আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১৩৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-৬
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির জামাআতে নামায আদায় করা তার ঘরে বা বাজারে নামায আদায়ের চাইতে বিশ গুণের অধিক ফযীলত রয়েছে। কারণ যখন তাদের কেউ উযু করে, এরপর মসজিদে আসে, একমাত্র নামাযের জন্যই উঠে আসে। নামায ব্যতীত আর কোন উদ্দেশ্য রাখে না। তখন যে কদম উঠায় তার জন্য তাকে একটি ফযীলত দেওয়া হয় এবং তার থেকে একটি গুনাহ মোচন করা হয়, যে পর্যন্ত না সে মসজিদে প্রবেশ করে। এরপর যখন মসজিদে প্রবেশ করে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাযের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ সে নামাযে রত গণ্য হয়। আর যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাযের স্থানে বসে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফিরিশতারা তার জন্য এই বলে দুআ করতে থাকবে যে, “ইয়া আল্লাহ! তার প্রতি দয়া কর, ইয়া আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর, তুমি তার তাওবা কবুল কর, যতক্ষণ না সে অপরকে কষ্ট দেয় এবং অপবিত্র না হয়।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، - قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ وَصَلاَتِهِ فِي سُوقِهِ بِضْعًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً وَذَلِكَ أَنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ فَلَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ فَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِي الصَّلاَةِ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ هِيَ تَحْبِسُهُ وَالْمَلاَئِكَةُ يُصَلُّونَ عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ يَقُولُونَ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ " .
হাদীস নং: ১৩৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-৭
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮১। সাঈদ ইবনে আমর আল আশ’আসী (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইবনে বাককার ইবনে রাইয়ান (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আমাশ (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ مَعْنَاهُ .
হাদীস নং: ১৩৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-৮
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮২। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ফিরিশতারা তোমাদের মধ্যে তার জন্য দুআ করতে থাকে, যতক্ষণ সে নামাযের স্থানে বসে থাকে। তাঁরা বলতে থাকে ইয়া আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর, ইয়া আল্লাহ! তুমি তার উপর রহমত বর্ষণ কর, যতক্ষণ পর্যন্ত সে উযু নষ্ট না করে। আর তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি নামাযের মধ্যে গণ্য যতক্ষণ তাকে নামায আটকে রাখে।
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ تَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ وَأَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ " .
হাদীস নং: ১৩৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-৯
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যতক্ষণ কোন বান্দা নামাযের স্থানে থেকে নামাযের অপেক্ষা করে, ততক্ষণ তাকে নামাযের মধ্যেই গণ্য করা হয়। আর ফিরিশতারা তার জন্য এই বলে দুআ করতে থাকে যে, ইয়া আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর, ইয়া আল্লাহ! তুমি তার উপর রহমত বর্ষন কর। যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি উঠে যায় অথবা হাদাস করে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হাদাস কী? তিনি বললেন, নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু নিঃসরণ।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَزَالُ الْعَبْدُ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَ فِي مُصَلاَّهُ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ وَتَقُولُ الْمَلاَئِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ . حَتَّى يَنْصَرِفَ أَوْ يُحْدِثَ " . قُلْتُ مَا يُحْدِثُ قَالَ يَفْسُو أَوْ يَضْرِطُ .
হাদীস নং: ১৩৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-১০
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে যতক্ষণ পর্যন্ত নামায আব্দ্ধ রাখে ততক্ষণ সে নামাযের মধ্যে গণ্য। নামায ছাড়া অন্য কিছুই তাকে তার পরিবারের দিকে যেতে বাধা দেয় নি।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا دَامَتِ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ لاَ يَمْنَعُهُ أَنْ يَنْقَلِبَ إِلَى أَهْلِهِ إِلاَّ الصَّلاَةُ " .
হাদীস নং: ১৩৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-১১
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৫। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া ও মুহাম্মাদ ইবনে সালামা আল-মুরাদী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে, সে নামাযে আছে বলেই গণ্য করা হয়, যতক্ষণ সে হাদাস না করে। আর ফিরিশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকেন, ইয়া আল্লাহ! তাকে ক্ষমা কর, ইয়া আল্লাহ! তার উপর রহমত বর্ষণ কর।
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ هُرْمُزَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَحَدُكُمْ مَا قَعَدَ يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ فِي صَلاَةٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ تَدْعُو لَهُ الْمَلاَئِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ " .
হাদীস নং: ১৩৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৯-১২
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৬। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আবু হূরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا .
হাদীস নং: ১৩৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬২
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৭। আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ আশ’আরি ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি নামাযের সব চাইতে বড় প্রতিদানের অধিকারী, যে অধিক দূর থেকে হেঁটে নামাযে আসে। তারপর ঐ ব্যক্তি যে অপেক্ষাকৃত অল্প দূর থেকে আসে। আর যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে নামায আদায় করার অপেক্ষায় থাকে, সে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক সাওয়াবের অধিকারী, যে (একাকী) নামায আদায় করে নিদ্রা যায়। আবু কুরায়বের অপর এক বর্ণনায় ″জামাআতের সাথে ইমামের সঙ্গে নামায আদায়ের অপেক্ষায় থাকে″ উল্লেখ আছে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلاَةِ أَبْعَدُهُمْ إِلَيْهَا مَمْشًى فَأَبْعَدُهُمْ وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنَ الَّذِي يُصَلِّيهَا ثُمَّ يَنَامُ " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ " حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ فِي جَمَاعَةٍ " .
হাদীস নং: ১৩৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৩-১
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ছিল, যার বাড়ী অপেক্ষা কারো বাড়ী মসজিদ থেকে অধিক দূরে ছিল বলে আমার জানা নাই। কিন্তু তার কোন নামায বাদ পড়ত না। বর্ণনাকারী বলেন তাকে বলা হল অথবা আমি তাঁকে এ বললাম, তুমি যদি একটি গাধা ক্রয় কর, তাহলে তাতে চড়ে অন্ধকারে এবং গরমের সময় আসতে পারবে। সে বলল,আমার বাড়ী মসজিদের নিকটবর্তী হোক, তাতে আমি খুশি নই। আমি চাই যে, মসজিদে হেটে যাওয়া এবং আমার ঘরে ফিরে আসা আমার আমলনামায় লিখা হোক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তা তোমার জন্য পুরোপুরি জমা করেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ لاَ أَعْلَمُ رَجُلاً أَبْعَدَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْهُ وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ صَلاَةٌ - قَالَ - فَقِيلَ لَهُ أَوْ قُلْتُ لَهُ لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الظَّلْمَاءِ وَفِي الرَّمْضَاءِ . قَالَ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ يُكْتَبَ لِي مَمْشَاىَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ جَمَعَ اللَّهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ " .
হাদীস নং: ১৩৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৩-২
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৮৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) তায়মী থেকে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . بِنَحْوِهِ .
হাদীস নং: ১৩৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৩-৩
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯০। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর আল-মুকাদ্দামী (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক আনসারী ব্যক্তির বাড়ি ছিল মদীনার শেষ প্রান্তে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে তার নামায বাদ পড়ত না। আমার তার জন্য দুঃখিত হলাম এবং আমি তাকে বললাম, হে অমুক! তুমি যদি একটি গাধা কিনে নিতে তাহলে তা তোমাকে তাপ এবং মাটির কীট থেকে রক্ষা করত। লোকটি বলল, আল্লাহর কসম! আমার বাড়ী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বাড়ীর নিকটবর্তী হোক, আমি তা পছন্দ করি না।

বর্ণানাকারী বলেন তার কথায় আমার মনে বাধল। অবশেষে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে তাকে তা অবহিত করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ডাকলেন। তার কাছেও সে অনুরূপ কথা বলল এবং জানাল যে, সে তার পায়ে হাটার সাওয়াব কামনা করে। তখন নবী (ﷺ) তাকে বললেন; তুমি যা আশা করেছ, তা তুমি পাবে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ بَيْتُهُ أَقْصَى بَيْتٍ فِي الْمَدِينَةِ فَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ الصَّلاَةُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَتَوَجَّعْنَا لَهُ فَقُلْتُ لَهُ يَا فُلاَنُ لَوْ أَنَّكَ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا يَقِيكَ مِنَ الرَّمْضَاءِ وَيَقِيكَ مِنْ هَوَامِّ الأَرْضِ . قَالَ أَمَا وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ بَيْتِي مُطَنَّبٌ بِبَيْتِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحَمَلْتُ بِهِ حِمْلاً حَتَّى أَتَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ - قَالَ - فَدَعَاهُ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ وَذَكَرَ لَهُ أَنَّهُ يَرْجُو فِي أَثَرِهِ الأَجْرَ . فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لَكَ مَا احْتَسَبْتَ " .
হাদীস নং: ১৩৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৩-৪
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯১। সাঈদ ইবনে আমর আল আশ’আসী, মুহাম্মাদ ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ও সাঈদ ইবনে আযহার আন-ওয়াসিতী (রাহঃ) ......... আসিম (রাহঃ) সূত্রে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَزْهَرَ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাদীস নং: ১৩৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯২। হাজ্জাজ ইবনুশ-শাঈর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের বাড়ী মসজিদ থেকে দুরে অবস্থিত ছিল। ফলে আমরা ইচ্ছা করলাম যে, আমরা আমাদের বাড়ীটি বিক্রি করে দেব এবং মসজিদের কাছাকাছি এসে যাব। রাসূলুল্লাহ আমাদের নিষেধ করলেন এবং বললেন, তোমাদের প্রতি কদমে সাওয়াব রয়েছে।
وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَتْ دِيَارُنَا نَائِيَةً عَنِ الْمَسْجِدِ، فَأَرَدْنَا أَنْ نَبِيعَ، بُيُوتَنَا فَنَقْتَرِبَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَنَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّ لَكُمْ بِكُلِّ خُطْوَةٍ دَرَجَةً " .
হাদীস নং: ১৩৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৫-১
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৩। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মসজিদের কাছাকাছি কিছু জায়গা খালী হয়। তাতে বনু সালামার লোকেরা মসজিদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা করল। এই খবর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের বললেন, আমি জানতে পেরেছি যে, তোমরা নাকি মসজিদের কাছাকাছি স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা রাখ? তারা বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা মসজিদের কাছাকাছি যাওয়ার মনস্থ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে বনু সালামা! তোমরা তোমাদের ঘরেই থাক, তোমাদের পদচিহ্ন লেখা হবে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنِي الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَلَتِ الْبِقَاعُ حَوْلَ الْمَسْجِدِ فَأَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَنْتَقِلُوا إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ " إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْتَقِلُوا قُرْبَ الْمَسْجِدِ " . قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَرَدْنَا ذَلِكَ . فَقَالَ " يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ " .
হাদীস নং: ১৩৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৫-২
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৪। আসিম ইবনে নাযার আত তায়মী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনু সালামার লোকেরা বাড়ী পরিবর্তন করে মসজিদের কাছে আসতে ইচ্ছা করে। রাবী বলেন একটি জায়গাও খালী ছিল। এই খবরটি নবী (ﷺ) এর কাছে পৌছলে তিনি বললেন, হে বনু সালামা! তোমরা তোমাদের মহল্লায় থাক, তোমাদের পদচিহ্ন লেখা হবে। তখন তারা বলল, আমরা যদি স্থানান্তরিত হতাম, সেটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক হত না।
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ كَهْمَسًا، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَتَحَوَّلُوا، إِلَى قُرْبِ الْمَسْجِدِ . - قَالَ - وَالْبِقَاعُ خَالِيَةٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ " . فَقَالُوا مَا كَانَ يَسُرُّنَا أَنَّا كُنَّا تَحَوَّلْنَا .
হাদীস নং: ১৩৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৬
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৫। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি গৃহে পবিত্রতা অর্জন করল, তারপর হেঁটে আল্লাহর ঘর সমূহের মধ্যে কোন ঘরে গেল, এই জন্য যে আল্লাহর ফরযগুলোর কোন ফরয আদায় করবে। তাহলে তার এক কদমে একটিতে একটি গুনাহ মাফ হবে এবং আরেকটি কদমে এক ধাপ মর্যাদা উন্নীত হবে।
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ مَشَى إِلَى بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ لِيَقْضِيَ فَرِيضَةً مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ كَانَتْ خَطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيئَةً وَالأُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً " .
হাদীস নং: ১৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৭
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বর্ণনাকারী বলেন যে, বকরের হাদীসে আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন যে, বল তো তোমাদের মধ্যে কারো দরজা সামনে যদি একটি নদী থাকে এবং সে যদি তাতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে তবে তার (শরীরে) কোন ময়লা থাকতে পারে? তাঁরা বললেন, কোন মায়লাই থাকতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দৃষ্টান্ত এ-ই। আল্লাহ তাআলা এরদ্বারা পাপ মোচন করেন।
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا " .
হাদীস নং: ১৩৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৮
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... জাবির অর্থাৎ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উদাহরণ হল প্রবল স্রোতস্বিণী নদীর মত যা তোমাদের কারো দরজার পাশ দিয়ে প্রবাহিত, যাতে সে ব্যক্তি প্রত্যহ পাঁচবার গোসল করে। হাসান বলেন, তাতে তার গায়ে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকে না।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ كَمَثَلِ نَهَرٍ جَارٍ غَمْرٍ عَلَى بَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ " . قَالَ قَالَ الْحَسَنُ وَمَا يُبْقِي ذَلِكَ مِنَ الدَّرَنِ
হাদীস নং: ১৩৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৯
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৮। আবু বকর আবি শাঈবা ও যূহায়র ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধা মসজিদে আসা-যাওয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে প্রতি সকাল-সন্ধ্যার জন্য অতিথেয়তার ব্যবস্থা করেন।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ " .