আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ১৬৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬১। আব্দুল্লাহ ইবনে হাশিম হায়্যান আন-আব্দী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মুনার ঘরে রাত্রি যাপন করলাম। রাতের বেলা এক সময় নবী (ﷺ) উঠে নিজের প্রয়োজন সমাধা করলেন। তারপর নিজের হাত-মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। পরে (পানির) মশকের কাছে গিয়ে বন্ধন খুললেন। তারপর দুই ওযুর মাঝামাঝি ওযু করলেন। অতিরিক্ত পানি খরচ করলেন না। তবে পূর্ণাঙ্গ ওযু করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলেন। আমি জেগে মোড়ামুড়ি দিলাম। আমার পছন্দ ছিল না যে, আমি জেগে জেগে তাঁকে লক্ষ্য করছিলাম, তা তিনি বুঝে ফেলেন। এরপর আমি ওযু করলাম। তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করেছিলেন। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে হাতে ধরে ঘুরিয়ে তাঁর ডান দিকে আনলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) তেরো রাকআত হল।
তারপর তিনি শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে নাক ডাকতে লাগলেন। তিনি ঘুমালে তাঁর নাক ডাকত। তখন বিলাল (রাযিঃ) এসে তাঁকে নামাযের সময় হওয়ার খবর দিলেন। তিনি উঠে নামায আদায় করলেন এবং ওযু করলেন না। (এ রাতে) তাঁর দুআর মধ্যে ছিলঃ
হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার দৃষ্টিতে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নুর দান করুন, আমার ডানদিকে নূর, আমার বামদিকে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার সামনে নূর, আমার পিছনে নূর এবং বিরাট নূর দান করুন।
রাবী কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, আরও সাতটি বিষয় যা আমার অন্তরে রয়েছে। সালামা ইবনে কুহায়ল বলেন, এরপর আমি আব্বাস পরিবারের কোন একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি ঐ বিষয়গুলো আমাকে বর্ণনা করলেন। আমার শিরায়, আমার গোশতে, আমার রক্তে, আমার পশমে এবং আমার ত্বকে... আরও দু’টি বিষয় বললেন।
তারপর তিনি শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে নাক ডাকতে লাগলেন। তিনি ঘুমালে তাঁর নাক ডাকত। তখন বিলাল (রাযিঃ) এসে তাঁকে নামাযের সময় হওয়ার খবর দিলেন। তিনি উঠে নামায আদায় করলেন এবং ওযু করলেন না। (এ রাতে) তাঁর দুআর মধ্যে ছিলঃ
হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার দৃষ্টিতে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নুর দান করুন, আমার ডানদিকে নূর, আমার বামদিকে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার সামনে নূর, আমার পিছনে নূর এবং বিরাট নূর দান করুন।
রাবী কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, আরও সাতটি বিষয় যা আমার অন্তরে রয়েছে। সালামা ইবনে কুহায়ল বলেন, এরপর আমি আব্বাস পরিবারের কোন একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি ঐ বিষয়গুলো আমাকে বর্ণনা করলেন। আমার শিরায়, আমার গোশতে, আমার রক্তে, আমার পশমে এবং আমার ত্বকে... আরও দু’টি বিষয় বললেন।
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمِ بْنِ حَيَّانَ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ لَيْلَةً عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ فَأَتَى حَاجَتَهُ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ قَامَ فَأَتَى الْقِرْبَةَ فَأَطْلَقَ شِنَاقَهَا ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا بَيْنَ الْوُضُوءَيْنِ وَلَمْ يُكْثِرْ وَقَدْ أَبْلَغَ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى فَقُمْتُ فَتَمَطَّيْتُ كَرَاهِيَةَ أَنْ يَرَى أَنِّي كُنْتُ أَنْتَبِهُ لَهُ فَتَوَضَّأْتُ فَقَامَ فَصَلَّى فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَ بِيَدِي فَأَدَارَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَتَتَامَّتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ اضْطَجَعَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ وَكَانَ إِذَا نَامَ نَفَخَ فَأَتَاهُ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ فَقَامَ فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَكَانَ فِي دُعَائِهِ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ يَسَارِي نُورًا وَفَوْقِي نُورًا وَتَحْتِي نُورًا وَأَمَامِي نُورًا وَخَلْفِي نُورًا وَعَظِّمْ لِي نُورًا " . قَالَ كُرَيْبٌ وَسَبْعًا فِي التَّابُوتِ فَلَقِيتُ بَعْضَ وَلَدِ الْعَبَّاسِ فَحَدَّثَنِي بِهِنَّ فَذَكَرَ عَصَبِي وَلَحْمِي وَدَمِي وَشَعَرِي وَبَشَرِي وَذَكَرَ خَصْلَتَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-২
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর খালা উম্মুল মু'মিনীন মায়মুনা (রাযিঃ) এর কাছে একবার রাত্রি যাপন করেন। তিনি বলেন, আমি বিছানার প্রস্থে শয়ন করলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর স্ত্রী (মায়মুনা) শয়ন করলেন তার দৈর্ঘে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুমিয়ে পড়লেন। রাতের অর্ধেক হলে অথবা তার কিছু আগে বা কিছু পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগলেন এবং নিজের হাতে তাঁর চেহারা মুবারক থেকে ঘুমের আমেজ মুছতে লাগলেন। তারপর সূরা আলে ইমরানের শেষ দশ আয়াত পড়লেন। তারপর একটি লটকিয়ে রাখা মাশকের কাছে গিয়ে তাঁর থেকে উযু করলেন এবং উত্তমরূপে উযু করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে নামায শুরু করলেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে তেমনই করলাম যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেছিলেন। পরে আমি গিয়ে তার পাশে দাঁড়ালাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ডান হাত আমার মাথায় রাখলেন এবং আমার কান ধরে তা মলতে লাগলেন। তখন তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত তারপর বিতর আদায় করলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। অবশেষে মুয়াযযিন তাঁর নিকটে এলেন। তিনি উঠে সংক্ষিপ্ত দু-রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) আদায় করলেন। এরপর বের হয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে তেমনই করলাম যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেছিলেন। পরে আমি গিয়ে তার পাশে দাঁড়ালাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ডান হাত আমার মাথায় রাখলেন এবং আমার কান ধরে তা মলতে লাগলেন। তখন তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত তারপর বিতর আদায় করলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। অবশেষে মুয়াযযিন তাঁর নিকটে এলেন। তিনি উঠে সংক্ষিপ্ত দু-রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) আদায় করলেন। এরপর বের হয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، بَاتَ لَيْلَةً عِنْدَ مَيْمُونَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ - وَهِيَ خَالَتُهُ - قَالَ فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى انْتَصَفَ اللَّيْلُ أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ الآيَاتِ الْخَوَاتِمَ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى جَاءَ الْمُؤَذِّنُ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৩
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা মুরাদী (রাহঃ) উক্ত সনদে ......... মাখরামা ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, এতে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন, তিনি পানির মশক ঝুলিয়ে রাখার খুঁটির কাছে গেলেন এবং মিসওয়াক করলেন ও উযু করলেন এবং পূর্ণাঙ্গ উযু করলেন। তবে পানি পরিমাণে কমই ঢাললেন। তারপর আমাকে নাড়া দিলে আমি উঠে পড়লাম। হাদীসে বাকী অংশ মালিক (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْفِهْرِيِّ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى شَجْبٍ مِنْ مَاءٍ فَتَسَوَّكَ وَتَوَضَّأَ وَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ وَلَمْ يُهْرِقْ مِنَ الْمَاءِ إِلاَّ قَلِيلاً ثُمَّ حَرَّكَنِي فَقُمْتُ . وَسَائِرُ الْحَدِيثِ نَحْوُ حَدِيثِ مَالِكٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৪
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৪। হারুন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে শুলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ রাতে তার ঘরে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উযু করার পরে নামাযে দাঁড়ালেন। আমি গিয়ে তাঁর বামপাশে দাড়ালাম। তখন তিনি আমাকে ধরে তাঁর ডানপাশে নিয়ে এলেন। তিনি সে রাতে তের রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুয়ে পড়লেন এমন কি নাক ডাকতে লাগলেন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে সাধারণত নাক ডাকতেন। এরপর মুয়াযযিন তাঁর নিকটে এলে তিনি বের হয়ে নামায আদায় করলেন আর তিনি উযু করলেন না।
রাবী আমর (রাহঃ) বলেন, পরে আমি বুকায়র ইবনে আশাজ্জ (রাহঃ) কে এ হাদীস শুনালে তিনি বললেন, কুরায়ব (রাহঃ) আমাকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
রাবী আমর (রাহঃ) বলেন, পরে আমি বুকায়র ইবনে আশাজ্জ (রাহঃ) কে এ হাদীস শুনালে তিনি বললেন, কুরায়ব (রাহঃ) আমাকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ نِمْتُ عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَتَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَصَلَّى فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ نَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نَفَخَ وَكَانَ إِذَا نَامَ نَفَخَ ثُمَّ أَتَاهُ الْمُؤَذِّنُ فَخَرَجَ فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ . قَالَ عَمْرٌو فَحَدَّثْتُ بِهِ بُكَيْرَ بْنَ الأَشَجِّ فَقَالَ حَدَّثَنِي كُرَيْبٌ بِذَلِكَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৫
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৫। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি’ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি আমার খালা মায়মুনা বিনতে হারিস (রাযিঃ) এর ঘরে এক রাত্রি যাপন করলাম এবং আমি তাঁকে বলে রাখলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন উঠেন তখন আমাকে জাগিয়ে দিবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে (নামায) দাঁড়ালেন। তখন আমি তার বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে তাঁর ডানপাশে নিয়ে এলেন। এরপর আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেই তিনি আমার কানের লতি ধরতেন (ধরে মোচড় দিতেন) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি তখন এগার রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর হাটু খাড়া করে দু’ হাত নিয়ে জড়িয়ে বসলেন। অবশেষে আমি তার ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসের আওয়াজ শুনতে লাগলাম। পরে ফজর প্রকাশ পেলে তিনি সংক্ষিপ্ত দু’ রাক’আত (নামায) আদায় করলেন।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ لَيْلَةً عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ فَقُلْتُ لَهَا إِذَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَيْقِظِينِي . فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ الأَيْسَرِ فَأَخَذَ بِيَدِي فَجَعَلَنِي مِنْ شِقِّهِ الأَيْمَنِ فَجَعَلْتُ إِذَا أَغْفَيْتُ يَأْخُذُ بِشَحْمَةِ أُذُنِي - قَالَ - فَصَلَّى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ احْتَبَى حَتَّى إِنِّي لأَسْمَعُ نَفَسَهُ رَاقِدًا فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৬
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৬। ইবনে আবু উমর ও মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর খালা মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে রাতে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে উঠে একটি লটকানো পূরানো মশক থেকে হালকাভাবে উযু করলেন। বর্ণনাকারী কুরায়াব (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর উযুর বিবরণ দিতে গিয়ে তাঁর স্বল্পতা ও হালকা ভাবের ব্যাখ্যা দিলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে দাঁড়ালাম এবং নবী (ﷺ) যেরূপ করেছিলেন আমি সেরূপ করলাম। তারপর এসে তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে পিছন দিক দিযে ঘুরিয়ে আমাকে তাঁর ডানপাশে নিলেন। তারপর নামায আদায় করে শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে নাক ডাকতে লাগলেন। এরপর বিলাল (রাযিঃ) তাঁর নিকট এসে তাঁকে নামাযের (সময় হওয়ার) খবর দেন। তখন তিনি বের হয়ে গিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন এবং উযু করেননি।
সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপার (ঘুমে উযু ভঙ্গ না হওয়া) নবী (ﷺ) এর জন্য খাস কেননা, আমাদের কাছে হাদীস পৌছেছে যে, তাঁর দু’ চোখ নিদ্রা যায় কিন্তু তার অন্তর নিদ্রা যায় না।
সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপার (ঘুমে উযু ভঙ্গ না হওয়া) নবী (ﷺ) এর জন্য খাস কেননা, আমাদের কাছে হাদীস পৌছেছে যে, তাঁর দু’ চোখ নিদ্রা যায় কিন্তু তার অন্তর নিদ্রা যায় না।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، - عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ خَالَتِهِ مَيْمُونَةَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ فَتَوَضَّأَ مِنْ شَنٍّ مُعَلَّقٍ وُضُوءًا خَفِيفًا - قَالَ وَصَفَ وُضُوءَهُ وَجَعَلَ يُخَفِّفُهُ وَيُقَلِّلُهُ - قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جِئْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخْلَفَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَصَلَّى ثُمَّ اضْطَجَعَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ ثُمَّ أَتَاهُ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ فَخَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ . قَالَ سُفْيَانُ وَهَذَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً لأَنَّهُ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৭
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৭। মুহামাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খালা মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে আমি রাত্রে ছিলাম। আমি অপেক্ষায় ছিলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি প্রকারে নামায আদায় করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে পেশাব করলেন, তারপর হাত-মুখ ধুয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লেন। পরে উঠে মশকের কাছে গিয়ে তার বাধন খুলে পাত্রে পানি ঢেলে নিলেন। তিনি হাত দিয়ে মশকটি পাত্রের উপরে কাত করে ধরলেন। তারপর দুই উযুর মাঝামাঝি উত্তমরূপে উযু করলেন। তারপর নামাযে দাঁড়ালেন। তখন আমি এসে তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। আমি দাঁড়ালাম তাঁর বামপাশে।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায তের রাকআত হল। এর পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন এমনকি নাক ডাকতে লাগলেন। আমরা তাঁর নাকের আওয়াজ শুনে তাঁর ঘুমিয়ে পড়া বুঝতে পারতাম। তিনি তাঁর নামাযের মধ্যে অথবা (রাবী বলেন) তাঁর সিজদায় বলতে লাগলেন ″হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার কানে নূর, আমার চোখে নূর এবং আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার সামনে নূর, আমরা পিছনে নূর আমার উপরে নূর, এবং আমার নীচে নূর দান করুন এবং আমাকে দান করুন অথবা তিনি বলেছিলেন আমাকে নুরে পরিণত করুন।″
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায তের রাকআত হল। এর পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন এমনকি নাক ডাকতে লাগলেন। আমরা তাঁর নাকের আওয়াজ শুনে তাঁর ঘুমিয়ে পড়া বুঝতে পারতাম। তিনি তাঁর নামাযের মধ্যে অথবা (রাবী বলেন) তাঁর সিজদায় বলতে লাগলেন ″হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার কানে নূর, আমার চোখে নূর এবং আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার সামনে নূর, আমরা পিছনে নূর আমার উপরে নূর, এবং আমার নীচে নূর দান করুন এবং আমাকে দান করুন অথবা তিনি বলেছিলেন আমাকে নুরে পরিণত করুন।″
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ فِي بَيْتِ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَبَقَيْتُ كَيْفَ يُصَلِّي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَقَامَ فَبَالَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الْقِرْبَةِ فَأَطْلَقَ شِنَاقَهَا ثُمَّ صَبَّ فِي الْجَفْنَةِ أَوِ الْقَصْعَةِ فَأَكَبَّهُ بِيَدِهِ عَلَيْهَا ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا حَسَنًا بَيْنَ الْوُضُوءَيْنِ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي فَجِئْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ - قَالَ - فَأَخَذَنِي فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ فَتَكَامَلَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ نَامَ حَتَّى نَفَخَ وَكُنَّا نَعْرِفُهُ إِذَا نَامَ بِنَفْخِهِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ فَصَلَّى فَجَعَلَ يَقُولُ فِي صَلاَتِهِ أَوْ فِي سُجُودِهِ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ شِمَالِي نُورًا وَأَمَامِي نُورًا وَخَلْفِي نُورًا وَفَوْقِي نُورًا وَتَحْتِي نُورًا وَاجْعَلْ لِي نُورًا أَوْ قَالَ وَاجْعَلْنِي نُورًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৮
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৮। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, আমি আমার খালা মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আগমন করলেন। অতঃপর গুনদার (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে, এতে তিনি বলেন, ″আমাকে নূরে পরিণত করুন″ এ রিওয়ায়াতে সন্দেহ নেই।
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، . قَالَ سَلَمَةُ فَلَقِيتُ كُرَيْبًا فَقَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُنْتُ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ غُنْدَرٍ . وَقَالَ " وَاجْعَلْنِي نُورًا " . وَلَمْ يَشُكَّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-৯
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৬৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও হান্নাদ ইবনে সারী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে রাত্রি যাপন করলাম। এরপর পূর্ণ ঘটনার বিবরণ দেন। এতে হাত-মুখ ধোয়ার কথা উল্লেখ করেননি। তবে বলেছেন, তারপর মশকের কাছে গিয়ে তার বাঁধন খুললেন এবং দুই উযুর মাঝামাঝি উযু করলেন। তারপর নিজের বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। দ্বিতীয়বার উঠে মশকের কাছে গেলেন এবং তার বাধন খুলে উযু করলেন ঐ উযুর মতই। আর তিনি আমাকে এতে বলেছেন, ″আমাকে বিরাট নূর দান করুন।″ এ বর্ণনায় ″আমাকে নূরে পরিণত করুন″ এ কথা উল্লেখ করেননি।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي رِشْدِينٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ وَلَمْ يَذْكُرْ غَسْلَ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ثُمَّ أَتَى الْقِرْبَةَ فَحَلَّ شِنَاقَهَا فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا بَيْنَ الْوُضُوءَيْنِ ثُمَّ أَتَى فِرَاشَهُ فَنَامَ ثُمَّ قَامَ قَوْمَةً أُخْرَى فَأَتَى الْقِرْبَةَ فَحَلَّ شِنَاقَهَا ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا هُوَ الْوُضُوءُ وَقَالَ " أَعْظِمْ لِي نُورًا " . وَلَمْ يَذْكُرْ " وَاجْعَلْنِي نُورًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১০
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭০। আবু তাহির (রাহঃ) ......... কুরায়ব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে রাত্রি যাপন করেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুম থেকে উঠে মশকের দিকে গেলেন এবং তা থেকে (পানি) ঢেলে উযু করলেন। পানি খুব বেশী ব্যবহার করেননি এবং উযুতেও কোন ক্রটি করেন নি। এরপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। আর এতে রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, সে রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনিশটি বাক্যের দ্বারা দুআ করলেন। সালামা (রাহঃ) বলেন, কুরায়ব (রাহঃ) আমাকে সেগুলোর বিবরণ দিয়েছিলেন, আমি তার বারোটি মুখস্ত রেখেছি এবং বাকীগুলো ভুলে গিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেনঃ
″হে আল্লাহ! আমার হৃদয়ে নূর দিয়ে দিন, আমার জিহ্বায় নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে নূর দিন, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার সামনে নূর এবং আমার পিছনে নূর দিন এবং আমার অন্তরে নূর প্রদান করুন এবং আমাকে বিরাট নূর দান করুন”।
″হে আল্লাহ! আমার হৃদয়ে নূর দিয়ে দিন, আমার জিহ্বায় নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে নূর দিন, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার সামনে নূর এবং আমার পিছনে নূর দিন এবং আমার অন্তরে নূর প্রদান করুন এবং আমাকে বিরাট নূর দান করুন”।
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَلْمَانَ الْحَجْرِيِّ، عَنْ عُقَيْلِ بْنِ خَالِدٍ، أَنَّ سَلَمَةَ بْنَ كُهَيْلٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ كُرَيْبًا حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ بَاتَ لَيْلَةً عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْقِرْبَةِ فَسَكَبَ مِنْهَا فَتَوَضَّأَ وَلَمْ يُكْثِرْ مِنَ الْمَاءِ وَلَمْ يُقَصِّرْ فِي الْوُضُوءِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ قَالَ وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً . قَالَ سَلَمَةُ حَدَّثَنِيهَا كُرَيْبٌ فَحَفِظْتُ مِنْهَا ثِنْتَىْ عَشْرَةَ وَنَسِيتُ مَا بَقِيَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي لِسَانِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَمِنْ فَوْقِي نُورًا وَمِنْ تَحْتِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ شِمَالِي نُورًا وَمِنْ بَيْنِ يَدَىَّ نُورًا وَمِنْ خَلْفِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُورًا وَأَعْظِمْ لِي نُورًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১১
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭১। আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মায়মুনা (রাযিঃ) এর কাছে অবস্থান করার রাতে আমি তাঁর (মায়মুনা) ঘরে রাত্রি যাপন করলাম যাতে নবী (ﷺ) এর রাতের নামায কেমন হয় তা আমি প্রত্যক্ষ করতে পারি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর পরিবারের সাথে কিছু সময় কথা বললেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। এরপর তিনি পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে রয়েছে এরপর উঠে তিনি উযু করলেন ও মিসওয়াক করলেন।
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي شَرِيكُ بْنُ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ رَقَدْتُ فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ لَيْلَةَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهَا لأَنْظُرَ كَيْفَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ - قَالَ - فَتَحَدَّثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَ أَهْلِهِ سَاعَةً ثُمَّ رَقَدَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ ثُمَّ قَامَ فَتَوَضَّأَ وَاسْتَنَّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১২
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭২। ওয়াসিল ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি (এক রাতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে শয়ন করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক করলেন ও ওযু করলেন। তখন তিনি পাঠ করছিলেনঃإِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لأُولِي الأَلْبَابِ (আকাশ মন্ডল ও সৃষ্টিতে দিন ও রাতের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য, -- (আলে ইমরানঃ ১৯০) এই আয়াতগুলো থেকে সূরার শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন এবং তাতে কিয়াম, রুকু ও সিজদা দীর্ঘায়িত করলেন। তা শেষ করে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি নাক ডাকতে লাগলেন। এভাবে তিনবারে তিনি ছয় রাকআত আদায় করলেন প্রতিবারে মিসওয়াক ও উযু করেন এবং ঐ আয়াতসমূহ পাঠ করেন। এরপর তিন রাক’আত বিতর আদায় করলেন। তখন মুয়াযযিন আযান দিলে তিনি নামাযের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তিনি তখন বলছিলেন, ″হে আল্লাহ! দান করুন আমার ক্বলবে নূর, আমার জিহ্বায় নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে নূর, পিছনে নূর, সম্মুখে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, হে আল্লাহ! আমাকে নূর দিয়ে দিন।″
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ رَقَدَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَيْقَظَ فَتَسَوَّكَ وَتَوَضَّأَ وَهُوَ يَقُولُ ( إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لأُولِي الأَلْبَابِ) فَقَرَأَ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ حَتَّى خَتَمَ السُّورَةَ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَطَالَ فِيهِمَا الْقِيَامَ وَالرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ سِتَّ رَكَعَاتٍ كُلَّ ذَلِكَ يَسْتَاكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيَقْرَأُ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ ثُمَّ أَوْتَرَ بِثَلاَثٍ فَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ فَخَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ وَهُوَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي لِسَانِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي سَمْعِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي بَصَرِي نُورًا وَاجْعَلْ مِنْ خَلْفِي نُورًا وَمِنْ أَمَامِي نُورًا وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِي نُورًا وَمِنْ تَحْتِي نُورًا . اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُورًا "

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১৩
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৩। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মুনার কাছে এক রাত যাপন করলাম। নবী (ﷺ) সে রাতের নফল নামাযের জন্য উঠলেন। নবী (ﷺ) মশকের কাছে গিয়ে উযু করলেন। এরপর দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে লাগলেন, যখন তাকে ঐ সব করতে দেখলাম আমিও উঠলাম এবং মশক থেকে (পানি নিয়ে) উযু করলাম। এর পরে তাঁর বামপাশে দাড়ালাম। তিনি তখন তার পিছন দিয়ে আমাকে ডানপাশে নিয়ে এলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম তা কি নফল নামাযে ছিল? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ ذَاتَ لَيْلَةٍ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مُتَطَوِّعًا مِنَ اللَّيْلِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْقِرْبَةِ فَتَوَضَّأَ فَقَامَ فَصَلَّى فَقُمْتُ لَمَّا رَأَيْتُهُ صَنَعَ ذَلِكَ فَتَوَضَّأْتُ مِنَ الْقِرْبَةِ ثُمَّ قُمْتُ إِلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ فَأَخَذَ بِيَدِي مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ يَعْدِلُنِي كَذَلِكَ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ إِلَى الشِّقِّ الأَيْمَنِ . قُلْتُ أَفِي التَّطَوُّعِ كَانَ ذَلِكَ قَالَ نَعَمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১৪
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৪। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে নবী (ﷺ) এর কাছে পাঠালেন, তিনি তখন আমার খালা মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে ছিলেন। সে রাতে আমি তাঁর সঙ্গে থাকলাম। রাতের এক অংশে উঠে তিনি নামায আদায় করতে লাগলেন। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি নিজের পিঠের পিছন থেকে আমাকে ধরে তাঁর ডানপাশে বের করে দিলেন।
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَنِي الْعَبَّاسُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتِ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَبِتُّ مَعَهُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَقَامَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَتَنَاوَلَنِي مِنْ خَلْفِ ظَهْرِهِ فَجَعَلَنِي عَلَى يَمِينِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৩-১৫
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৫। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খালা মায়মুনা (রাযিঃ) এর কাছে আমি রাত যাপন করলাম...... (পরবতীঁ অংশ) ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) এবং কায়স ইবনে সা’দ (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ।
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ . نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৪
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে তেরো রাক’আত নামায আদায় করতেন।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৫
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৭। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ আল জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমি স্থির করলাম) আজ রাতে আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামাযের প্রতি লক্ষ্য রাখব। তিনি প্রথমে সংক্ষেপে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ দু’রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর দু’রাকআত নামায আদায় করলেন যা তার পূর্ববর্তী রাকআতের চেয়ে কম। তারপর দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন যা তার পূর্ববর্তী দু’রাকআতের চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। তারপর দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন যা ছিল পূর্ববর্তী দু’রাকআতের চেয়ে কম দীর্ঘ। তারপর বিতর আদায় করলেন। এই হল মোট তের রাকআত।
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لأَرْمُقَنَّ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّيْلَةَ فَصَلَّى . رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ أَوْتَرَ فَذَلِكَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৬
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৮। হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সফরে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা একটি (পানির) ঘাটে পৌহুলাম। নবী (ﷺ) বললে, জাবির! তুমি কি উটকে ঘাটে নামাবে না? আমি বললাম হ্যাঁ। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন নবী (ﷺ) অবতরণ করলেন এবং আমি (উটকে) ঘাটে নামালাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর তিনি নিজের প্রাকৃতিক প্রয়োজনে (পেশাব করতে) গেলেন। আমি তার জন্য উযুর পানি ঠিক করে রাখলাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তিনি এসে উযু করলেন, দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে লাগলেন। তখন তিনি এক কাপড় পরিহিত ছিলেন যার দু’প্রান্ত বিপরীত দিকে জড়িয়ে ছিলেন। আমি তাঁর পিছনে দাঁড়লাম। তিনি আমার হাতে ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন।
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَائِنِيُّ أَبُو جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَانْتَهَيْنَا إِلَى مَشْرَعَةٍ فَقَالَ " أَلاَ تُشْرِعُ يَا جَابِرُ " . قُلْتُ بَلَى - قَالَ - فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَشْرَعْتُ - قَالَ - ثُمَّ ذَهَبَ لِحَاجَتِهِ وَوَضَعْتُ لَهُ وَضُوءًا - قَالَ - فَجَاءَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ فَقُمْتُ خَلْفَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৭
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৭৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাযিঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে যখন নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে উঠতেন তখন সংক্ষিপ্ত দু’রাকআত দিয়ে তাঁর নামায আরম্ভ করতেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ جَمِيعًا عَنْ هُشَيْمٍ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، - أَخْبَرَنَا أَبُو حُرَّةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ لِيُصَلِّيَ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ بِرَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৮
২০. রাতের বেলা নবী (ﷺ) এর নামায ও দুআ
১৬৮০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন রাতে ওঠে, তখন সে যেন সংক্ষিপ্ত দু’রাকআত দিয়ে নামায শুরু করে।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَلْيَفْتَتِحْ صَلاَتَهُ بِرَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ

তাহকীক: