‌কা কর। কেননা তোমাদের অধিকাংশ হবে জাহান্নামের ইন্ধন। মহিলাদের মধ্যে থেকে একজন মহিলা দাঁড়াল। যার উভয় গালে কাল দাগ ছিল। সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তা কেন? তিনি বললেন। তোমরা বেশী অভিযোগ করে থাকো। তোমরা উপকারকারীর উপকার অস্বীকার কর।

রাবী বলেন তখন মহিলাগণ তাদের অলংকারাদি সাদ্‌কা করতে লাগল। তারা বিলাল (রাযিঃ) এর কাপড়ে তাদের আংটি, কানের দুল ইত্যাদি ফেলতে শুরু করল।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ يَوْمَ الْعِيدِ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلاَلٍ فَأَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَحَثَّ عَلَى طَاعَتِهِ وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ ثُمَّ مَضَى حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ فَقَامَتْ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ فَقَالَتْ لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لِأَنَّكُنَّ تُكْثِرْنَ الشَّكَاةَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ قَالَ فَجَعَلْنَ يَتَصَدَّقْنَ مِنْ حُلِيِّهِنَّ يُلْقِينَ فِي ثَوْبِ بِلَالٍ مِنْ أَقْرِطَتِهِنَّ وَخَوَاتِمِهِنَّ
হাদীস নং: ১৯২২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৬-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২২। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ও জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিবসে আযান দেয়া হত না। ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, কিছুকাল পর আমি তাকে [আতাকে] এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, ঈদুল ফিতরের নামাযের জন্য কোন আযান নেই। ইমাম (হুজরা থেকে) বের হওয়ার মূহৃর্তেও নয়, পরেও নয়। ইকামতও নেই, নেদা-আহবান কিছুই নেই। সেদিন আহবানও নেই, ইকামতও নেই।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالاَ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَلاَ يَوْمَ الأَضْحَى . ثُمَّ سَأَلْتُهُ بَعْدَ حِينٍ عَنْ ذَلِكَ فَأَخْبَرَنِي
قَالَ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ أن لا أذان للصلاة يوم الفطر حين يخرج الإمام ولا بعد ما يخرج ولا إقامة ولا نداء ولا شيء لا نداء يومئذ ولا إقامة
হাদীস নং: ১৯২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৬-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২৩। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে যুবাইরের (রাযিঃ) এর যখন প্রথম বায়আত অনুষ্ঠিত হল, তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তার নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, তিনি ঈদুল ফিতরের নামাযের জন্য আযান দেওয়া হত না। অতএব তুমিও আযান দিও না। রাবী বলেন, ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) ঐ দিন ঈদুল ফিতরের নামাযে আযান দেননি তিনি আরও বলে পাঠান যে, খুতবা নামাযের পর। পূর্বে এভাবেই করা হত। রাবী বলেন, ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) খুতবা দেয়ার পূর্বেই নামায আদায় করে নিলেন।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ أَوَّلَ مَا بُويِعَ لَهُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ لِلصَّلاَةِ يَوْمَ الْفِطْرِ فَلاَ تُؤَذِّنْ لَهَا - قَالَ - فَلَمْ يُؤَذِّنْ لَهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمَهُ وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ إِنَّمَا الْخُطْبَةُ بَعْدَ الصَّلاَةِ وَإِنَّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يُفْعَلُ - قَالَ - فَصَلَّى ابْنُ الزُّبَيْرِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ .
হাদীস নং: ১৯২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, হাসান ইবনে রাবী , কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আবু বকর ইবনে শায়বা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একাধিকবার আযান ইকামত ব্যতীত উভয় ঈদের নামায রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আদায় করেছি।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، سَمُرَةَ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِيدَيْنِ غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ .
হাদীস নং: ১৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৮
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ), আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) খুতবা দেয়ার পূর্বে উভয় ঈদের নামায আদায় করতেন।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانُوا يُصَلُّونَ الْعِيدَيْنِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ .
হাদীস নং: ১৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৯
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯২৬। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিনে বের হতেন এবং সর্বপ্রথম নামায আদায় করতেন। নামায আদায় করার পর সালাম ফিরিয়ে সবার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে যেতেন। তখন সবাই নিজ নিজ নামাযের জায়গায় বসে থাকতেন। যদি কোথাও বাহিনী প্রেরণের প্রয়োজন হত তবে তিনি তা লোকদের নিকট উল্লেখ করতেন। অন্য কোন প্রয়োজন থাকলে তারও নির্দেশ দিতেন। আর তিনি বলতেন, সাদ্‌কা কর, সাদ্‌কা কর, সাদ্‌কা কর। মহিলাগণই বেশী সাদ্‌কা দিতেন। তারপর তিনি ফেরতেন এটাই ছিল নিয়ম।

যখন মারওয়ানের যুগ এল তখন আমি ও মারওয়ানের হাত ধরাধরি করে বের হলাম। ঈদগাহে পৌছে দেখতে পেলাম যে, কাসীর ইবনে সালত ইট ও মাটি দ্বারা একটি মিম্বর তৈরী করে রেখেছে। তখন মারওয়ান আমার হাত ধরে টানতে লাগলেন যেন তিনি আমাকে মিম্বরের দিকে নিয়ে যাবেন। আর আমি তাকে নামাযের দিকে টানছি। যখন আমি এ অবস্থা দেখলাম, তখন তাকে বললাম, প্রথমে নামায আদায় করার কি হল? তিনি বললেন, হে আবু সাঈদ! না, তুমি যা জান তা বাদ দেয়া হয়েছে। আমি বললাম, কখনো নয়, যার হাতে আমার জীবন তার কসম করে বলছি, আমি যা জানি তার চেয়ে উত্তম কিছু তোমরা আনয়ন করতে পারবে না। এই কথাটি তিনবার বলে তিনি চলে গেলেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ فَيَبْدَأُ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا صَلَّى صَلاَتَهُ وَسَلَّمَ قَامَ فَأَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ وَهُمْ جُلُوسٌ فِي مُصَلاَّهُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ حَاجَةٌ بِبَعْثٍ ذَكَرَهُ لِلنَّاسِ أَوْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ بِغَيْرِ ذَلِكَ أَمَرَهُمْ بِهَا وَكَانَ يَقُولُ " تَصَدَّقُوا تَصَدَّقُوا تَصَدَّقُوا " . وَكَانَ أَكْثَرَ مَنْ يَتَصَدَّقُ النِّسَاءُ ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى كَانَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَخَرَجْتُ مُخَاصِرًا مَرْوَانَ حَتَّى أَتَيْنَا الْمُصَلَّى فَإِذَا كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ قَدْ بَنَى مِنْبَرًا مِنْ طِينٍ وَلَبِنٍ فَإِذَا مَرْوَانُ يُنَازِعُنِي يَدَهُ كَأَنَّهُ يَجُرُّنِي نَحْوَ الْمِنْبَرِ وَأَنَا أَجُرُّهُ نَحْوَ الصَّلاَةِ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ مِنْهُ قُلْتُ أَيْنَ الاِبْتِدَاءُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ لاَ يَا أَبَا سَعِيدٍ قَدْ تُرِكَ مَا تَعْلَمُ . قُلْتُ كَلاَّ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَأْتُونَ بِخَيْرٍ مِمَّا أَعْلَمُ . ثَلاَثَ مِرَارٍ ثُمَّ انْصَرَفَ .