আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ১০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪১-২
৮. নামাযে শয়তানকে লানত করা, শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা এবং ’আমলে কালীল’ করা বৈধ
১০৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ......... শূবা (রাহঃ) থেকে উপরোক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবনে জা’ফরের বর্ণনায় ″আমি তার ঘাড় মটকিয়ে দিলাম″ কথাটি নেই। আর ইবনে আবি শাঈবার বর্ণনায় আছে, ″আমি তাকে সজোরে ধাক্কা দিলাম।″
باب جَوَازِ لَعْنِ الشَّيْطَانِ فِي أَثْنَاءِ الصَّلاَةِ وَالتَّعَوُّذِ مِنْهُ وَجَوَازِ الْعَمَلِ الْقَلِيلِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، هُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ ح قَالَ وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ قَوْلُهُ فَذَعَتُّهُ . وَأَمَّا ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فَقَالَ فِي رِوَايَتِهِ فَدَعَتُّهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪২
৮. নামাযে শয়তানকে লানত করা, শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা এবং ’আমলে কালীল’ করা বৈধ
১০৯৪। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম আল-মুরাদী (রঃ) ......... আবুদ-দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন। আমি শুনতে পেলাম, তিনি বলছিলেনأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ (আমি তোমার থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি)। তারপর তিনবার বললেন, আমি তোমাকে লা’নত করছি, যেরূপ আল্লাহ তোমাকে লা’নত করেছনে। এরপর তিনি তার হাত বাড়িয়ে দিলেন-যেন কোনও জিনিস ধরছিলেন। পড়ে যখন তিনি নামায শেষ করলেন, তখন আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ আমি আপনাকে নামাযে এমন কিছু বলতে শুনেছি, যা ইতিপূর্বে কখনও শুনিনি। আরও দেখলাম যে, আপনি আপনার হাত বাড়িয়ে দিলেন।
তিনি বললেন, আল্লাহর দুশমন ইবলীস আমার মুখে লাগানোর জন্য আগুনের একটি শিখা নিয়ে এসেছিল। তাই আমি তিনবার أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ বললাম। তারপর তিনবার বললাম أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ التَّامَّةِ অর্থাৎ আমি তোমার উপর আল্লাহর পূর্ণ অভিশাপ বর্ষণ করছি। কিন্তু সে তখনও হটে গেল না। শেষে তাকে পাকড়াও করার ইচ্ছা হয়েছিল। আল্লাহর কসম! যদি আমার ভাই সুলাইমান আলাইহিস সালামের দুআ না থাকত, তবে সে ভোর পর্যন্ত বাঁধা থাকত আর মদীনার শিশুরা তাকে নিয়ে খেলা করত।
তিনি বললেন, আল্লাহর দুশমন ইবলীস আমার মুখে লাগানোর জন্য আগুনের একটি শিখা নিয়ে এসেছিল। তাই আমি তিনবার أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ বললাম। তারপর তিনবার বললাম أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ التَّامَّةِ অর্থাৎ আমি তোমার উপর আল্লাহর পূর্ণ অভিশাপ বর্ষণ করছি। কিন্তু সে তখনও হটে গেল না। শেষে তাকে পাকড়াও করার ইচ্ছা হয়েছিল। আল্লাহর কসম! যদি আমার ভাই সুলাইমান আলাইহিস সালামের দুআ না থাকত, তবে সে ভোর পর্যন্ত বাঁধা থাকত আর মদীনার শিশুরা তাকে নিয়ে খেলা করত।
باب جَوَازِ لَعْنِ الشَّيْطَانِ فِي أَثْنَاءِ الصَّلاَةِ وَالتَّعَوُّذِ مِنْهُ وَجَوَازِ الْعَمَلِ الْقَلِيلِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْنَاهُ يَقُولُ " أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ " . ثَلاَثًا . وَبَسَطَ يَدَهُ كَأَنَّهُ يَتَنَاوَلُ شَيْئًا فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصَّلاَةِ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ سَمِعْنَاكَ تَقُولُ فِي الصَّلاَةِ شَيْئًا لَمْ نَسْمَعْكَ تَقُولُهُ قَبْلَ ذَلِكَ وَرَأَيْنَاكَ بَسَطْتَ يَدَكَ . قَالَ " إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ جَاءَ بِشِهَابٍ مِنْ نَارٍ لِيَجْعَلَهُ فِي وَجْهِي فَقُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قُلْتُ أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ التَّامَّةِ فَلَمْ يَسْتَأْخِرْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أَرَدْتُ أَخْذَهُ وَاللَّهِ لَوْلاَ دَعْوَةُ أَخِينَا سُلَيْمَانَ لأَصْبَحَ مُوثَقًا يَلْعَبُ بِهِ وِلْدَانُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: