আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ১০৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৪-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
১০. নামাযে প্রয়োজনবশত দু’এক কদম চলা
১০৯৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কতিপয় লোক সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) এর নিকট আগমন করল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বর কি কাঠের তৈরী ছিল, তা নিয়ে তারা বিতর্ক করতে লাগল। তিনি (সাহল ইবনে সা’দ) বললেন, আল্লাহর কসম! সেটি কি কাঠের তৈরী ছিল, কে তৈরী করেছিল, তা আমি ভাল করে জানি এবং সর্বপ্রথম কোনদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার উপর আরোহণ করেছিলেন, তাও আমি দেখেছি।
আবু হাযিম বলেন, আমি সাহল (রাযিঃ) কে বললাম, হে আব্বাসের পিতা! আপনি ঐসব ঘটনা পুনরায় আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মহিলাকে বলে পাঠালেন [আবু হাযিম বলেন, সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) সেইদিন মহিলাটির নামও বলেছিলেন] তুমি তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামটিকে একটু ফুরসত দিও। সে আমার জন্য একটি মিম্বর তৈরী করে দিবে, আমি তার উপর থেকে মানুষকে ওয়ায-নসীহত করব। অতঃপর সেই গোলামটি তিন সিঁড়িবিশিষ্ট এই মিম্বরটি বানায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশে সেটি মসজিদের এই স্থানে (বর্তমান স্থানে) রাখা হয়। তার কাঠগুলি গাবা অঞ্চলের ঝাউগাছের ছিল।*
আর আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার উপর দাঁড়ালেন এবং (নামাযের) তাকবীর বললেন, লোকেরাও তার পিছনে তাকবীর বলল। তিনি মিম্বরের উপরেই ছিলেন, অতঃপর তিনি রুকু হতে উঠে দু’এক কদম পিছনের দিকে হেঁটে নীচে নেমে গেলেন। আর মিম্বরের গোঁড়ায় সিজদা করলেন। আবার তিনি পূর্বস্থানে চলে গেলেন। এভাবে তিনি তার নামায সমাপ্ত করলেন। তারপর তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেন, হে লোকসকল! আমার এরূপ করার কারণ হল, যেন তোমরা আমার অনুকরন করতে পার এবং আমার নামায শিখে নিতে পার।
* গাবা মদীনার নয় মাইল দূরে অবস্থিত মালভূমির নাম।
আবু হাযিম বলেন, আমি সাহল (রাযিঃ) কে বললাম, হে আব্বাসের পিতা! আপনি ঐসব ঘটনা পুনরায় আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক মহিলাকে বলে পাঠালেন [আবু হাযিম বলেন, সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) সেইদিন মহিলাটির নামও বলেছিলেন] তুমি তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামটিকে একটু ফুরসত দিও। সে আমার জন্য একটি মিম্বর তৈরী করে দিবে, আমি তার উপর থেকে মানুষকে ওয়ায-নসীহত করব। অতঃপর সেই গোলামটি তিন সিঁড়িবিশিষ্ট এই মিম্বরটি বানায় এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশে সেটি মসজিদের এই স্থানে (বর্তমান স্থানে) রাখা হয়। তার কাঠগুলি গাবা অঞ্চলের ঝাউগাছের ছিল।*
আর আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার উপর দাঁড়ালেন এবং (নামাযের) তাকবীর বললেন, লোকেরাও তার পিছনে তাকবীর বলল। তিনি মিম্বরের উপরেই ছিলেন, অতঃপর তিনি রুকু হতে উঠে দু’এক কদম পিছনের দিকে হেঁটে নীচে নেমে গেলেন। আর মিম্বরের গোঁড়ায় সিজদা করলেন। আবার তিনি পূর্বস্থানে চলে গেলেন। এভাবে তিনি তার নামায সমাপ্ত করলেন। তারপর তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেন, হে লোকসকল! আমার এরূপ করার কারণ হল, যেন তোমরা আমার অনুকরন করতে পার এবং আমার নামায শিখে নিতে পার।
* গাবা মদীনার নয় মাইল দূরে অবস্থিত মালভূমির নাম।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب جَوَازِ الْخُطْوَةِ وَالْخُطْوَتَيْنِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ نَفَرًا، جَاءُوا إِلَى سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَدْ تَمَارَوْا فِي الْمِنْبَرِ مِنْ أَىِّ عُودٍ هُوَ فَقَالَ أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْرِفُ مِنْ أَىِّ عُودٍ هُوَ وَمَنْ عَمِلَهُ وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَ يَوْمٍ جَلَسَ عَلَيْهِ - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَا عَبَّاسٍ فَحَدِّثْنَا . قَالَ أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى امْرَأَةٍ قَالَ أَبُو حَازِمٍ إِنَّهُ لَيُسَمِّيهَا يَوْمَئِذٍ " انْظُرِي غُلاَمَكِ النَّجَّارَ يَعْمَلْ لِي أَعْوَادًا أُكَلِّمُ النَّاسَ عَلَيْهَا " . فَعَمِلَ هَذِهِ الثَّلاَثَ دَرَجَاتٍ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوُضِعَتْ هَذَا الْمَوْضِعَ فَهْىَ مِنْ طَرْفَاءِ الْغَابَةِ . وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَيْهِ فَكَبَّرَ وَكَبَّرَ النَّاسُ وَرَاءَهُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ ثُمَّ رَفَعَ فَنَزَلَ الْقَهْقَرَى حَتَّى سَجَدَ فِي أَصْلِ الْمِنْبَرِ ثُمَّ عَادَ حَتَّى فَرَغَ مِنْ آخِرِ صَلاَتِهِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ " يَا أُيُّهَا النَّاسُ إِنِّي صَنَعْتُ هَذَا لِتَأْتَمُّوا بِي وَلِتَعَلَّمُوا صَلاَتِي " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১০০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৪-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
১০. নামাযে প্রয়োজনবশত দু’এক কদম চলা
১১০০। কুতায়বা ইবনে সাঈদ, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কয়েক ব্যক্তি সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) এর নিকট আসল এবং নবী (ﷺ) করীম (ﷺ) এর মিম্বর কিসের তৈরী তা জানতে চাইল। এরপর তারা উপরোক্ত ইবনে আবি হাযিমের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب جَوَازِ الْخُطْوَةِ وَالْخُطْوَتَيْنِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيُّ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، أَنَّ رِجَالاً، أَتَوْا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ أَتَوْا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ فَسَأَلُوهُ مِنْ أَىِّ شَىْءٍ مِنْبَرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَسَاقُوا الْحَدِيثَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي حَازِمٍ .
তাহকীক: